# নিজস্ব প্রতিবেদক……………………………..
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে সাধারণ কৃষকদের ওপর হামলা করে আহতদের ওপরই উল্টো মামলা করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। গতকাল শনিবার (১৮ জুন) বিকেলে রাজশাহী প্রেসক্লাবে এক সংবাদ এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী কয়েকজন কৃষক।
ভুক্তভোগীরা হলেনÑ উপজেলার পাকড়ি মোষড়াপাড়া এলাকার মৃত শেখ তমির উদ্দিনের ছেলে আশিকুল ইসলাম চাঁদ, মৃত সলেমানের ছেলে কামাল আলী, মো. হযরত আলীর ছেলে মিজানুর রহমান ও মৃত সাইফুদ্দিনের ছেলে শফিকুল। আর অভিযুক্তরা হলেনÑ একই এলাকার মৃত আলিমুদ্দিনের ছেলে আজাহার আলী, আতিকুর রহমান, এমদাদুল, মমিন, বাশার, তার ছেলে আব্দুল্লাহ ও আব্দুল বারি।
সংবাদ সম্মেলনে আশিকুল ইসলাম চাঁদ বলেন, এলাকার মানিক মিয়া ওয়াকফ এস্টেটের ৫১ বিঘা জমি নিয়ে ঝামেলা চলছিল। সেখানে আদালত ১৪৪ ধারা জারি করেন। কিন্তু আদালতের আদেশ অমান্য করে আজাহার দলবল নিয়ে জমি দখলের চেষ্টা চালায় এবং কৃষকদের ওপর হামলা করে। হামলায় ৫/৭ জন আহত হয়। কৃষকদের বাঁচাতে গিয়েও আহত হন কয়েকজন। পরে তারাই উল্টো মামলা করে আদালতে। তার ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ ৩১ জনকে আসামী করা হয় মামলায়।
সংবাদ সম্মেলনে কামাল আলী বলেন, ওইদিনের হামলায় আমিও আহত হই। হামলাকারী আজাহার আমার আপন চাচা। আমি আহত হয়েও আসামী হয়েছি মিথ্যা মামলায়। আমার চাচাতো ভাই নজরুল নামে আরেক কৃষককেও আসামী করা হয়েছে। অথচ তিনিও আমার চাচার হামলায় গুরুতর আহত হন। হারিয়ে ফেলেছেন স্মৃতিশক্তি।
এ সময় পাকড়ি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, ২০১৪ সালের আগে বিএনপির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন হামলাকারী আজাহার। পরে কৃষকলীগে অনুপ্রবেশ করেছেন তিনি। এলাকায় তার অত্যচারে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ। জমিদখল, মারধর, হামলাসহ বিভিন্ন বাজে কাজের জন্য জনরোষের মুখে এলাকায় তিনি ঢুকতে পারছেন না।
সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের পাশাপাশি আজাহারকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন কৃষকরা। এ বিষয়ে অভিযুক্ত আজাহার আলীর তাৎক্ষনিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, প্রতিপক্ষের লোকজন তার ওপর দফায় দফায় হামলা চালিয়েছে।#
আরজা/০৮