বাগমারা থেকে বিশেষ প্রতিনিধি…………………………………………………………………
বাগমারায় দেবরের লাঠির আঘাতে ভাবির গর্ভপাতের অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে উপজেলার সোনাডাঙ্গা ইউনিয়নের সোনাডাঙ্গা ডাক্তারপাড়া গ্রামে।
জানা যায়, বাড়ির বারান্দায় ছাগল বেঁধে রাখার অপরাধে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ভাবি সেলিনা বেগমের পেটে লাঠি দিয়ে আঘাত করে গর্ভপাত ঘটিয়েছে দেবর আলমগীর হোসেন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে গুরুতর আহত হয়ে ওই গৃহবধূ সেলিনা বেগম বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৩ নং ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোনাডাঙ্গা ডাক্তার পাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী সেলিনা বেগম বাড়ির বারান্দায় ছাগল বেঁধে রাখেন। এ নিয়ে শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় শ্বশুর শাহজাহান ও শাশুড়ি জাহানারা বিবির সঙ্গে পুত্রবধূ সেলিনা বেগমের কথা কাটাকাটি শুরু হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে শাশুড়ি জাহানারা বিবি ও ননদ শ্রাবণী খাতুন তাকে মারধর শুরু করে। এ সময় দেবর আলমগীর হোসেনও তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে ভাবি সেলিনা বেগমের পেটে আঘাত করে। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হলে গুরুতর আহত অবস্থায় সেলিনা বেগমকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার গর্ভের সন্তান নষ্ট হয় বলে তার স্বামী জানান।
সেলিনা বেগমের স্বামী জাহাঙ্গীর আলম আরও জানান, তিনি স্ত্রীর চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতালে ব্যস্ত আছেন। চিকিৎসা গ্রহণ শেষে স্ত্রীর গর্ভের সন্তান হত্যার অভিযোগে মা, ভাই ও বোনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে বাগমারা থানার ওসি অরবিন্দ সরকার বলেন, বর্তমানে ওই গৃহবধূ পুলিশের তত্ত্বাবধানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার গর্ভপাত হওয়া সন্তান উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় মামলা হওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।#