মোঃ মুক্তাদির হোসেন, কালীগঞ্জ, গাজীপুর………………………………………………….
গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার জামালপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যেগে (২৮শে আগস্ট) সোমবার দুপুর ০২ ঘঠিকার সময় জামালপুর ইউনিয়নের ছৈলাদী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ মাঠে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি আলহাজ্ব মাহাবুবুর রহমান খান (ফারুক মাষ্টার) এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন মোড়ল এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোকাম্মেল হাসান মোড়ল এর যৌথ সঞ্চালনায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ৪৮ তম শাহাদাৎ বার্ষিকি উপলক্ষে স্মরণসভা ও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী মহিলা লীগের সভাপতি ও গাজীপুর ০৫ আসনের সাংসদ, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি (এমপি)।
প্রধান অতিথি মেহের আফরোজ চুমকি এমপি, বক্তব্যের শুরুতেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, জাতীয় চারনেতা,শহীদ মইজুদ্দিন আহমেদ, জামালপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি শহীদ কামাল সহ ১৫ ই আগস্ট শাহাদাৎ বরণকারী সকল শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতায় এসে নিজের ভাগ্যের পরিবর্তনের কথা কথা চিন্তা না করে তিনি আপামর জনসাধারণের ভাগ্যের পরিবর্তনের কথা চিন্তা করেছেন।
তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি চুক্তি, ফারাক্কার দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা সহ বিভিন্ন ভাতার ব্যবস্থা, একটি বাড়ি-একটি খামার, কমিউনিটি ক্লিনিক সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করে গেলেন। তিনি বুঝতে পারলেন যে, রাজাকাররা যে হত্যা, নির্যাতন করেছে তার বিচার না হলে বাংলাদেশের উন্নয়ন করা সম্ভব না। সেজন্য তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করলেন। সেইদিন থেকে শুরু হলো শেখহাসিনাকে হত্যা করার পরিকল্পনা।
বিএনপি জামাতের নেতাকর্মীরা বুঝতে পারলো জনগণের ভালবাসায় তারা ক্ষমতায় আসতে পারবেনা পারবেনা, তাই সব সাফ করে দিতে হবে। সেই জন্য জিয়াউর রহমান ঠিক করেছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে সব সাফ করে দিবে। কিন্ত সপরিবারে শেখ মুজিবকে হত্যা করলেও শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহেনা বিদেশ থাকার কারনে আজ আমাদের প্রধানমন্ত্রী। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের সকলকে নির্মুলে শেষ করতে চাইছিল।
প্রিয় দেশবাসী আপনারা একটা জিনিস খেয়াল রাখবেন বিএনপি-জামাত নৈরাজ্যের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে চেয়েছিল এবং আগামীতেও আসতে চাচ্ছে। যারা পেট্রোল বোমা মেরে, জেলখানায় হত্যা করে, গণতন্ত্র রক্ষা করতে চেয়েছিল। খালেদা ক্ষমতায় আসলে প্রধানমন্ত্রী হবে আরে সেতো নির্বাচনেই অংশগ্রহণ করতে পারবে না, তারেক জিয়াকে নিয়ে আপনারা চিন্তা ভাবনা করছেন, তারেক জিয়া একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেনা।
তিনি বলেন, তারা এখন তৃতীয় শক্তিকে বাস্তবায়ন করতে স্বপ্ন দেখছেন। বাংলাদেশ এখন জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং আগামীতেও যাবে। এসময় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য সকল নেতা কর্মীকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। দীর্ঘ বক্তৃতায় রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক সহ সকল বিষয়ে বক্তব্য রাখেন।
উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবু খগেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ, গাজীপুর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এড. আশরাফী মেহেদী হাসান, কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এইচ এম আবু বকর চৌধুরী, কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ এর চেয়ারম্যান মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন (পলাশ), উপজেলা আওয়ামীলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম কনক, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মোস্তফা কামাল, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম মোড়ল, সহ দপ্তর সম্পাদক আসাদুজ্জামান বরুণ,কালীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এস এম আলমগীর হোসেন।
আরো ছিলেন, জামালপুর ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল আলম, উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি শেখ আব্দুল কাদের নেওয়াজ আরজু, কালীগঞ্জ উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জুয়েনা আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজা পারভীন, গাজীপুর জেলা, কালীগঞ্জ উপজেলা ও জামালপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলা আওয়ামীলীগ, তাঁতীলীগ, যুব মহিলালীগ সহ জামালপুর ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ।
দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে,১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ১৯৭১ সনের মহান মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদ, ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান এর স্ব- পরিবার এর শহিদ ও ২৭ শে সেপ্টেম্বর শহীদ মো: ময়েজউদ্দিন আহমেদ এর বিদ্রেহী আত্মার মাখফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন খলাপাড়া দাখিল মাদ্রসার সুপার মাওলানা ছোলাইমান হোসাইন আইয়ুবী।#
১৮.