রাজশাহীর তানোরে বিএমডিএর মেকানিক-গুদাম রক্ষক মুর্তিমান আতঙ্ক
-
প্রকাশের সময় :
বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই, ২০২২
-
১৮৫
বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
মমিনুল ইসলাম মুন বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধি ………………….
রাজশাহীর তানোরে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) মেকানিক রাজু আহম্মেদ ও গুদাম রক্ষক মুনসুর রহমানের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির বিস্তর অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় গভীর নলকুপ অপারেটরদের অভিযোগ তারা পরস্পর যোগসাজশে অপারেটরদের জিম্মি করে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। তাদের নানামুখী অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে সিংহভাগ অপারেটর অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তারা এখন অপারেটরদের কাছে রীতিমত মুর্তিমান আতঙ্ক।
জানা গেছে, তানোরের পাঁচন্দর ইউনিয়নের (ইউপি) জেল নম্বর ৯২ চাঁদপুর মৌজায়, ২৮০৮ নম্বর দাগের গভীর নলকুপ রি-বোরিং করা হয়েছে। অপারেটর সরদার আবুল হোসেন রি-বোরিং আবেদন করে এক লাখ টাকা জমা দিয়েছেন। এছাড়াও তিনটি বোরিং পরীক্ষার জন্য ১৫ হাজার, বাঁশের জন্য ৩ হাজার, ৪০ লিটার ডিজেল, মিস্ত্রিদের খাবার, যাতায়াত ভাড়াসহ মোটা অঙ্কের টাকা ব্যয় করেছেন।
এদিকে নতুন বোরিংয়ে নতুন মটরের জন্য নতুন ৩০০ ফিট তার প্রয়োজন যেটা অফিস থেকে দেবার কথা। কিন্ত্ত নতুন তার কেনার জন্য মেকানিক রাজু ও গুদাম রক্ষক মুনসুর অপারেটরকে জানান অফিসে কোনো তার নাই বাইরে থেকে কিনতে হবে। এজন্য ৩৩ হাজার টাকা প্রয়োজনের কথা বলে, নতুন তার কেনার জন্য অপারেটরের কাছে থেকে নগদ ১৮ হাজার টাকা নিয়েছেন, বাঁকি টাকা পরে নিবেন। কিন্ত্ত মেকানিক রাজু ও গুদাম রক্ষক মুনসুর যোগসাজশ করে অফিস গোপণে পুরাতন তার চুরি করে সেই তার দিয়ে মটর সেট করেছেন বলে অপারেটর সরদার আবুল হোসেন নিশ্চিত হয়েছেন।
এদিকে ঘটনা জানার পর তারা বিএমডিএ তানোর জোনের সহকারী প্রকৌশলীর কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে সহকারী প্রকৌশলী বিষয়টি তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছে। অপরদিকে গভীর নলকুপ স্কীমের কৃষকেরা টাকা ফেরত এবং গুদাম রক্ষক ও মেকানিকের শাস্তির দাবিতে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে বিএমডিএ তানোর জোনের সহকারী প্রকৌশলী মাহাফুজুর রহমান বলেন, অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।তিনি বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন হেড অফিসে প্রেরণ করা হয়েছে। এবিষয়ে গুদাম রক্ষক মুনসুর রহমান বলেন, মেকানিক পুরাতন তার চেয়েছে তাই তাকে পুরাতন তার দেয়া হয়েছে, তার কোথায় লাগাবে সেটা তার বিষয এখানে তার কোনো দোষ নাই।
এবিষয়ে মেকানিক রাজু বলেন, তিনি অসুস্থ এবিষয়ে কোনো কথা বলতে পারবেন না। এবিষয়ে অপারেটর ও পাঁচন্দর ইউপি যুবলীগের সাবেক সভাপতি সরদার আবুল হোসেন বলেন, তারের টাকা ফেরতের পাশাপাশি কৃষকের কাছে তার যে সম্মানহানি হয়েছে, এর জন্য গুদাম রক্ষক ও মেকানিকের দৃশ্যমান কঠোর শাস্তির দাবি করেন তিনি।#
এই সংবাদটি শেয়ার করুন
এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ