রাজশাহী বাঘায় কাঁচা মরিচ ও আদার দাম বেশি, ক্রেতা মেলেনি চামড়ার
বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি…………………………………………………………….
এবারের ঈদুল আযহার ঈদের আগের দিন সকালে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে সাড়ে ৩০০’শ থেকে ৪০০’শ টাকায়। সেই কাঁচা মরিচের দাম বাড়িয়ে বিকেলের পর থেকে বিক্রি হয়েছে ৬০০ টাকা কেজি দরে। একইভাবে দাম বাড়ানো হয়েছে আদাসহ অন্যান্য মসলারও। ঈদের দিন নামাজের ২/৩ ঘন্টা পরে শুরু হয় বৃষ্টি। এতে ভোগান্তি বাড়ে বিশেষ করে গরুর চামড়া ছাড়ানোর কাজে। তবে কাঙ্খিত বৃষ্টির দেখা পেয়ে স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজেও আনন্দের সাথে সেই কাজটি করেছেন অধিকাংশ লোকজন।
এদিকে গরুর চামড়া ৪০০ থেকে ৫০০’শ টাকায় বিক্রি হলেও ছাগলের চামড়ার ক্রেতা পাওয়া যায়নি। প্রথমে ছাগলের চামড়ার দাম ২০ টাকা করে বললেও পরে আর নিতে চাননি কেউ। রপ্তানিযোগ্য চামড়ার এ অবস্থা দেখে জনগন হতাশ হলেও সরকারিভাবে পদক্ষেপ নিতেও দেখা যায়নি।
অন্যদিকে স্বস্তির বৃষ্টিতে ভোগান্তি বাড়ে চলাচলে। বাঘা পৌর সভার জিরো পয়েন্ট থেকে বাঘা বাজার পর্যন্ত দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। সড়কের পানি উপচে পড়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। দুইশ মিটার কম-বেশি রাস্তার এ জনদুর্ভোগ বেড়ে যায় পানি নিষ্কাশনের অভাবে। দুর্ভোগ এড়াতে পারেনি সড়কের দুইধারে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ড্রেন। তবে জনদুর্ভোগ এড়াতে বাঘা পৌরসভার পক্ষ থেকে ব্যবস্থা করা হয় পানি নিষ্কাশনের। এতে চলাচলে স্বস্তি মিললেও বেশি ভাড়া আদায় করা হয়েছে যানবাহনে। দ্রব্য মূল্যে বৃদ্ধির অজুহাতে ১কিলোমিটার রাস্তায় যেতে হয়েছে ১০ টাকা ভাড়া দিয়ে। ইঞ্জিনচালিত অবৈধ যানের দাপট এখন সারাদিন সড়কে। রান্টু নামের একজন জানান, তদারকির অভাবে,যে যার মতো পেরেছে দাম বাড়িয়েছে। তার কথায়,আগের দামে কেনা পণ্যই পরে বেশি দামে বিক্রি করা হয়েছে।
একইভাবে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে চিনি। হালিম নামের একজন বলেন, মজুতদারের লাগাম টেনে ধরবে কে? জানা গেছে, সার্বিক বিষয় নিয়ে আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় আলোচনা হলেও পদক্ষেপ নিতে তেমন একটা দেখা যায়না। শনিবার(১ জুলাই) বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ৬০০ টাকা কেজি দরের সেই কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছিল ৪৮০ টাকা কেজি দরে। আদা বিক্রি হয়েছে ৪০০’শ টাকা কেজি। বাঘা পৌর মেয়র আক্কাছ আলী বলেন,সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে সড়কের কাজ চলছে। সড়ক থেকে ড্রেন উচু হওয়ায় পানি নিষ্কাশন হতে পারছে না। কাজ শেষ হলে সড়কে হয়তো জলাবদ্ধতা থাকবেনা। অবস্থার প্রেক্ষিতে পৌরসভার পক্ষ থেকে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রনের বিষয়ে স্থাণীয় প্রশাসনের সাথে কথা বলবেন।#