ক্যাপশন: পুলিশ বিএনপি সংঘর্ষের প্রতিকৃতি
বিশেষ প্রতিবেদক……………………………………………..
ঢাকায় পুলিশের অনুমতি ছাড়াই বিএনপি অবস্থায় নেওয়ায় পুলিশের সাথে ব্যাপক ব্যাপক সংঘর্ষ, ভাংচুর, কয়েকটি যাত্রীবাহী গাড়ীতে আগ্নিসংযোগ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রলে আনতে পুলিশ বিক্ষুদ্ধ বিএনপি কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে ব্যাপক টিয়ারসেল ছুড়ে ও লাঠিচার্জ করে।পুলিশ বিএনপির শীর্ষ নেতা আমাননুল্লাহ আমান ও গয়েশ্বর রায়সহ বেশ কিছু নেতা-কর্মীকে উর্চ্ছংখল ঘটনার সময় গ্রেফতার করেছে।
নির্ধারিত কিছু সময় পরে অর্থাৎ বেলা ১১টার দিকে বিএনপি বেশ কিছু নেতা ও কর্মীরা একত্রিত হয়ে উত্তর আব্দুল্লাহপুরে অবস্থান নেয়ার চেস্টা করে। এতে পুলিশ বাধা দেয়।এসময় পুলিশের সাথে বিএনপি কর্মীদের ব্যাপক ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।গাবতলী, মাতুয়াল, ধোলাইখাল, আমিন বাজার এলাকায় বিএনপি অবস্থান নেয়ার চেস্টা করে এবং পুলিশের সাথে সাথে সেখানে বাধা দেয়। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি চরম অশান্ত হয়ে ঊঠে এবং পুলিশের সাথে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। উত্তেজিত বিএনপি কর্মীরা মাতুয়ালে পর পর তিনটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। ফায়ার ব্রিগেড আসার আগেই পুলি জলকামানের পানি দিয়ে আগুন অনেকটা নিভিয়ে ফেলে। বাকিটা ফায়ার সার্ভিস এসে কাজ করে।এতে করে ঐ এলাকায় অসহনীয় যানজটের সৃষ্টি হয়।এমতাবস্থায় সাধারণ মানুষ এবং বাস মালিকরা চরম আতংকবোধ করছে। এতে করে বাসচলাচল অনেক সময় পর্যন্ত বিঘ্নিত হয়েছে।
আব্দুল্লাপুরে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচির সময় বিএনপি নেতা আমিনুল ও জয়নাল আবেদীন এসে পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে।তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ব্যাপক ইটপাটকেল ও কেকটেল নিক্ষেপ করে। এসময় আওয়ামীগের অঙ্গ সংগঠন গুলো সেখানে অবস্থান নেয় এবং বিরাট আকারের মিছিল বের করে তবে পুলিশের অনুমতি না থাকায় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়েেআ:লীগ কর্মীরা আবস্থান তুলে নিয়ে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে অবস্থান নেয়। এখানে একরকম আওয়ামীলীগ ও বিএনপি পাল্টাপাল্টি অবস্থানে ছিল।ক্ষমতাসীন দলের সহনশীলতার জন্য ধাঙ্গা এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
পুলিশ ঘটনার পর থেকেই ব্যাপক তল্লাশীর মাধ্যমে বিএনপি কর্মীদের ধরছে। এসব এলকায়সহ গোটা ঢাকা শহরে কড়া নিরাপত্তা ব্যাবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বলা যায় ঢাকা শহরে অনেকটা শান্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আহত ও গ্রেফতারের সংখ্যা জানা যায়নি।#