স্টাফ রিপোর্টার: খুলনা আর্ট একাডেমি একটি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান।হাটি হাটি-পা-পা করে আজ ৬ই সেপ্টেম্বর ১৬বছরে পদার্পন করেছে। তবে খুলনা আর্ট একাডেমির পুর্ব নাম “নিশাত আর্ট কোচিং”। ২০০৩ সাল থেকে যাত্রা শুরু হয়। ২০০৮ সালে এসে খুলনাকে কেন্দ্র করে খুলনার প্রতি গভীর ভালোবাসা প্রকাশ করার লক্ষ্যে “খুলনা আর্ট একাডেমি” নামকরণ করা হয়। আজ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে তেমন কোনো আয়োজন ছিলনা তবে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যে শিশুরা এসেছে সবার হাতে চকলেট তুলে দিয়ে ১৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করেন।
সকাল ৮ টা থেকে প্রতিষ্ঠানের শিশু শিল্পীরা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করে এবং মনের মত ছবি আঁকেন এবং প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সকলকে শুভেচ্ছা জানায় শিশু শিল্পীরা। হঠাৎ করে প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করলেন একজন অতিথি ওবায়দুল ইসলাম জয়।তার সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। তার সহধর্মিনী এই প্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষিকা। প্রতিষ্ঠানের শিশুশিল্পীদের শাখায় প্রাক্তন শিক্ষিকা মার্জিয়া বসরী বিথী যাকে চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস গুণী বালিকা উপাধি দিয়েছিলেন।বছর খানেক আগে তিনি সংসার জীবনে যুক্ত হয়ে প্রতিষ্ঠানে আসার সময় পায়না তবু খুলনা আর্ট একাডেমিকে হৃদয় ধারন করেছেন। প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেকটি কক্ষে যার স্মৃতি চিহ্ন জড়িয়ে আছে।
আজ খুলনা আর্ট একাডেমির ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে তার জীবনসঙ্গী,তার জামাইকে পাঠিয়েছেন মিষ্টি এবং উপহার দিয়ে। খুলনা আর্ট একাডেমির মনোগ্রামকে তুলে ধরছেন একটি গ্লাস পেইন্টিং করে। চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস বলেন যেটা আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ উপহার বলে আমি মনে করি। খুলনা আর্ট একাডেমির পরিবার থেকে তাদের সুখের জীবনের জন্য শুভকামনা করছি। তারা যেন তাদের সাজানো সুন্দর সুখের একটি স্বর্গ তৈরি করতে পারেন।করোনা থেকে প্রতিষ্ঠানটি জীবনের সঙ্গে যুদ্ধ করে বাঁচিয়ে রেখেছেন। এখনও স্বাভাবিক পজিশনে যেতে পারেননি।
চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস শিশুদের কতটা ভালোবাসেন তা এই প্রতিষ্ঠানের অভিভাবকরাই জানেন। আপনারা সবাই তাকে আশীর্বাদ করবেন তিনি যেন তার কর্মের মাধ্যমে মৃত্যুর পরেও শিক্ষার্থীদের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকতে পারেন।এই প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে গিয়ে যারা সব সময় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাদের প্রতি চির কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেন। এবং সাংবাদিক ভাইদের জন্য শুভ কামনা করেন প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস।ভবিষ্যতেও সবসময় সহযোগিতা করবেন এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন। আপনাদের সহযোগিতা নিয়ে এই প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে চান। সর্বশেষে এই প্রতিষ্ঠানের বিগত দিনের সকল শিক্ষার্থী দের জন্য মঙ্গল কামনা করেন। তারা যেন দেশের ভালো কাজের সঙ্গে নিজেকে নিয়োজিত রাখতে পারে।#