# আকাশ সরকার………………………………………………………………..
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় জমি নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে দুই ভাইসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। সোমাবর সকাল সাড়ে আটটার দিকে পাকড়ি ইউনিয়নের একটি গ্রামের কৃষি জমির দখল নিয়ে এসংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় দুই পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৬ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনজন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম।
ওসি জানান, সোমবার (১০ জুলাই) সকালে গোদাগাড়ী উপজেলার কাঁকনহাট ইয়াজপুরে এ সংঘর্ষ ঘটে। সেখানে দু’টি পক্ষ ১৪ থেকে সাড়ে ১৪ বিঘা জমি নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষে নিহতরা হলেন দুই ভাই নাইমুল ইসলাম ও মেহের আলী এবং সোহেল রানা। তাদের মধ্যে নাইমুল ও মেহের আলীর বাড়ি গোদাগাড়ীর বড়গাছি এলাকায়। আর সোহেল রানার বাড়ি রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া থানা এলাকায়। রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি আহত ৬ জন হলেন, ইউনুস, মো. আমু, মো. রায়হান, মো. মনিরুল, মো. সোলেমান এবং রজব আলী।
জানা গেছে, স্থানীয় আশিক চাঁদ এবং সেলিম রেজা পক্ষের মধ্যে জমির সিএস রেকর্ড নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। সকালে সেই দ্বন্দ্ব সংঘর্ষে রূপ নেয়। তারপরই হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। উল্লেখ্য যে এটা হাজী মানিকউল্লাহ ওয়াকফ এস্টেট এর গেজেট ভূক্ত সম্পত্তি। যার সরকারি দলিল নম্বর ৫৭৬,,, গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ওয়াকফ প্রশাসনের ইসি নং ১৩২৫,, গভ.ট্রাষ্ট গঠন ১৯৩৪ সাল। এই সম্পত্তি ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০২ পর্যন্ত রাজশাহী জেলা প্রশাসক মুতয়াল্লী(প্রসিডেন্ট)নিযুক্ত ছিলেন । গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও এই সম্পত্তির মুতয়াল্লী(প্রেসিডেন্ট) নিযুক্ত ছিলেন. মোট সম্পত্তি ১৩৩.৪৫ একর ৪০১ বিঘা বর্তমান মুতয়াল্লী আশিকুল ইসলাম চাদ ২০১৫ সালে সরকারিভাবে মুতয়াল্লী নিযুক্ত হোন। তারপর থেকে ভোগ দখল করে আসছিলেন আশিকুর রহমান চাঁদ। বিবাদমান জমি নিয়ে রাজশাহী জেলা যুগ্ন জজ (১ম) আদালতে রেকর্ড সংশোধনী দেওয়ানী মোকদ্দমা চলমান রয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( এডিএম) কোর্টে ১৪৪/১৪৫ ধারা জারী রয়েছে।
স্থানীয় জনসাধারণের ভাষ্য কাকনহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের গাফিলতির কারণে এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। তারা যদি সঠিক সময়ে এ সংঘর্ষ প্রতিহত করার চেস্টা করতো তাহলে তিনটি তাজা প্রাণ অকালে ঝরে যেত না, এরকম মন্তব্য এলাকাবাসির।#