ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি ,ঈশ্বরদী: গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকার পতনের পর চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্ব চলছে। ঈশ্বরদী শহরের জিরোপয়েন্ট বলে খ্যাত রেলগেট এলাকা,অরোনকোলা,আওতাপাড়া পশুহাট,দাশুড়িয়া,মুলাডুলি এলাকা, সাহাপুর ও লক্ষিকুন্ডা ইউনিয়নের ইটভাটা মালিক,রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের একাধিক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন শিল্পকারখানা ও রুপপুর পাকার মোড় এলাকাসহ বিভিন্নস্থানে অঞ্চল ভিত্তিক অবস্থানকারী কতিপয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতার নিয়ন্ত্রণে চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্ব চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
কোন কোন এলাকায় বিএনপির নেতা কর্মীদের সাথে যোগ হয়েছে আওয়ামীলীগের অঙ্গ্সংগঠন থেকে আসা কতিপয় ছাত্রনেতা ও সমর্থকরা। রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ও সরকারের দূর্বলতার সুযোগে কিছু দায়িত্বশীল সরকারী কর্মকর্তারাও নানা কায়দায় হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। স্থানীয় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা নেতাকর্মী,ভুক্তভোগী শিল্প কারখানার মালিক,বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তাবৃন্দ,ব্যবসায়ীবৃন্দ,ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শী সাধারণ মানুষের দেওয়া অভিযোগসূত্রে এসব তথ্য জানাগেছে।
সূত্রমতে,বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামীলীগ সরকারের লজ্জাজনক পতনের পর আওয়ামীলীগের চাঁদাবাজরা পালিয়ে যায়। এতে সরকারের পরিবর্তন হলেও বদলায়নি চাঁদাবাজির ধরন।এসব কারণে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা নেতাকর্মী,সাধারণ মানুষ ও শিল্প কারখানার মালিক,দেশপ্রেমী সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাধারণ মানুষদের মধ্যে দিনে দিনে ক্ষোভ দানা বেঁধে উঠছে। পূর্বের’ যে কোনো সময়ের তুলনায় ঈশ্বরদীর বিভিন্ন অঞ্চলে এখন দোর্দন্ড প্রতাপে বেড়েছে মোবাইল ফোনে চাঁদাবাজি,ভুমি দখল,ব্যবসায়ীদের হুমকি-ধমকি ও দখল দারিত্ব।
প্রতিদিন উল্লেখিত শ্রেণীর ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থেকে আদায় করা হয় লাখ লাখ টাকা এবং দিন শেষে এসব টাকা ভাগ-বাটোয়ারা করে নেওয়া হয়। মাত্র দু’মাসের ব্যবধানেই ঐসব নেতাদের চলন-বলন ও পোষাক পরিচ্ছদ্যেও ব্যাপক পরিবর্তণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সূত্রের অভিযোগ, বিএনপির প্রভাবশালী এক কেন্দ্রিয় নেতা ও তার অনুসারী ঈশ^রদী উপজেলা বিএনপির প্রয়াত এক শীর্ষস্থানীয় নেতার খুনী ও ডাকাত দলের সদস্যদের নিয়ে গঠিত সিন্ডিকেট সদস্যরা চাঁদাবাজী ও দখলদারিত্ব নিয়ন্ত্রণ করছে।#