তিন মিনিটের ভিডিও ক্লিপটিতে দেখা গেছে, নারী সেনারা মাটিতে বসে আছেন, কারো কারো মুখে রক্ত, তাদের হাত পেছনে শক্ত করে বাঁধা। দক্ষিণ ইসরায়েলের নাহাল ওজ ঘাঁটি থেকে তাদের বন্দী করা হয়।
জিম্মি ও নিখোঁজদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গঠিত ফ্যামিলি ফোরামের এক বিবৃতিতে বলা হয়, হামাসের ক্যামেরায় ধারণ করা দ্ইু ঘন্টার ভিডিও থেকে এ ফুটেজ নেয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ভিডিওতে তাদের অপহরণের সময়ে হিংসাত্মক, অপমানজনক ও আতংকজনক আচরণের বিষয়গুলো ফুটে উঠেছে।
ফুটেজের শেষ দিকে দেখা গেছে এসব নারী সেনাকে হামাস একটি সামরিক জিপে তুলে নিয়ে যাচ্ছে।
ওই সামরিক ঘাঁটিতে হামাসের হামলায়৫০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে ১৫ জন নারী সেনা।
এ সময়ে হামাস সাত নারী সৈন্যকে জিম্মি হিসেবে আটক করে। এদের মধ্যে একজনকে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের সময়ে ছেড়ে দেয়া হয়। অপর একজনের লাশ উদ্ধার করে ইসরায়েলকে হস্তান্তর করা হয়।
এদিকে হামাস বলেছে, ভিডিও ফুটেজে কারসাজি করা হয়েছে যাতে মিথ্যে অভিযোগ এবং প্রতিরোধের ভাবমূর্তিকে ক্ষুন্ন করা যায়।
উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনী সংগঠন হামাস গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক বড়ো ধরনের হামলা চালায়। এ সময়ে তারা প্রায় এক হাজার ১৭০ ইসরায়েলীকে হত্যা এবং ২৫০ জনকে জিম্মি করে। এখনও হামাসের কাছে ১২৪ জন জিম্মি হিসেবে আটক রয়েছে।
এদিকে ৭ অক্টোবর ইসরায়েল গাজায় প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলা শুরু করে যা এখনও চলছে। গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত এ হামলায় ৩৫ হাজার৭০৯ ফিলিস্তিনী নিহত হয়েছে। এদের অধিকাংশ নারী ও শিশু।# বাসস