1. admin@sobujnagar.com : admin :
  2. sobujnoger@gmail.com : Rokon :
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
সিংড়ায় মাদরাসা দারুস সুন্নাহ বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ সি ইউ সি সংগঠনের সামাজিক কর্মকান্ডে অবদান রাখায়  রোটারিয়ান ইফতেখার আলী বাবুকে সংবর্ধনা ডুমুরিয়ায় শওকত মোল্যা স্মৃতি উন্মুক্ত পাঠাগারের আয়োজনে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতি  অনুষ্ঠান  উপ-সম্পাদকীয়ঃ সীমান্ত হত্যা আর কত ! মোহনপুরে বাজার বণিক সমিতির সাথে জামায়াতে ইসলামীর আলোচনা সভা ও সূধী সমাবেশ রূপসায় খান আলমগীর কবির স্মৃতি ফুটবল টুর্ণামেন্টের সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত অনিয়মঃ তানোরে সার বিতরণে অনিয়ম ও পাচার রোধে হট্টগোল মারপিট গাইবান্ধা সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলা মামলায় ,  গ্রেপ্তারী ওয়ারেন্ট বাঘায় নারী ফুটবল দলের প্রীতি ম্যাচে হাজারো দর্শক পরমাণু বোমা ইরানের হাতের নাগালে

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে মসজিদ ফান্ডের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ সাবেক ইউপি সদস্য অদুতের বিরুদ্ধে

  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১৪ জুলাই, ২০২৩
  • ৮৮ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

# মোঃ নিজাম উদ্দিন স্বাধীন, বাগেরহাট থেকে………………………..

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে উপজেলার ৫ নং রামচন্দ্রপুর ইউনিয়ন এর পশ্চিম গড়গাটা গ্রামের নূরানী জামে মসজিদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে সাবেক সভাপতির বিরুদ্ধে এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় মসজিদ কমিটি ও গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন বলে ধারণা করেন নূরানী জামে মসজিদের এলাকার মুসল্লী ও গণ্যমান্যগনেরা।

 

জানা গেছে, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ থানার কার্যলায় পশ্চিম গড়ঘাটা গ্রামের নূরী জামে মসজিদের সভাপতি থাকাকালীন কামনা গ্রামের সাবেক মেম্বার ইউপি সদস্য আব্দুল অদুত খান তিনি উক্ত মসজিদের সভাপতি অবস্থায় মসজিদের ফান্ডের দেড় লাখ টাকা আত্মসাত করেন। আর এই আত্মসাতকৃত অর্থ দিয়ে তার কামলা গ্রামের স্থানে তার বাড়ির দরজার মাথায় ব্যবসা গড়ে তুলেছেন।

 

স্থানীয় জনগন অভিযোগ করেছেন আব্দুল অদুত খান ( ওরফে অদুত খা ) স্থানীয় একজন দুর্ধর্ষ খারাপ লোক এবং খারাপ কিছু কতিপয় ব্যক্তিদেরকে দিয়ে নানা ধরণে অবৈধ কাজে সহযোগিতা করে আসছেন। তার ছত্রছায়ায় এলাকায় মাছ ব্যবসা ছাড়াও নানা অসামাজিক কর্মকান্ড আব্দুল অদুত খান ( ওরফে অদুত খা ) এর ব্যবসার দোকানে মাদকসহ বিভিন্ন অপকর্ম চলছে। ফলে এলার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।

 

এছাড়া ও আব্দুল অদুত খান তার আপন চাচাত বোনের স্বামীকে মারধর করে স্বামীর সংসার ভাঙতে বাধ্য করেছেন। এরপর তার চাচাতো বোন রোকেয়াকে তিনি নিজেই বিয়ে করেন। আব্দুল অদুত খান এর ভয়ে তার স্থানীয় অনেক নিরীহ দিনমজুর অসহায় লোকজন মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না।

 

আব্দুল অদুত খান  বিভিন্ন সময় কারণ-অকারণে এলাকার মুরব্বিদেরকে মারধর করেন এবং তাদের উপর অমানবিক অত্যাচার করেন। এছাড়াও বর্তমানে বিভিন্ন সময়ে তার লোকজন এলাকার প্রায় অধিকাংশ বাড়িতেই কোন না কোন ঝগড়া বিবাধ সৃস্টি করছেন। ৫ নং রামচন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত মেম্বার সদস্য সাজাহান মাঝি এ প্রতিনিধিকে বলেন, পশ্চিম গড়ঘাটা নুরানী জামে মসজিদের সভাপতি থাকা অবস্থায় আব্দুল অদুত খান ( ওরোফে অদুত খা ) তিনি মসজিদের দেড় লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এ বিষয়টি তখনকার থাকাকালীন চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান বাবুল সাহেব এবং আমি মেম্বার সদস্য থাকাকালীন আরো এলাকার গণ্যমান্য নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সালিশি করা হয়, যা প্রত্যেকটি মানুষ জানেন। অদুত খা টাকা মসজিদের ফেরত দেয়ার কথা ও স্বীকার করেন, সালিশির সিদ্ধান্ত মোতাবেক সে টাকা  ফেরত দেওয়ার কথা  তিনি স্বীকার করেন।

 

এ বিষয়ে এলাকার সালাম সাহেব আব্দুল অদুত খান এর কাছে টাকা একাধিকবার চাওয়ার পরেও আব্দুল ওয়াদুদ খান দিব দিচ্ছি করে সময় পার করেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত মসজিদের দেড় লক্ষ আত্মসাৎ এর টাকা ফেরত দেননি। সুযোগ সন্ধানী অদুত খা আগে স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন । বর্তমানে তিনি বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত রয়েছেন।

 

ঢাকাস্ত বাসিন্দা মির ফজলুর রহমান জানান, আমি ঢাকায় থাকি। মাঝে মাঝে গ্রামের বাড়িতে যাই। গ্রামে গিয়ে জানতে পেরেছি, আমাদের এলাকার পশ্চিম গড়ঘাটা গ্রামের নুরানী জামে মসজিদের কিছু টাকা আত্মসাত করেছে আর এই বিষয়টি এখন ওপেন সিক্রেট। প্রত্যেকেটি গ্রামের মানুষের মুখে মুখে শোনা যাচ্ছে। সাবেক মেম্বার ইউপি সদস্য শাহজাহান মাঝি আরো বলেন মসজিদ অফ্ফায় কারীদের বাড়িতে ইউপির চেয়ারম্যান সহ গ্রামের গণ্যমান্য কে নিয়ে সালিশি করা হয় সালিশিতে সাব্যস্ত হয় আব্দুল অদুত খান ( ওরোফ অদুত খা ) টাকা ফেরত দিবে, তিনি টাকা দেওয়ার কথাও স্বীকার করেন এবং এলাকার একাদিক ব্যক্তি নিয়ে সালিশ বৈঠক একাধিকবার করা হলেও এখন পর্যন্ত আত্মসাৎ এর টাকা ফেরত দেয়নি ।

 

এ ব্যাপারে নুরীনী জামে মসজিদের সাবেক সভাপতি মোঃ আব্দুল অদুত খান এ প্রতিনিধিকে বলেন, পশ্চিম গরকাটা গ্রামের নুরানী জামে মসজিদের সভাপতি আমি ছিলাম আজ থেকে তিন বছর আগে আমাদের সাবেক এমপি ডাক্তার মোজাম্মেল হোসেন একটি টিআর বরাদ্দ দিয়ে ছিল যার মূল্য ছিলো ৪০ হাজার টাকা তা দিয়ে ২০ হাজার টাকা একটি সৌরসোলার বাবদ নেওয়া হয়। তিনি আরো বলেন, মসজিদের অর্থ আত্মসাতের প্রশ্নই উঠেনা। আমি সভাপতি থাকা অবস্থায় মসজিদের যে টাকা ছিল, তা দিয়ে মসজিদের দরজা, জানানার রং করা হয়েছে। আর বাকি টাকা দিয়ে মসজিদের উন্নয়নের কাজ করা হয়েছে। তিনি বলেন, এটা বর্তমান রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আমার প্রতিপক্ষের লোকজন এমন অভিযোগ এনেছেন।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট