1. admin@sobujnagar.com : admin :
  2. sobujnoger@gmail.com : Rokon :
বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৩৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
সাইটসেভার্স এর সহযোগিতায়,ব্র্যাকের উদ্যোগে দাকোপে উপজেলা পর্যায়ে অবহিতকরণ সভা  কালীগঞ্জে গাজীপুরের নবাগত ডিসির মতবিনিময় আত্রাইয়ে জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযান উদ্বোধন পত্নীতলায় আশা শিক্ষা কর্মসূচির অভিভাবক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে রাজশাহীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ খুব তাড়াতাড়ি সকল পুলিশ ফাঁড়ির কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হবে: রাজশাহীতে স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা রূপসা বর্নমালা শিক্ষালয়ে ফলাফল প্রকাশ ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত তানোরে আমণের বাম্পার ফলনের সম্ভবনা তানোরে বিদ্যুৎ শাটডাউনে জড়িতরা বহাল তবিয়তে রকমারি সবজি চাষে ঝুঁকে পড়েছেন আত্রাই উপজেলার কৃষকরা

আগামি ২২ অক্টোবর সকাল থেকে রেলওয়ে পাকশীসহ দেশের সকল রেলওয়ে কন্ট্রোল অফিসে কর্মবিরতি ঘোষণা

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৬৩ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

ক্যাপশন : পাকশী রেলওয়ে কন্ট্রোল অপিসের স্টাফদের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে বক্তব্য দেন,পাকশী রেলওয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থাপক শাহ সূফী নূর মোহাম্মদ।

স্টাফ রিপোর্টার,ঈশ্বরদী : আগামি ২২ অক্টোবর সকাল থেকে রেলওয়ে পাকশীসহ দেশের সকল কন্ট্রোল অফিসে কর্মবিরতি ঘোষনা করা হয়েছে। আজ বুধবার সকালে পাকশী রেলওয়ে কন্ট্রোল অফিসের সকল টিএনএল,ডিটিএনএল ও সিটিএনএলদের পক্ষে ডিটিএনএল মোঃ আব্দুল হামিদ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে এই কর্মবিরতির ঘোষণা দেন।

কর্মবিরতিকালে ডিটিএনএল মোঃ আব্দুল হামিদ ও রিয়াছিন আলী বলেন,ট্রেন কন্ট্রেল অফিস বাংলাদেশ রেলওয়ের মূল চালিকা শক্তি।ট্রেন পরিচালনা সংক্রান্ত সকল কার্যক্রমসহ জরুরি নির্দেশনা ট্রেন কন্ট্রোল অফিসের মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়। এটিই রেলওয়ের একমাত্র অফিস যেটি বছরে ৩৬৫ দিন রাত-দিন ২৪ ঘন্টা খোলা থাকে। ঈদ,পূঁজা,সরকারী যেকোন ধরনের ছুঠি,ঝড়বৃষ্টি,মহামারী,জরুরি অবস্থায় এমনকি প্রাকৃতিক দূর্যোগ কোন কিছুতেই কন্ট্রোল অফিসের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়না। এমনকি২৪ ঘন্টা জরুরি সেল গঠনের মাধ্যমে রেল ব্যবস্থাকে সচল রাখা হয়।

বিগত কভিড-১৯ করোনা মহামারীর সময়ও সকল সরকারী অফিস বন্ধ থাকলেও কন্ট্রোল অফিসের কার্যক্রম এক মুহুর্তের জন্যও বন্ধ হয়নি। এমনকি করোনার সময় অফিস আদেশে উল্লেখ থাকতো কন্ট্রোল অফিস ২৪ ঘন্টা সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে। এর মাধ্যমে কন্ট্রোল অফিসের গুরুত্ব বোঝা যায়। এসমস্ত কারণে ১৯৬৮ সালে তৎকালিন পাকিস্তান সরকার কন্ট্রোলে কর্মরত কন্টলারগণের দায়িত্বকে কঠিন প্রকৃতির কষ্টসাধ্য দায়িত্ব বলে স্বীকৃতি দিয়ে ইনক্রিমেন্ট বেতন স্কেল ১৮৫/৩১৫ আরপিএস এর উপর ৩০ টাকা অতিরিক্ত ভাতা অফিস আদেশের মাধ্যমে ঘোষনা প্রদান করে। ্এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর রেলওয়ের প্রথম ৩০ টাকার পরিবর্তে তিনটি অগ্রিম ইনক্রিমেন্ট দেয়া হয় এবং ১৯৮০ সাল থেকে উক্ত আদেশ দেওয়ার পূর্ব পর্যন্ত ৪াট অগ্রিম ইনক্রিমেন্ট বেতনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে এবং তার উপর সকল ভাতাদি প্রদান করা হয়।

২০০৪ সালে রেলওয়ে অডিট অধিদপ্তর ৪টি ইনক্রিমেন্ট এর উপর সকল ভাতাদি বন্ধের আদেশ দিলে কন্ট্রোলারগণ সংক্ষুব্ধ হয়ে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল বগুড়াতে একটি মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ বিচারকগণ কন্ট্রোলারগণের পক্ষে সকলভাতাদি প্রদানসহ রায় দেন। রায়ের বিরুদ্ধে সরকার আপীল করলে আদালত সেটি খারিজ করে বগুড়ার আদেশ বহাল রাখেন। এরপর ঢাকার ডিটিএনএল সাজাহান ভূঁইয়া কর্তৃক অপর একটি মামলা দায়ের করা হলেও বিচারক সেই মামলার রায়ও কন্ট্রোলারদের পক্ষে দেওয়া হয়।

্এই রায়ের বিরুদ্ধে সরকার পক্ষ প্রশাসনিক আপীল আদালত ঢাকাতে আপীল দায়ের করলেও সেটি বিজ্ঞ আদালত নাকচ করে দেন। এরপর সরকার পক্ষ পুণরায় সুপ্রীম কোর্টে আপীল করলে আপীল বিভাগ থেকে সরকারের সেই আপীল আবেদনও খারিজ করে পূর্বের প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের রায় বহাল রাখেন। পরবর্তীতে অবসর জনিত সকল সুবিধা পাওয়ার জন্য পাকশী অফিসের সিটিএনএল একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলার রায়ও সিটিএনএল এর পক্ষে দেওয়া হয়। রায় পাওয়ার পর রাজশাহীর(পশ্চিম)এফএএন্ডসিএও সুবিধা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সিটিএনএল রায় বাস্তবায়ন মামলা করেন। বাস্তবায়ন মামলার রায়ে আদালত রাজশাহীর(পশ্চিম)এফএএন্ডসিএওকে অবিলম্বে রায় বাস্তবায়ন করার নির্দেশ দেন। একই সাথে আদালত রায় বাস্তবায়ন না করা হলে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণেরও হূঁসিয়ারী দেন। একারণে রাজশাহীর(পশ্চিম)এফএএন্ডসিএও উক্ত রায় বাস্তবায়ন করেন।

বাংলাদেশ রেলওয়ের বিজ্ঞ আইনজীবির লিখিত মতামত এবং জিএম পশ্চিম ও পূর্বের প্রশাসনিক আদেশের প্রেক্ষিতে মামলার বাদীগণ ছাড়াও পরবর্তীতে একই অফিসে যোগদানকৃত টিএনএল,ডিটিএনএল ও সিটিএনএলগণ একই সুবিধা প্রাপ্ত হয়ে আসছিলেন। যা অর্থ মন্ত্রনালয়ের ২৪.০৭.২০২২ ইং তারিখে একটি কালো আইনের মাধ্যমে রহিত করা হয়। এছাড়াও গত ০৪.০৯.২০২৪ ইং তারিখে অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অর্থ)রেলভবন ঢাকা আরও একটি অফিস আদেশ প্রদান করে। এতকিছুর পরও অর্থ মন্ত্রনালয় কিভাবে উক্ত সুবিধা বাতিল করার নির্দেশ দেন তা আমাদের বোধগম্য নয়। অপরদিকে বাংলাদেশ রেলওয়েতে কর্মরত অন্যান্য কর্মচারিরা(লোকোমাস্টার,গার্ড,টিটিআই,এটন্ডন্টেগণ) মাইলেস নামের অতিরিক্ত সুবিধা পাচ্ছেন। যা একই অইনে প্রতিষ্ঠানের দুই রকম বাস্তবায়ন ও বৈষম্যের সৃষ্টি করায় আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানায়।

তৎকালিন ফ্যাসিবাদী সরকারের অর্থমন্ত্রনালয়ের কতিপয় আজ্ঞাবহ দূর্নীতিবাজ ও সুবিধাভোগী কর্মকর্তার উক্ত সিদ্ধান্ত সরকারী আদালত অবমাননার শামিল উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন,১৯৮০ সাল থেকে প্রাপ্ত মহামান্য সুপ্রীমকোর্টের রায়ের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত কন্ট্রালারগণের(টিএনএল,ডিটিএনএল ও সিটিএনএল) ৪টি অগ্রীম ইনক্রিমেন্ট এবং ভাতাসহ আর্থিক সুবিধা পুনঃবহাল করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জোর দাবি জানান।

একই সাথে ঘোষণা দিয়ে বলেন,উল্লেখিত দাবি পুরণ করা না হলে আগামি ২২.১০.২৪ ইং তারিখ সকাল ৮টা থেকে পাকশী রেলওয়ে কন্ট্রোল অফিসসহ দেশের সকল রেলওয়ে কন্ট্রোল অফিসে কর্মবিরতি পালন করা হবে।#
ক্যাপশন \(১) আগামি ২২ অক্টোবরের মধ্যে দাবি পুরণ না হলে কর্মবিরতি ঘোষনা করেন পাকশী রেলওয়ে কন্ট্রোল অপিসের ডিটিএনএল আব্দুল হামিদ।#

 

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট