নিজস্ব সংবাদদাতা, বাকেরগঞ্জ, বরিশাল……………………………………….
আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-৬ বাকেরগঞ্জে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনী মাঠে গণসংযোগ করে বেড়াচ্ছেন হাফিজ মল্লিক। নমিনেশন ফরম সংগ্রহের পর থেকেই বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে আলোচনায় আসেন নৌকো মার্কার এই প্রার্থী।
২১ ডিসেম্বর দুর্গাপাসা ইউনিয়নের সেনের বাজারে নৌকা মার্কা প্রার্থীর গণসংযোগে নৌকার প্রার্থী হাফিজ মল্লিক হ্যান্ড মাইক হাতে নিয়ে জনসাধারণের উদ্দেশ্যে বলেন, যারা নৌকার পক্ষে নির্বাচন করবেন না তারা যেন এলাকা ছেড়ে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে যান। তাহলে ভোট হাফিজ মল্লিকের বিপক্ষে যাবে না। আর যদি তারা এলাকায় থাকে তাহলেই ভোটগুলো হাফিজ মল্লিকের বিপক্ষে যাবে। এ সময় নৌকা মার্কার প্রার্থী হাফিজ মল্লিক দুর্গাপাশা ইউপি চেয়ারম্যান হানিফ তালুকদারের উদ্দেশ্যে বলেন, হানিফ তালুকদারের নির্বাচনে তার পক্ষে আমি ভোট চেয়েছিলাম এবং তখন বলেছিলাম এই এলাকার কাজ হানিফ তালুকদার পিছনে থাকবে আমি সামনে থেকেই কাজ করবো।
চেয়ারম্যান সহ সাধারণ ভোটাররা যাহারা নৌকার পক্ষে কাজ না করবে তাদেরকে এলাকা ছাড়ার হুমকি দেয় এ সময়। নৌকা মার্কা প্রার্থীর অসঙ্গতি আচরণে এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে সমালোচনার ঝড় বইছে।
এ বিষয়ে দুর্গাপাশা ইউপি চেয়ারম্যান হানিফ তালুকদার বলেন, আমি শারীরিক অসুস্থতা ও পারিবারিক কারণে এখন পর্যন্ত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে কোন প্রার্থীর পক্ষে নামেনি। তবে নৌকা মার্কার প্রার্থী হাফিজ মল্লিক সেনের বাজার তার নির্বাচনী গণসংযোগে এলাকার সাধারণ ভোটারসহ আমাকে নৌকার পক্ষে কাজ না করলে এলাকা ছাড়ার হুমকি দেয়। আমি দুর্গপাশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নৌকা মার্কা নিয়ে নির্বাচিত একজন চেয়ারম্যান। হাফিজ মল্লিকের উস্কানিমূলক এমন বক্তব্যে নৌকার সমর্থিত নেতাকর্মীরা এখন দুঃসাহস হয়েছে। হাফিজ মল্লিক দলীয় মনোনয়ন পেয়ে তার নিজ এলাকায় আসলে ফরিদপুর ইউনিয়নের একজন ইউপি সদস্য সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হয়েছে।
এখন আমার নির্বাচিত এলাকা দুর্গাপাশায় এসে আমিসহ এলাকার সাধারণ মানুষকে এলাকা ছাড়ার হুমকি দেয়ায় চারিদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আমি ও আমার পরিবারের লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। যেকোনো সময় আমার উপর বড় ধরনের হামলা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই জেলা ও উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ সহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।#