নাজিম হাসান: ভারতের উজান থেকে নেমে আসা রাজশাহীতে আকস্মিক বন্যায় বিপৎসীমার মাত্র ৫৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পদ্মা নদীর পানি। তীরবর্তী এলাকা প্লাবিত হচ্ছে, সঙ্গে চলছে নদীর ভাঙন। বর্ষার শুরু থেকেই পদ্মার পানি ভয়াল রূপ ধারণ করেছে। নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি এবং স্রোতের তীব্রতা বেড়ে গেছে। পানি বেড়ে যাওয়ায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। মানুষ গরু-ছাগল ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে উঁচু স্থানে অবস্থান নিচ্ছেন। এবং অধিকাংশ বাড়ির টিউবওয়েল পানিতে তলিয়ে আছে। ফলে নিরাপদ পানির সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
বুধবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় ৬টায় উচ্চতা হয় ১৭.৪৯ মিটার। এদিন সকাল ৯টায়ও একই তথ্য পাওয়া গেছে। সকাল ৬টায় উচ্চতা ছিল ১৭.৪৮ মিটার। পদ্মার পানির উচ্চতা পরিমাপক পাউবোর গেজ রিডার এ তথ্য জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুর রহমান অঙ্কুর বলেন, “ফারাক্কার সবগুলো কপাট খুলে দেওয়া হয়েছে। ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশেই প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ায় পদ্মায় পানি বেড়েছে। গত দুই-তিন বছরের মধ্যে এবার পানির উচ্চতা অনেক বেশি। পানির পরিমাণও বেশি। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সতর্ক রয়েছেন। জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য টি-বাঁধ এলাকায় দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
উল্লেখ্যে, বুধবার (১৩ আগস্ট) পবা উপজেলার হরিয়ান ইউনিয়নের সবচেয়ে দুর্গম এলাকা-চরখিদিরপুর, চরখানপুর ও চরতারানগরে নৌকায় করে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের এই যৌথ উদ্যোগে প্রায় ২০০টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়।#