1. admin@sobujnagar.com : admin :
  2. sobujnoger@gmail.com : Rokon :
শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৫৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
নওগাঁর মামুনাবাদে বাৎসরিক ওয়াজ মাহফিল ও মকতুবাদ শরীফ অনুষ্ঠিত সাপাহারে ভেকু দিয়ে ফসলি জমির মাটি কাটায় পরিবেশ ও কৃষি হুমকিতে নক্ষত্রের পতন ও একটি অসমাপ্ত বিপ্লবের আর্তনাদ: ওসমান হাদী ও নতুন ধারার রাজনীতি চাঁপাইনবাবগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই তরুণের মৃত্যু, সড়ক অবরোধ ও পুলিশের স্থাপনা ভাঙচুর শিবগঞ্জে  হাদির মৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি শিবগঞ্জে হাদির মৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি ওসমান হাদি হত্যার প্রতিবাদে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিক্ষোভ  ছাব্বিশ দিনেও ক্ষতের চিহৃ স্পস্ট দেখা গেলেও মেলেনি আইনি সহায়তা বাঘায় হাদি হত্যার দ্রুত বিচারের দাবিতে শিবিরের বিক্ষোভ  ঈশ্বরদীতে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এ্যাসোসিয়েশনের বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

নওগাঁয় বর্ষায় ছাতা কারিগরদের ব্যস্ততা

  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই, ২০২৫
  • ১২৭ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

৥ মোঃ ফিরোজ আহমেদ, বিশেষ প্রতিনিধি, নওগাঁ: উত্তর জনপদের জেলা নওগাঁ। মৎস্য ও শষ্য ভান্ডার খ্যাত সবুজে ঘেরা এ জেলার আত্রাই উপজেলা নদী বেষ্টিত একটি উপজেলা। আষাঢ় ও শ্রাবণ এ দুমাস বর্ষাকাল। মুষল ধারে বুষ্টি না হলেও কিছু দিন পর পর গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। এসময়ে ঘরের বাইরে বের হলেই সঙ্গে নিতে হয় ছাতা। ছাতা যদি ব্যবহারে ফুটো কিংবা ভাঙ্গা হয় তখনই বিপত্তির শেষ নেই। এই বিপত্তির কবল থেকে পরিত্রাণ পেতে ছুঁটে সবাই ছাতা মেরামত কারীদের কাছে। কিন্তু ছাতা মেরামত বছরের অন্যান্য সময় কেউ করে না। দাম কম হওয়ায় ছাতা নষ্ট হয়ে গেলে অনেকেই আর মেরামত ও করতে চান না। অনেকেই আবার নতুন ছাতা কিনে নেয় । পূর্বে কাঠের হাতাওয়ালা ছাতার প্রচলন ছিল। গ্রামের লোকেরা ওই ছাতা ব্যবহার করতো। সেই ছাতাও তৈরি হতো। কিন্তু এখন আর সেইদিন নেই। কাঠের ছাতার কারিগরদের দুর্দিন চলছে। তাই অনেকেই এই পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে গেছে। তবে বর্ষায় ভরসা এসব কারিগরদের এখন সুদিন।

বছরের অন্য সময়ে ছাতা মেরামতের কাজ না থাকলেও বর্ষা মৌসুমে পুরোদমে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তারা। উপজেলার ভবানীপুর বাজারে দেখা হয় সুটকিগাছা গ্রামের কারিগর তোফাজ্জল হোসেনের সাথে তিনি বলেন, প্রতিদিন উপার্জন তাদের একরকম হয়না ভবানীপুর হাটে উপার্জন হয়েছিল দেড় হাজার টাকা, বৃহস্পতিবার আহসানগঞ্জ হাটে হয়েছিল ২২ শত টাকা, শনিবার কাশিয়াবাড়ি বাজারে তেমন একটা আয় হয়নি। তবে দিন দিন এই পেশার কারিগররা হারিয়ে যাচ্ছে।

এ উপজেলার ছাতা মেরামতকারি আকরাম হোসেন বলেন, এ অঞ্চলে ছাতা মেরামতের কারিগর তেমন ছিল না। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ছাতা মেরামত করতে এই এলাকায় আসতেন কারিগররা। তারা বিভিন্ন হাট-বাজারে রাস্তার পাশে ফুটপাতে বসে ফুটো কিংবা ভাঙা ছাতা মেরামত করতেন। ছাতার কারিগরদের সারা বছর কদর না থাকলেও বর্ষা মৌসুমে তাদের কদর বাড়ে। বর্ষা মৌসুম শেষ হলেই আমাদের এ পেশা বদল করতে হয়।

ছাতা মেরামতকারী একাধিক কারিগরদের সাথে কথা বললে তারা জানান, বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে কাজের চাপ একটু বেড়েছে। আয় মোটামুটি ভালো হলেও অন্য সময় বেকার হয়ে বসে থাকতে হয়। যেদিন বৃষ্টি হয় সেদিন ছাতা মেরামতের কাজ থাকে। বাকি দিনগুলোতে অন্য কাজকর্ম করতে হয়। ছেলে-মেয়েরা স্কুল-কলেজে লেখাপড়া করে। তাদের খরচসহ পরিবারের খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হয়। এ পেশায় আমাদের পরে পরিবারের আর কেউ আসবে না। এ ঐতিহ্য ধরে রাখতে আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট