বিশেষ প্রতিনিধি: অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্চাচারিতার অভিযোগ উঠেছে বাঘা উপজেলার আমোদপুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম ও বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলী হোসেনের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ করা হয়, প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম ও সভাপতি আলী হোসেন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গোপন রেখে চতুর্থ শ্রেণীর ৪টি পদে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দিয়েছেন। মিলন হোসেন নামে একজনের দাবি, আয়াপদে তার স্ত্রীর চাকুরীর জন্য ৪ লক্ষ টাকা দিয়েও চাকরি হয়নি। রুবি বেগমের কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা নিয়ে তাকে চাকুরী দিয়েছেন। মিলনের দাবি, প্রতিষ্ঠানের জমি দাতা হলেন তার চাচা। কিন্তু তাদের পরিবারের চাকরি হয়না। বাজু বাঘা ইউপি সদস্য রেজাউল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে ৩০/৪০ লক্ষ টাকা নিয়োগ বাণিজ্যর অভিযোগ তুলেন।
জানতে চাইলে তিনি বলেন,তার সাক্ষাতে কেউ টাকা দেয়নি। তবে মিলন নামে একজন তার স্ত্রীর চাকুরির টাকা দেওয়ার জন্য ব্রিটেন মাস্টারের বাড়িতে তাকে ডেকেছিল। প্রথমতঃ ৫০ হাজার টাকা দিয়েছে। পরে আরো টাকা দেওয়ার কথা শুনেছেন । পরস্পর চাকুরি প্রত্যাশিদের লাখ লাখ টাকা দেওয়ার কথাও শুনেছেন বলে জানান।
কমিটির অভিাবক সদস্য আমিরুল ইসলাম ও রবিউল ইসলাম বলেন, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গোপন রেখে, রুবি বেগমকে আয়া পদে, জুয়েল আলীকে নৈশ প্রহরী,আজিম হোসেনকে পরীচ্ছন্নতাকর্মী ও রুবেল আলীকে নিরাপত্তাকর্মী পদে নিয়োগ দিয়েছে বলে জানতে পারেন। অর্থ বাণিজ্যের মাধমে তাদের নিয়োগ দিয়েছেন সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক। এমনকি যে পত্রিকাতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে তাও তারা জানতে পারেননি।
কমিটির আরেক অভিভাবক সদস্য আসকান আলী বলেন, মিলন আলীর স্ত্রীর আয়া পদে নিয়োগের জন্য ৪লাখ টাকা দিয়েছেন। অবৈধ পন্থায় পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে সবকিছু গোপন রেখে বিধি বর্হিভ’ত বিজয় দিবসের ছুটির দিনে পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয় বলে জানান তারা। এসব বিষয়ে আসকান আলী বাদি হয়ে ৮ জনকে বিবাদি করে রাজশাহীর বিজ্ঞ বাঘা থানার জজ আদালতে মামলা করেছেন। এছাড়াও আদালতে মামলাসহ সংশ্লিষ্ট শিক্ষা দপ্তরে অভিযোগ করেছেন মিলন হোসেন। নিয়োগ হয়েছে এমন একজন রুবি বেগমের স্বামী লিটন হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। বিষয়টি নিয়ে গত বুধবার বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে মানববন্ধন করা হয়েছে।
সেখানে বাজু বাঘা ইউপি সদস্য রেজাউল ইসলাম, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির অভিভাবক সদস্য রবিউল ইসলাম, আসকান আলী, আমিরুল ইসলাম সাবেক ছাত্রনেতা শিমুল আহমেদ, মিলন হোসেন,নিয়োগ বঞ্চিত শিল্পী খাতুনসহ এলাকার নারী পুরুষ অংশগ্রহন করেন।
জানা যায়,গত বছরের ২৩ জুলাই স্থানীয় দৈনিক রাজবার্তা ও জাতীয় দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকায় ১জন আয়া,১জন নৈশ প্রহরি, ১জন পরীচ্ছন্নতাকর্মী ও ১জন নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষককে জিজ্ঞেস করলে তারা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেন,নিয়ম অনুযায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য নয়। বিজয় দিবসের ছুটির দিনে কোন পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। মিলনের আমার সাথে কোন লেনদেন হয়নি। সভাপতি আলী হোসেন জানান,যেহেতু মামলা হয়েছে,আদালতেই জবাব দেওয়া হবে। #