1. admin@sobujnagar.com : admin :
  2. sobujnoger@gmail.com : Rokon :
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
ডুমুরিয়ায় হুফ্ফজুল কুরআন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত তানোরে আলুর বীজ নিয়ে মহা সিন্ডিকেট দিশেহারা চাষীরা! খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়  বাগমারার হাটগাঙ্গোপাড়া মডেল প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক কমিটি গঠন বাংলাদেশ জার্নালিস্ট প্রটেক্ট কমিটির সাংবাদিকদের নিরাপত্তার জন্য অ্যাডভোকেসি কর্মশালা  সিংড়ায় জামায়াতে ইসলামীর কর্মী শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত বটিয়াঘাটা প্রেস ক্লাবের আহবায়ক কমিটি গঠন কম্পিউটার কী বোর্ডের মাধ্যমে রাজশাহীতে পাহাড়িয়াদের মাতৃভাষার লিখন পঠন কার্যক্রম উদ্বোধন সিংড়ায় মাদরাসা দারুস সুন্নাহ বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ সি ইউ সি সংগঠনের সামাজিক কর্মকান্ডে অবদান রাখায়  রোটারিয়ান ইফতেখার আলী বাবুকে সংবর্ধনা

তানোরে খবার কবলে  বৃষ্টি নির্ভর  আমণক্ষেত

  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১ আগস্ট, ২০২৪
  • ৭৩ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে খরার কবলে পড়েছে বৃষ্টি নির্ভর আমণক্ষেত। এতে ফসলহানির আশঙ্কা  করছে কৃষকেরা। একই সঙ্গে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিযেছে। অধিকাংশ  নলকূপ থেকে পানি উঠছে না। আবার যেগুলোতে উঠছে তাতে এক গ্লাস পানি তুলতে হাঁসফাঁস অবস্থা।এদিকে বেশ কিছুদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় বৃষ্টি নির্ভর  আমণক্ষেত খরার কবলে পড়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার বাধাইড় ইউপির গাল্লা, হরিশপুর, বৈদ্যপুর, জুমারপাড়া, সাইধাড়া, কলমা ইউপির বংপুর, চৈতপুর,বিল্লী, মুন্ডুমালা পৌর এলাকা, পাঁচন্দর ইউপির বিভিন্ন মাঠে বিপুল পরিমাণ আমণখেত খরার কবলে পড়েছে। এতে কৃষকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, উপজেলায় মোট আবাদ যোগ্য জমি আছে ২৩ হাজার ৯৯৩ হেক্টর, সেচের আওতায় জমি রয়েছে ২২ হাজার ৩৩২ হেক্টর। সেচ বহির্ভূত জমি আছে এক হাজার ৬৬১ হেক্টর, এক ফসলী জমি রয়েছে ৩৪৪ হেক্টর, দুই ফসলী জমি রয়েছে ৪ হাজার ৫৪০ হেক্টর, তিন ফসলী জমি রয়েছে ১৯ হাজার ১০৯ হেক্টর। কামারগাঁ ইউপির ছাঐড় গ্রামের কৃষক আব্দুল,আয়ুব আলী ও ওয়াসিম আলী বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় খরার কবলে পড়ে আমণখেত ফেটে চৌচির, দু’চারদিনের মধ্যে কাঙ্খিত বৃষ্টি না হলে ফসলহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে বাধাইড় ইউপির কৃষক শফিকুল ইসলাম, সাদিকুল ইসলাম ও দুরুল হুুুদা জানান, তারা প্রতিবছর রোপাআমণ  চাষ  করে থাকেন। এই অঞ্চলে  একটা সময় শ্রাবন মাস জুড়েই রোপা-আমণ রোপণ করা হতো। কিন্তু এখন আলু চাষের জন্য আষাঢ় ও শ্রাবনের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই রোপণ প্রায় শেষ  হয়ে যায়।

উপজেলার আদর্শ কৃষক নুর মোহাম্মাদ বলেন, অতীতে শ্রাবন মাস জুড়েই জমিতে আমণের চারা  রোপণ করা হতো। কিন্তু ইদানিং  আলু চাষের জন্য আগাম রোপণ করা  হচ্ছে। কারণ রোপনের আগেই আলুর জন্য জমি লীজ হয়ে যায়। এসব টার্গেট করে কৃষকরা বীজও আগাম করেন। তিনি বলেন, রোপা-আমণ পুরোপুরি বৃষ্টি নির্ভর ফসল। কিন্তু জলবায়ুর বিরুপ প্রভাবের কারণে একদিন বৃষ্টি হচ্ছে তো ছয় সাত দিন বৃষ্টির  দেখা নেই।

গত ২০ জুলাই থেকে ৩০ জুলাই  পর্যন্ত গড় তাপমাত্রা ছিলো প্রায় ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস সঙ্গে ছিল  প্রচন্ড রোদ ও ভ্যাবসা গরম।  এবিষয়ে বাধাইড়  ইউনিয়ন (ইউপি)  চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন, তার ইউপির প্রায় পুরো আমণখেত খরার কবলে পড়েছে।

এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা  সাইফুল্লাহ আহম্মেদ বলেন, এবারে রোপা  আমণের লক্ষমাত্রা  নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় সাড়ে ২১ হাজার হেক্টর।

তিনি বলেন, শ্রাবন মাস জুড়েই রোপা-আমণের চারা রোপণ করে থাকেন কৃষকরা। বৃষ্টি না হলে অবশ্যই সেচের ব্যবস্থা করে আমণখেত রক্ষা করা হবে,  এখোনি কৃষকদের হতাশ হবার কিছু নাই।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট