1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Rokon :
শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ০৮:৫২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
বাসা বাড়ির উঠানে শাক,সবজি করে সফল হয়েছে বাঁশবাড়িয়ার রাজিয়া সুলতানা রূপসায় কাজদিয়া সরকারি হাইস্কুল আন্তব্যাচ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ রহনপুরে  সাংবাদিকদের প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দল দুর্লভপুর ইউনিয়ন কমিটি আত্মপ্রকাশ গোদাগাড়ী থানার অভিযানে ৫০০ গ্রাম হেরোইনসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার গাঁজা পাচারকালে রাজশাহীর বেলপুকুর বাইপাস মোড়ে  ৩ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব গোদাগাড়ীতে ওয়ার্ডভিত্তিক স্পোর্টিং ক্লাবে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করলেন ইউএনও রাজশাহীতে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপন আত্রাইয়ে ছাত্রদল ও যুবদলের উদ্যোগে মশাল মিছিল  আত্রাইয়ে বিএনপির ওঠান বৈঠক 

কুষ্টিয়ায় পদ্মার ভাঙন আতঙ্কে দিশেহারা অর্ধলক্ষ মানুষ

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ৬ মে, ২০২৫
  • ৩৭ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
৥ শাহীন আলম লিটন, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি !!!
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে অসময়ে পদ্মা নদীর ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষ। প্রতিদিনই নদীগর্ভে বিলিন হচ্ছে শত শত বিঘা ফসলি জমি ও বসতভিটা। দুশ্চিন্তা ও আতঙ্কে দিন দিন কাটছে তাদের। ভূক্তভোগীদের দাবী পদ্মার ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের।
দৌলতপুর উপজেলার পদ্মা নদীর কোল ঘেষা মরিচা ইউনিয়ন। কৃষি নির্ভর এই ইউনিয়নের প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষের দিন কাটছে পদ্মার ভাঙন আতঙ্কে। দীর্ঘদিন ধরে পদ্মা নদীর আগ্রাসনের ফলে মানচিত্র থেকে বিলীর হওয়ার পথে এই ইউনিয়নটির চিত্র। অসময়ে অর্থাৎ শুষ্ক মৌসুমেও ৪ কি. মি. এলাকা জুড়ে নদী ভাঙন শুরু হওয়ায় প্রতিদিনই নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে শত শত বিঘা ফসলি জমি ও বসতভিটা। ইতিমধ্যে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে হাজার হাজার বিঘা আবাদি জমি, ঘর-বাড়ি ও বিভিন্ন স্থাপনা। তাই শেষ সম্বলটুকু হারানোর ভয় ও আতঙ্ক এখন তাদের নিত্য সঙ্গী। তবে ভাঙন রোধে হাটখোলাপাড়া থেকে ভূরকা পর্যন্ত ১ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলার কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
দুটি প্রকল্পের আওতায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২ লাখ ৩৫ হাজার জিওব্যাগ ফেলা হবে বলে জানিয়েছেন কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রোকনুজ্জামান।
এদিকে এলাকাবাসী বলছেন, কিছুদিনের মধ্যে নদীতে নতুন পানি এলে পদ্মার আগ্রাসী রূপ আরও বেড়ে যাবে। এক কিলোমিটার অংশের ভাঙন রোধের উদ্যোগে তারা খুশি হলেও উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় রয়েছেন বাঁকী ৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভাঙন নিয়ে। তাদের দাবি, পুরো এলাকাতে সাময়িকভাবে ভাঙন রোধে জিওব্যাগ ফেলার পাশাপাশি দ্রুত স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা  হোক। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, কয়েক বছর ধরে চলা ভাঙনে নদীগর্ভে হারিয়ে গেছে তাদের কয়েক হাজার বিঘা আবাদি জমি, বসতবাড়ি, কয়েকটি সরকারি- বেসরকারি স্থাপনা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ঝুঁকিতে রয়েছে নদীর পাড় থেকে মাত্র ৩০ মিটার দূরে থাকা বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ, ভারত থেকে আসা বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা ও অসংখ্য বসত বাড়ি। পদ্মা পাড়ের বাসিন্দা সিদ্দিকুর রহমান জানান, একসময় তাদের বাড়ি থেকে আবাদি জমিতে  যেতে হাঁটতে হতো ৫ কিলোমিটার। এখন নদীর পাড়ে আসতে সময় লাগে মাত্র দুই মিনিটের কম সময়। চোখের সামনে পদ্মার আগ্রাসী ভাঙনে হারিয়েছেন চাষের জমি। ভাঙন রোধে দ্রুত টেকসই ব্যবস্থা না নিলে বসতভিটাও হারাতে হবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। সিরাজ মন্ডল নামে স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, আমাদের এলাকার ৪ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে পদ্মা নদীর ভাঙন দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে এক কিলোমিটার এলাকায় জিওব্যাগ ফেলা হচ্ছে। বাকি ৩ কিলোমিটারে এখনই ব্যবস্থা না নিলে এবারের বন্যায় বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ  ভেঙে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। নদী পাড়ের আরেক বাসিন্দা শান্ত আহমেদ বলেন, ভাঙন সাময়িকভাবে রোধে সরকারের উদ্যোগে আমরা খুশি। তবে যত দিন পর্যন্ত ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা না হচ্ছে, তত দিন আমরা উদ্বেগের মধ্যেই থাকবো। ভাঙন রোধে ৪ কি. মি. এলাকায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য সরকার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
পদ্মা পাড়ের বাসিন্দা সিদ্দিকুর রহমান জানান, এক সময় তাদের নিজ বাড়ি থেকে আবাদি জমিতে যেতে হতো হাঁটতে পাঁচ কিলোমিটার; আর এখন পদ্মা নদীর পাড়ে আসতে সময় লাগে মাত্র দুই মিনিট। চোখের সামনে পদ্মার আগ্রাসী ভাঙনে হারিয়েছেন চাষের জমি। দ্রুত ভাঙন রোধে টেকসই ব্যবস্থা না নিলে বসতভিটাও হারাতে হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
সিরাজ মণ্ডল নামের আরেকজন বলেন, “আমাদের এলাকার চার কিলোমিটারে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে এক কিলোমিটারে জিওব্যাগ ফেলা হচ্ছে। তবে বাকি তিন কিলোমিটারে এখনই ব্যবস্থা না নিলে এবারের বর্ষায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল হামিদ বলেন, আমরা এক কিলোমিটার এলাকার ভাঙন রোধে জিওব্যাগ ফেলার কাজ শুরু করেছি। বাকি ৩ কিলোমিটারের জন্য মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছি। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের বিষয়েও মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান জানিয়েছেন, যেসব জায়গাতে মারাত্মক ভাঙন সংঘঠিত হয়, সেসব জায়গাতে জিওব্যাগ ডাম্পিং করে প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। পরবর্তীতে নদী ভাঙনপ্রবন ১১.৩০ কি. মি. এলাকায় স্থায়ী বাঁধ নির্মানের প্রকল্প হাতে নিয়েছেন তারা। প্রকল্প পাশ হলে দ্রুত সময়ের মধ্যেই শুরু হবে বাঁধ নির্মানের কাজ। তবে ভূক্তভোগীদের দাবী, শুধু আশ্বাস নয়, কৃষি প্রধান এই অঞ্চল কে বাঁচাতে নির্মান করতে হবে স্থায়ী বাধ, তবেই ফিরবে স্বস্থি সবার মাঝে।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট