চাঁপাইনবাবগঞ্জ শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা বাজারের কাজি বই বিতানের পিছনে ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধ ভারী হয়ে উঠেছে আশেপাশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান । চারদিক পরিপাটি, দেখতে চকচকে; কিন্তু বাতাসে উড়ে বেড়াচ্ছে ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধ।
পথচারীরা নাকে হাত দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছে। উৎকট দুর্গন্ধে বিশ গজের মধ্যে কোথাও দাঁড়ানোর অবস্থা নেই। এই পরিস্থিতি আরো অসহনীয় পর্যায় পৌঁছে গেছে। এই চিত্র দেখা যায় মনাকষা বাজারে ইউনিয়ন পরিষদের পাসে, বিজিবি ক্যাম্প, মাদ্রাসা, প্রাইমারি স্কুল, হাই স্কুল, সহ আরো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের রাস্তার দিকে যাওয়ার মাঝ পথের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাতৃসদন থেকে পশ্চিম দিকে তাকালে চোখে পড়বে মনাকষা দাখিল মাদ্রাসা, বিজিবি ক্যাম্প, স্কুল, কলেজের কই একটি ভবন, কিন্তু সেইখানে জাবার একটা মাত্র রাস্তা। রাস্তার পাশেই ওপর থেকে চোখ নিচে নামার আগেই নাকে উড়ে আসে ডাস্টবিনে পড়ে থাকা ময়লার দুর্গন্ধ। দেখা যায় রাস্তার পাশেই খোলা জায়গায় খোলা ময়লার পাহাড় পড়ে আছে রাস্তার প্রায় লাগাই।
এক পথচারী তার বাসায় যাচ্ছিলেন নাক ধরে ডাস্টবিন পার হতেই বড়সড় করে দম নিয়ে নিচ্ছিলেন। কথা বলতেই পথচারী বললেন, ‘বাড়ি যাওয়ার পথে দেখেন রাস্তার পাশে ডাস্টবিনের গন্ধে বের হয়ে এই জায়গায় এসে নিজেকে আরো বেশি অসুস্থ মনে হচ্ছে। এখানে সব সময় ময়লা পড়ে থাকে। মনে হয় কেউ দেখার নেই।’ মনাকষা বাজারে সব ময়লা-আবর্জনার সঙ্গে যুক্ত হয় ফুটপাতের দোকানিদের ফেলা পচা জিনিসপত্র, পলি, বোতল, মুরগির, মাছসহ পরিত্যক্ত মেডিসিনসহ নানা ধরনের ময়লা। ডাস্টবিনে সব সময় বসে থাকা শতাধিক কাক সেগুলো নিয়ে ফেলে যেখানে-সেখানে। তাই রাস্তায় হাঁটতে পথচারীকে বাড়তি সতর্কতায় থাকতে হয়। কারণ নাকে হাত দিয়ে দুর্গন্ধ থেকে কিছুটা পরিত্রাণ পেলেও কাকের ঠোঁটে থাকা ময়লা পড়তে পারে শরীরে।
রাসেল আহমেদ নামের এক পথচারী বলেন, ‘কী আর বলব ভাই, কেউ দেখার নেই বলার ও নেই এতো গন্ধ নাকে মুখে মনে হচ্ছে বমি চলে আসবে। কয়েক দিন আগে এক শিক্ষক বলেন যাওয়ার পথে হঠাৎ ময়লার পলি এসে পুরো শরীর নষ্ট করে দিল। সম্ভবত পলিথিন বাতাসে উড়ে আমার শরীরে এসে পড়ল।’
এলাকাবাসীর অভিযোগ, কোন এক নিদিষ্ট একটা জায়গা করে সেইখানে ময়লা ফেলার ব্যবস্থা করলে হয় এলাকার কোমলমতি শিশুরা ও এলাকাবাসী একটু স্বস্তি পাবে বলে জানান প্রতিবেদক। তাদের সীমানায় কোনো নির্দিষ্ট জায়গার ব্যবস্থা না থাকায় সেগুলো রাস্তায় রাখা হচ্ছে। তাদের সমস্যার ভাগ নিতে হচ্ছে হাজারও পথচারীকে।
মনাকষা বাসিন্দা মোস্তফা জব্বার বলেন, ‘কোন পাশ দিয়ে হাঁটব? আর কত সময়ই বা দম বন্ধ করে রাখব? এক পাশে ডাস্টবিনের ময়লা আর দুর্গন্ধ। এত উন্নয়ন হচ্ছে কিন্তু এই বিষয়গুলোর দিকে কর্তাব্যক্তিদের কোনো নজর দেখছি না। এভাবে চলতে থাকলে মনাকষা বাজারে পরিবেশ আস্তে আস্তে ধ্বংসের দিকে যাবে। আর আমরা শুধু দর্শক হিসেবে দেখেই যাব।’
এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজাহার আলী কে অবগত করলে তিনি সরেজমিনে পরিদর্শন করেন ও আরো বলেন খুব শিঘ্রই ময়লা আবর্জনা সরিয়ে নিদিষ্ট জায়গায় ডাস্টবিন করে দেবার আশ্বাস দেন ।#