বিশেষ প্রতিনিধি …………………………………………………….
রাজশাহীর বাঘায় ভেজাল গুড় তৈরির কারখানায় দিনভর অভিযান চালিয়ে ১২ কারখানার মালিককে ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর । শনিবার (৯ মার্চ) র্যাবের সহায়তায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এই জরিমানা করা হয়েছে। জব্দ করা ভেজাল গুড় ও ক্যামিকেল জন সন্মুখে ধ্বংশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় উপ-পরিচালক ইব্রাহীম হোসেন।
তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় রঙ,চিনিসহ ক্ষতিকর ক্যামিকেল মিশিয়ে ভেজাল গুড় উৎপাদন করে বাজারজাত করে আসছিল অসাধু ব্যবসায়ীরা। তারা বিভিন্ন ধরনের রং মিশিয়ে গুড় উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বাজারজাত করতো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই গুড় উৎপাদন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। গুড় উৎপাদন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানের ১২ জনকে ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে তা আদায় করা হয়েছে। একই সাথে তাদের সংরক্ষণ করা গুড় গুলো ধ্বংস করা হয়েছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
জানা যায়, ক্ষতিকর রঙ ও বিভিন্ন ক্যামিক্যাল, চিনি, মোনালিসা, চুন, হাইড্রোজ, ফিটকিরি, ডালডা ও আটা ব্যবহার করে গুড় তৈরী করছিলেন কারখানার মালিককরা। শনিবার(৯ মার্চ’২৪) অভিযান চালিয়ে আড়ানী ইউনিয়নের খোর্দ্দবাউসা গ্রামের মঞ্জুরুল ইসলামের ১ লক্ষ টাকা, সাহাপুর গ্রামের মিম ট্রের্ডাসের মালিক মুক্তার আলীর ৩০ হাজার, একই গ্রামের গুড়ের আড়ৎদার মোমিনের ১৫ হাজার, সাহাপুর সাজিপাড়ার সুজন টেডার্সের ৩০ হাজার, শরিফ টেডাসের্র ২০ হাজার, চকসিংগা গ্রামে আলিফ টের্ডাসের ২০ হাজার, চকসিংগা গ্রামে রমজান ট্রেডার্সের ২০ হাজার, মনিগ্রামের গুড়ের আড়ৎদার মাজেদুলের ২০ হাজার, এলাহী ট্রেডার্সের ৩০ হাজার, মনিগ্রাম শামিম হোসেনের কারখানায় ১০ হাজার টাকা, হায়দার আলীর ৩০ হাজার, নাজিম উদ্দিনের ৫ হাজার টাকাসহ ১২ জনের ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়া ২৪০ কেজি গুড়, চিনি, মোনালিসা, নানা রকম কেমিক্যাল, চুন, রং, হাইড্রোজ, ফিটকিরি, ডালডা ও আটা জব্দ করে জনস্মুখে ধ্বংস করা হয়েছে। #