ইজতেমার প্রথম দিন জুমার জামাতে শরীক হয়েছেন কয়েক লাখ মুসল্লি। এসময় ইজতেমা ময়দানের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ জায়গা জুড়ে ৭৫টি খিত্তার প্যান্ডেল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। বৃহত্তম এই জুমার জামাতে ইমামতি করেন হাফেজ মাওলানা যোবায়ের। জুমার পর বয়ান করেন মাওলানা রবিউল হক। বাদ আসর বয়ান করেন মাওলানা ওমর ফারুক।
আগামী ৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে এই জোড় ইজতেমা। এরপর ২০ থেকে ২৪ ডিসেম্বর দ্বিতীয় পর্বে অংশগ্রহণ করবেন মাওলানা সাদপন্থিরা।
এদিকে ইজতেমায় অংশ নিতে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তাবলিগের পুরাতন সাথীরা জামাতবদ্ধ হয়ে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে আসতে শুরু করেন। অবস্থান নেন জেলাওয়ারি নির্ধািরিত খিত্তায় ।
জোড় ইজতেমার জিম্মাদার সোহেল খান বাসসকে জানান, এটি জোড় ইজতেমার প্রথম পর্ব। প্রথম পর্বে অংশগ্রহণ করেছেন আমলী শুরার সাথীরা। ইজতেমা ময়দানে অবস্থানরত মুরুব্বিরা জানান, প্রতিবছরেই ইজতেমার পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে এই জোড় ইস্তেমা হয়ে থাকে। এখানে তাবলীগের সাথীরা পুরো বছরের কাজের কারগুজারী (নিজ নিজ এলাকায় দাওয়াতি কাজের বর্ণনা) ও বড়দের রাহবারী নেয়ার সুবর্ণ সুযোগ পান। যার জন্য পুরো বছর অপেক্ষায় থাকেন। এই জোড়কে কেন্দ্র করে দেশ ও দেশের বাইরের শুরায়ী নেজামের মুরুব্বিরা একত্রিত হন।
দাওয়াতের কাজের এক গভীর পদরেখা এখান থেকে অঙ্কিত হয়। এই জোড় ইজতেমা থেকে আগামী এক বছর কাজের ব্যাপারে সঠিক দিকনির্দেশনা পাওয়া যায়।
তাবলীগ জামাত বাংলাদেশের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, আজ থেকে ৫ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা শুরু হয়েছে। আজ বাদ ফজর বয়ান করেন পাকিস্তানের ভাই নাঈম শাহ।#