# কামাল প্রধান, জেলা প্রতিনিধি নরসিংদী………………………………………………..
বৃহস্পতিবার সকাল বেলায় নরসিংদীর মাধবদী থানা মেঘনা বাজার ও বাজারের আশেপাশের গ্রামে বিভিন্ন কৌশলের সাধারণ মানুষের সরলতার সুযোগে মোবাইল ও নগদ অর্থ নিয়ে পালিয়ে গেছে নরসিংদী জেলার মাধবদী থানা পাইকারচর ইউনিয়নের বালাপুরচর গ্রামের আব্দুল বাতেন মিয়ার ছেলে মুছা মিয়া।
প্রতারক মুসার পিতা বাতেন মিয়া মৃত্যুর পর মুসার মা পরিবান বেগম অন্যত্র বিবাহ হবার পর তার দাদির ভিটাতে থাকতো মুসা মিয়া। পিতা মাতা না থাকায় এলাকার সবাই তাকে সাহায্য সহযোগিতা করিত।
বিলকিস আক্তার বলেন, আমাদের বাড়ির পার্শ্ববর্তী তার দাদির ভিটা বাড়িতেই থাকতো মুসা মিয়া। সে হঠাৎ আমাদের বাড়িতে এসে আমার মোবাইল চেয়েছিল তার বউয়ের বিপদ তার মোবাইলে টাকা না থাকায় আমার মোবাইল দিয়ে তার বউয়ের সাথে কথা বলার জন্য। কিন্তু বিলকিস বেগম মোবাইল দিতে রাজি না হয়ে প্রাইভেট পড়াতে চলে যান। প্রতারক মুসা মিয়া কোথায় প্রাইভেট পড়ান সেই খবর নিয়ে সেখানে গিয়ে অনেক কাকুতি মিনতি করিলে বিলকিস বেগম মানবিক দিক বিবেচনা করে প্রতারক মুসাকে তার বউয়ের সাথে মোবাইলে কথা বলার জন্য মোবাইল দেন। সে কথা বলতে বলতে একটু আড়ালে গিয়ে মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করার পরও মুসাকে না পেয়ে বিলকিস বেগম তার দাদির বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞেস করলে প্রতারক মুসা মিয়ার দাদি বলেন , মুসা বাড়িতে নেই। মুসা মিয়ার ভাবির কাছ থেকে তার মোবাইল নাম্বার নিয়ে তার মোবাইলে ফোন দেওয়ার পর প্রতারক মুসার মোবাইল বন্ধ পায় । মুসার স্ত্রী মুন্নির মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে ফোন দিলে মুসার স্ত্রী মুন্নি বলে তার নিকট মুছা যায়নি।
এ ঘটনার পর জানা যায় একই গ্রামের শফিকুল ও আব্দুর রহমানের দু’টি ফোন কিনবে বলে যাচাই করার জন্য নিয়ে যায় এবং আর ফিরে আসেনি ।এছাড়া সে একই এলাকা থেকে বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে বিভিন্ন ভাবে প্রতারণা করে নগদ অর্থ হাতিয়ে নিয়ে যায় প্রতারক মুসা মিয়া।
এছাড়া ও জানা যায় মুসা মিয়া বিভিন্ন পরিচয়ে বিভিন্ন এলাকায় একাধিক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে। এলাকাবাসী প্রতারক মুসা মিয়ার সন্ধান ও শাস্তি দাবী করেন।#