# নাজিম হাসান…………………….
রাজশাহী জেলার প্রায় সর্বত্রই ক্যারাম বোর্ড ও মোবাইল ফোন খেলায় চলছে জুয়ার আসর। জেলার প্রায় প্রতিটি উপজেলা ও ইউনিয়ন এবং পৌর এলাকায় সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে জুয়া খেলার আসর। কোন কোন সময় জুয়ার নেশায় সারারাত খেলার খবরও পাওয়া গেছে। বিভিন্ন বাজার এলাকা, পাড়া, মহল¬ায় অলি গলিতে চলছে মোবাইল ফোন ও ক্যারাম জুয়া। এসময় স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সাধারন মানুষ, ভ্যান চালকসহ অনেকেই এ খেলায় ঝুঁকছেন প্রতিনিয়তই।
শিক্ষার্থীরা দিনে ও রাতে মোবাইল ফোন ও ক্যারাম খেলায় আসক্ত হয়ে পড়ায় তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শংকায় রয়েছেন অভিভাবকরা। পড়া শুনা ফাঁকি দিয়ে শিক্ষার্থীরা ঘন্টার পর ঘন্টা মোবাইল ফোন ও ক্যারাম খেলে সময় পার করছে। এতে তাদের শিক্ষা জীবন বিপন্ন হতে চলেছে।
জানা গেছে, জেলার বাগমারা উপজেলার বাসুপাড়া ইউনিয়নের দ্বীপনগর, চিকাবাড়ী বাজার, শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের মচমইল, মাড়িয়া ইউনিয়নের যাত্রাগাছী, ভবানীগঞ্জ পৌরসভা,হামিরকুৎসা ইউনিয়নের আলোকনগর বাজার, গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের প্রেমতলী, তালতলি বাজার, সাজুড়িয়া, পলাশী যোগীপাড়া ইউনিয়নের ভটখালী বাজার, তাহেরপুর পৌরবাজারসহ নানা স্থানে গজিয়ে উঠেছে মোবাইল ফোন ও ক্যারাম আসর।
বিভিন্ন এলাকায় প্রতি গেম একশ’ থেকে পাঁচশ টাকা করে খেলা চলছে। খেলায় ক্যারাম বোর্ড মালিক প্রতি গেম আট থেকে ৫০ টাকা করে নেয় বোর্ড ভাড়া ও বরিক পাউডার খরচ বাবদ। এতে প্রতিদিন বোর্ড মালিকরা পাঁচশ থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত খেলোয়ারদের কাছ থেকে পাচ্ছেন। তারা এই খেলাকে ব্যবসা হিসেবে পরিচালনা করছে বলে জানা গেছে। উঠতি বয়সী ছেলেরা খেলার নেশায় বাড়ি থেকে টাকা চুরি কর্ে অনেক সময় ওই খেলা খেলছে।
সামান্য পূঁজি খাটিয়ে এ পথে প্রতি দিন শত শত টাকা রোজগার করছে বোর্ড মালিকরা। কিন্তু ছাত্র, সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ, ভ্যান চালকসহ অন্যরা প্রতিদিন এখান থেকে জুয়া খেলে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। রাতের সময় ওইসব মোবাইল ফোন ও ক্যারামের আসরে চলে মাদক সেবন। কম বয়সী ছেলেরা অনেক রাত পর্যন্ত বাড়ির বাইরে থাকায় অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। অনেক সময় তারা সখের বশে মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ছে এবং সামাজিক নানা অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে। এসব জুয়ার মাধ্যমে মোবাইল ফোন ও ক্যারাম খেলা বন্ধ হওয়া উচিৎ বলে এলাকাবাসী মনে করছেন।#