1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Rokon :
বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১:৫৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
দীর্ঘ প্রায় দেড় মাস পর টনক নড়লো কর্তাদের, নগদ অর্থ সহায়তা ও টিন পেলেন আব্দুল বাসেদ পরিবার গোদাগাড়ীতে অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশন ও নিষিদ্ধ কেমিকেল ব্যবহারে ৫ জনকে জরিমানা ভোলাহাটে উপজেলা প্রশাসনের আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত আত্রাইয়ে বিশ্ব পরিবেশ দিবসে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ভোলাহাটে কৃষি প্রণোদনা হিসেবে বিনামূল্যে ধানবীজ ও সার বিতরণ পঞ্চগড়ে তিন সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ  পঞ্চগড়ের দেবিগঞ্জ উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ বছরের শিশুর মৃত্যু নাচোলে বিনামূল্যে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে রাসায়নিক সার ও বীজ বিতরণ রাজশাহীসহ দেশের সবক’টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষা বৃহস্পতিবার থেকে শুরু রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুদকের অভিযান

রাজশাহীর বিলশিমলায় প্রতারক চক্রের রসানলে সাংবাদিক পরিবার

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ১০৬ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

৥ লিয়াকত হোসেন : রাজশাহীর মহানগরীর নতুন বিলসিমলা এলাকায় বহরমপুর মৌজায় পৈতৃক সম্পত্তি প্রতারক চক্রের রসানলে সাংবাদিক পরিবার সেই সাথে চলাচলের রাস্তাটি দখল করে দোকান ঘর বানানোর মত পায়তারা শুরু করেছে সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য সুজন ও বাবলু দিংদরা।

এ নিয়ে সাংবাদিক লিয়াকত হোসেনদের সাথে রাজশাহী সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা চললাম রয়েছে যার মোকাদ্দমা নম্বর -১৮৬/১৮। রাজপাড়া থানাধীন বহরমপুর মৌজায় এস.এ-১৪৭ এবং আর, এস খতিয়ান নং ২৬৯, সাবেক দাগ ২৪১ হাল -৩৩৭ দাগে, ৩৯ শতকের কাত.০৮২৫ একর বা ৫ কাঠা রেকর্ডীয় সম্পত্তির মালিক মৃত সোহরাব উদ্দিন। তার মৃত্যুর পরে ০৫ ওয়ারিশগন মালিক হন এবং অধিগ্রহণের টাকাও উত্তোলন করেন, অধিগ্রহনের পরে অবশিষ্ট থাকা জমি যথাক্রমে মো লিয়াকত হোসেন, মো: লুৎফর রহমান, আব্দুল লতিফ, শিরীন সুলতানা ও শামসুল নাহার শিউলির নামে ২০২৫ সাল পর্যন্ত খাজনা খারিজ চলমান আছে।

সম্প্রতি একটি প্রতারক চক্র অধিগ্রহণের পরে অবশিষ্ট জমি হাতিয়ে নেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন থেকে ভুয়া মালিক সেজে প্রত্যেক দাগে দাগে খাজনা দেওয়ার দ্বায়িত্ব নিয়েছেন। এই চক্রটি ইতিপূর্বে ৩৩৮ দাগের মালিক হিসেবে অধিগ্রহণের টাকা উত্তোলন করেছেন। কিছু দিন আগে ৩৩৭ ও ৩৩৯ দাগের মালিক সেজে ৫/৭ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এই চক্রটি। অধিগ্রহনের টাকা নেওয়ার পরেও এরা ৩৩৭, ৩৩৮, ৩৩৯, ৩৪০ দাগের জমিসহ রাস্তাটি নিজ বলে দাবী করছেন এটা কারো বোধগম্য নয়। চক্রটির অন্যতম সদস্য নগরীর বিলশিমলা এলাকার বদর উদ্দিনের ছেলে বাবলু, ডাবলু দিংরা বিগত সরকারের সুবিধা নিয়ে রাতারাতি বিএনপির নেতা বনে যাওয়া চক্রটি আবাসন ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদের ৩৪১ দাগের জমি নিজ দখলে দাবি করে বিএনপি’র পার্টি অফিস ও দোকান ঘর নির্মাণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

অপরদিকে একই এলাকার মৃত আমির হোসেনের ওয়ারিশ সাহাদত হোসেন ও আওয়ামী নেতা আরিফ বিগত দিনে ৩৪০ দাগটি নিজ সম্পত্তি দাবী করে চলাচলের রাস্তা থেকে সাড়ে তিন শতাংশ জমির অধিগ্রহণের টাকাও তুলে নিয়েছেন নিজ বাড়ির অংশ দেখিয়ে। এ চক্রের অন্যতম ক্রেতা হিসেবে রয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা রবিউল ও রংমিস্ত্রি থেকে কোটিপতি বনে যাওয়া মমিন উদ্দিন দিং।

সাংবাদিক লিয়াকত হোসেনের পরিবারের দাবী, আমরা আইনগত ও কাগজ কলমে জমির প্রকৃত মালিক হওয়ায় আদালত ও প্রশাসন আমাদের পক্ষে সকল আইনি সহায়তা প্রদান করছেন। তবুও একটি প্রতারক চক্র জমিটি নিজ বলে দাবী করে রাস্তাসহ জমিটি নিজ বলে দাবি করে দখল করে রেখেছেন। এর আগেও পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব বিস্তার করে এই চক্রটি নানাভাবে জমিটি নিয়ে আমাদের দীর্ঘদিন থেকে দখল না দিয়ে হয়রানি করে আসছেন। ভূমি অফিস কর্তৃক ৩৩৭ দাগের মালিক সাংবাদিক লিয়াকত হোসেনের দুই ভাইসহ এলাকাবাসী বিলশিমলার নিজ জমিতে গেলে রেজাউল ইসলাম দিং জনসম্মুখে হুমকি ধামকিসহ মার মুখি আচরণ করে এতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন সাংবাদিক পরিবার।

অভিযুক্ত সাহাদত হোসেন রাস্তার টাকা উত্তোলনের কথা স্বীকার করে বলেন, নগরীর বহরমপুর মৌজার সাবেক ২৪১ দাগে ৪ শতাংশ জমি আমার দাদী আব্বাকে দিয়ে গেছে রেকর্ড আমার বাবা আমির হোসেনের নামে ৮২ নম্বর খতিয়ানভুক্ত আছে। আপনার দাদীর দলিলে পক্ষগণের যাতায়াতের রাস্তা হিসেবে উল্লেখ্য থাকলেও কিভাবে অধিগ্রহণের টাকা তুলেছেন এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এচক্রের অন্যতম সদস্য বাবলু বলেন, দুলাল হোসেন ও আমরা ২০০৯ সালে এল এ শাখা থেকে ৩৩৮ দাগে অধিগ্রহণ বাবদ জমি ও বিল্ডিং এর টাকা তুলেছি, এখনও ৩৩৭ ও ৩৩৯ দাগে খাজনা দিচ্ছি ৩৪০ দাগে কয়েকদিনের মধ্যে দিবো। দলিল ছাড়া কিভাবে খাজনা দিচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন আমাদের ৯০ খতিয়ান অনুযায়ী খাজনা দিচ্ছি। জমি ক্রেতা পুলিশ কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, বাবলুদের কাছে আমরা জমি কিনি নাই ওরা আমাদের নামে মিসকেস করে ছিলো আমরা ডিক্রি পেয়ে ৫ পাঁচ লক্ষ টাকা দিয়ে উভয়ে সমাধান করে নিয়েছি। এক জনের জমি অন্যজনের কাছে কিনতে পারেন কিনা এ বিষয়ে কোনো সদ উত্তর দিতে পারেনি এই পুলিশ কর্মকর্তা।

এসব বিষয় জানতে বড় কুঠি ভুমি অফিসের সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিজিৎ সরকারের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, কাগজ যার জমি তাঁর। কাগজ না থাকলে জোর করে কেউ কারো জমি দখল করতে পারবে না। এব্যাপারে যাদের কাগজ সঠিক তাঁরাই জমি পাবেন এবং তাঁরা আইনি সহায়তা পাবেন।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট