যশোর পুলিশ সুপারের দৃষ্ঠি আকর্ষন: যশোর অভয়নগরে ভাসছে মাদক,বাড়ছে চুরি
-
প্রকাশের সময় :
রবিবার, ১২ জুন, ২০২২
-
২৬৪
বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
# উৎপল ঘোষ, যশোর……………………………………
যশোর অভয়নগর উপজেলায় সম্ভাবনাময় উঠতি যুবকেরা মাদকে রাহু গ্রাসের শিকার, কুরে করে খাচ্ছে তাদের জীবন।মাদকের অর্থ জোগাতে চুরির ডাকাতি পেশায় নেমেছে।প্রায় প্রতি রাতে মুদির দোকান, মসজিদ ও বিভিন্ন বাজার থেকে অসংখ্য সাইকেল, ইঞ্চিন চালিত ভ্যান চুরি,ছোট খাটো মোবাইল,টাচ মোবাইল,হাস-মুরগী,স্বর্ণের চেইন,আংটি,কানের দুল,শাড়ি,নগদ টাকা সহ নানা জিনিস।
তথ্যোনুসন্ধানে জানা গেছে, মাদক সেবীরা চুরি,ডাকাতির পাশাপাশি ছিনতাই চাঁদাবাজি করছে।পৌরসভাসহ ৮টি ইউনিয়নে মাদক বিক্রেতা ও খোরদের আনাগোনা রয়েছে।পৌরসভাসহ উত্তরে প্রেমবাগ ইউপি থেকে শুরু করে সুন্দলী,পায়রা,চলিশিয়া ও ভৈরব নদীর পূর্ব জনপদের শ্রীধরপুর,বাঘুটিয়া,শুভরাড়া ও সিদ্দিপাশা ইউপিতে মাদক খোরদের সংখ্যা দিন দিন আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না বলে উপায়হীন অভিভাবকেরা হতাশার মধ্যে রয়েছেন।
প্রেমবাগ বাজার সংলগ্ন, ভাঙ্গাগেট ট্রাক টার্মিনাল সংলগ্ন, নওয়াপাড়া জুট মিলের উত্তর পাশে ফুটবল খেলার মাঠের পাশে দীর্ঘদিন ধরে মাদকের ব্যাবসা চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে।অনুরুপ অভিযোগ চলিশিয়া ও পায়রা বাজারে।মধ্যপুর খেয়াঘাট,শংকরপাশা গ্রামের বিলপাড় এলাকার গাঁজা বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। শংকরপাশা বাজার খেয়াঘাট, নুরবাগ কাঁচা বাজার ,ফেরিঘাট, বাঘুটিয়া নিমতলা বাজার মোড় এলাকা যেখানে সংখ্যা লঘু সম্প্রদায়ের বসবাস।গভীর রাত পর্যন্ত মাদক সেবিদের আনাগোনা মাতলামি সহ মারপিটের ঘটনা ঘটার অভিযোগ রয়েছে।ঐ এলাকায় প্রায় কমপক্ষে ৩০টি চুরির ঘটনা ঘটছে।
সম্প্রতি ৭নং শুভরাড়া ইউনিয়নের শুভরাড়া গ্রামের আনন্দ দাস,বিরেন রায়,মাধব মালাকারসহ একাধিক পান চুরির ঘটনা ঘটেছে।প্রফুল্ল পরামানিকের বাড়ি আগুন দেওয়া। গত মাসে ২৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা রাতে নিতাই দাসের বাড়িতে চুরি করে নগদ কুড়ি হাজার টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়।এব্যাপারে ভূক্তভোগী নিতাই দাস অভয়নগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।শুভরাড়া খেয়াঘাট মন্দিরের পাশে নেশাখোরদের গভীর রাত পর্যন্ত চলে বিচরণ।ঐ এলাকার সংখ্যা লঘু সম্প্রদায়গং ভীত সন্ত্রস্তর মধ্যে রয়েছে।প্রতিবাদ করলে জীবন নাশের হুমকি।অনেকে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
২৭ ফেব্রুয়ারি২০২১ইং রাতে প্রায় তিনটার দিকে নারকেল ব্যবসায়ির মিজানুর রহমানের বাড়ি থেকে সাইকেল,টাচ মোবাইল ও শ্রমের নগদ ১৫ শ’ টাকা চুরির ঘটনা ঘটেছে।সিংগাড়ি বাজারে দীর্ঘদিন ধরে চলছে গাঁজার ব্যবসা।স্থানীয় পুলিশ কয়েকজনকে আটক করলেও জামিনে তারা বেরিয়ে এসে আবার পুরাতন ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ভাটপাড়া গ্রাম থেকে মোবাইল,সাইকেল চুরি, পাইকপাড়া গ্রামে বিছালি গাঁদায় আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
মাদকসহ আটকের পর বিগত দিনে অনেককে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির উপর।আলোচিত ইউনিয়নে মাদকের ক্রয়ের অর্থ যোগান দিতে তারা প্রায় প্রতি রাতে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে নামী দামী মোবাইল সাইকেল সহ নানা জিনিস।অভিযুক্তরা সবাই পুলিশের লিষ্টেট।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেছেন, পুলিশ সৎ ইচ্ছা করলেই মাদক বিক্রেতা ও খোর নির্মুল করতে পারে।সমাজের সচেতন মহল ও অভিভাবক মহল স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি নির্ভরশীল নয় তাই পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভূক্তভোগী মহল।#
এডিট: আরজা/০৮
এই সংবাদটি শেয়ার করুন
এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ