মোঃ কামাল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি: যশোরের অভয়নগর শিল্প বানিজ্য নগর নওয়াপাড়া বাজারের নামি-দামি কয়লা আমদানি কারক প্রতিষ্ঠান বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে রাসায়নিক কয়লা আমদানি করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি করে সু-নামের সাথে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। ফলে নওয়াপাড়া কয়লা ব্যবসায়ীরা ব্যাপক সুনাম অর্জন করে চলেছে। অন্যদিকে ওই সব কয়লা ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বন্ধসহ ব্যবসায়ীদের সু-নাম ক্ষুন্ন করতে একশ্রেণীর অসাধু চোর চক্র ও কয়লার সাথে ছাই- বালু মিশিয়ে কয়লা ক্রেতাদের সাথে বেপরোয়া ভাবে প্রতারণা করছে।
এমনই এক সিন্ডিকেটের তথ্য অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে অভয়নগর উপজেলার আলীপুর মহাকাল গ্রামের ফকির সরদারের ছেলে আমজাদ সরদারের নাম। তার কর্মকান্ডে এলাকাবাসী হতভাগ হয়ে পড়েছে। তথ্য সূত্রে জানা গেছে ওই সিন্ডিকেটের মুল হুতা আমজাদ দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ নেতাদের ছত্রছায়ায় থেকে কয়লার সাথে ছাই- বালু মিশিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি করে ইটভাটা মালিকদের সাথে প্রতারণা করছে। শুধু কয়লার সাথে ছাই বালু মিশানোতে ওই সিন্ডিকেট থেমে থাকেনি রাতের আধারে ওই এলাকার বিভিন্ন কয়লার ড্যাম্প থেকে কয়লা চুরিতেও ওই সিন্ডিকেটের জুড়ি নেই।
জানা গেছে চোরাই কয়লা রাখার জন্য নির্ধারিত ঘর ভাড়া করে সেই ঘরে রাতে ভ্যানে করে কয়লা চুরি করে জমিয়ে রাখে। যা পরবর্তীতে ছাই- বালু মিশিয়ে বিক্রি করে বহাল তবিয়তে রয়েছে।
নামপরিচয় না প্রকাশের শর্তে আলীপুর এলাকার একজন জানান, আমজাদ দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সাথে সু-সম্পর্ক রেখে কয়লার সাথে ছাই-বালু মিশিয়ে নওয়াপাড়া বাজারের কয়লা ব্যবসায়ীসহ কয়লা ক্রেতাদের সাথে অভিনব প্রতারণা করে আসছে।
অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে, আমজাদ একজন বিএনপিপন্থী রাজনৈতিকের সাথে জড়িত। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ার পর কয়লার সাথে ছাই-বালু মিশানো সিন্ডিকেটের মুল হতা আমজাদ আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে স্থানীয় একাধিক মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে। সচেতন মহল জরুরি উপজেলা প্রশাসন, পুলিশসহ নওয়াপাড়া কয়লা ব্যবসায়ীগণ আমজাদের ওইসব অভিনব অবৈধ কয়লার সাথে ছাই-বালু মিশানো বন্ধ করতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করার দাবি ও কামনা করেছেন।
এবিষয়ে অবৈধ ওই কারবার করা মহাকাল আলীপুর গ্রামের ফকির সরদারের ছেলে মোঃ আমজাদ সরদার মুঠোফোনে কয়লার সাথে ছাই-বালু মিশানোর কথা অস্বীকার করে বলেন এই এলাকায় রাতের আধারে অনেক চুরি অপকর্ম হয় সেই গুলো ধরেন, আমি এসব করিনা।
এবিষয়ে অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ এমাদুল করিম বলেন, কেউ এব্যাপারে অভিযোগ করেনি অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এবিষয়ে অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়দেব চক্রবর্তীর মুঠোফোনে একাধিক বার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।#