1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Rokon :
সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:১৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
বাগমারায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ পালিত  রাজশাহীতে ঋণের বোঝা সইতে না পেরে কৃষকের আত্মহত্যা আত্রাইয়ে দীর্ঘদিন ধরে ইউএনও-এসিল্যান্ড পদ শুন্য, কাঙ্খিত সেবা মিলছেনা   শিবগঞ্জে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা পত্নীতলায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদ্বোধন শিবগঞ্জে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত খালেদা জিয়ার জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে বাঘায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত খুলনা জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত ‎ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা মেজর-এসপিকে, আইনগত প্রক্রিয়া শুরু করেছে আন শৃঙ্খলা বাহিনী বাঘায় বন্যা দুর্গত এলাকায় বিএনপি নেতা চাঁদের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, সরকারি ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত 

দু’দিনের টানা বৃষ্টিতে রাজশাহীর তানোরে আলুচাষে ব্যাপক ক্ষতির আশংকা

  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ৩৭১ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

# আলিফ হোসেন, তানোর……………………………………………………………….

দুদিনের টানা বৃষ্টিতে আলুখেতে অতিরিক্ত পানি জমায় তানোরে চলতি মৌসুমে আলুচাষিদের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। এতে করে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার বিরাট সম্ভাবনা রয়েছে।ফলে আলুচাষিরা অনেকাংশে বিড়ম্বণায় পড়েছে।

আলুচাষিরা বলছেন, সদ্য রোপণকৃত যেসব আলুখেতে  সেচ দেয়া হয়েছিল  সেই সব জমিতে অতিরিক্ত পানি জমেছে। দ্রুত পানি নিষ্কাশন করা প্রয়োজন। কিন্ত্ত পানি নিস্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় রোপণকৃত আলু বীজ পচে যাবার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।  ফলে তারা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন। তবে, সেচ না দেয়া রোপনকৃত আলুখেতে তেমন কোনো সমস্যা হবে না।

গত শুক্রবার ও শনিবার দুদিন বিভিন্ন এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বেশীরভাগ জমিতেই পানি জমে টইটুম্বর। কিন্ত্ত এসব পানি নিস্কাশনের তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। তবে, অল্প সংখক আলুখেতে তেমন পানি জমেনি। কৃষকরা বলছেন,  আলুখেতে বীজ রোপণের ১০  থেকে ১২ দিনের মধ্যে সেচ দিতে হয়।

উপজেলার বেশিরভাগ আলুখেতে বীজ রোপণের ১৫ থেকে ২০ দিন আগেই  সেচ দেয়া সম্পূর্ন হয়েছিল। অপরদিকে উপজেলার বেশ কিছু এলাকার অনেক জমি আলু রোপণের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিলো। তবে সেসব জমিতে পানি জমায় এখন আর আলু রোপণ করা যাবে না। সরনজাই ইউপির শুকদেবপুর গ্রামের কৃষক জামিল, সেলিম, রেজাউল জানান, জমি থেকে পানি বের করার জন্য তারা সকাল থেকে থাল- গামলা দিয়ে পানি বের করার চেষ্টা করছেন।

জামিল বলেন, তার ৫ বিঘা জমিতে আলু রোপণ করেছেন। গত মঙ্গল ও বুধবারে সেচ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু বুধবার  ও বৃহস্পতিবার দিন রাতে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হয়। বৃষ্টির কারণে জমিতে অতিরিক্ত  পানি জমে গেছে। বের করার কোন ব্যবস্থা নেই। দু’ একদিনের মধ্যে পানি বের না হলে বীজ পচে নষ্ট হয়ে যাবে।

রেজাউল  বলেন, তার ৩ বিঘা জমিতে আলু বীজ রোপণ করে প্রথম সেচ দেয়ার পর বৃষ্টির পানিতে বিপদে পড়েছি। সেলিম  বলেন, তার ৭ বিঘা ও তার ভায়ের ১২ বিঘা আলুর জমিতে পানি থইথই করছে। এখন পর্যন্ত্য প্রতি বিঘায় খরচ হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার টাকা। তবে লীজ নিয়ে যারা রোপণ করেছেন তাদের খরচ আরো বেশি হয়েছে।

ধানতৈড় গ্রামের আলু চাষী হাফিজুর রহমান বলেন, এবছর যশপুর মাঠে ১০৮ বিঘা জমি লীজ নিয়ে আলু চাষ করার পর কয়েকদিন আগে সেচ দিয়েছেন। কিন্ত্ত হঠাৎ বৃষ্টিতে সেই আলুর জমিতে পানি জমে গেছে। তিনি বলেন, পানি বের করতে না পারলে ক্ষতি হবে। তবে পানি বের করার চেষ্টা করছেন।

পাঁচন্দর ইউপির কৃষক লুৎফর রহমান বলেন, ৪৫ বিঘা জমিতে সেচ দিয়েছিলাম। বৃষ্টিতে জমিতে প্রচুর পানি জমেছে, কিন্তু বের করার কোন উপায় নেই। একই এলাকার হাবিবুরের ৩০ বিঘা, সেহেরুলের ১০ বিঘা, সারোয়ারেরে ৪০ বিঘাসহ প্রায় প্রতিটি কৃষকের আলুর একই অবস্থা।

তিনি আরো বলেন, যে সব চাষীরা সেচ নিয়েছিল তাদের সমস্যা। এমনকি দ্রুত জমি থেকে পানি বের না হলে পচে যাবে এবং ফলনও কম হবে।  কৃষকরা জানান, আলু রোপণে এবার  বেশি খরচ হয়েছে। কারণ জমি লীজ, সার-কীটনাশক, চাষ, সেচ ও শ্রমিকের মজুরী বেশী হওয়ায় খরচ বেড়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা  সাইফুল্লাহ আহম্মেদ বলেন, এবারে আলু রোপণের লক্ষমাত্রা প্রায় ১৩ হাজার ৫০০ হেক্টর। এপর্যন্ত রোপন হয়েছে প্রায় ১১ হাজার হেক্টর। যে সব জমিতে সেচ দেয়া হয়েছিল ওই সব আলুর জমি ক্ষতি হবে। জমি থেকে দ্রুত পানি বের করতে পারলে ক্ষতির পরিমাণ কম হবে। পানি বের করতে না পরলে লোকসানের মুখে পড়বে চাষীরা। আর যারা সেচ নেয়নি তাদের তেমন কোন ক্ষতি হবে না। এই বৃষ্টিতে সরিষাতে উপকার হবে বলেও জানান তিনি।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট