বিশেষ প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাঘায় বিএনপি নেতার বাড়িতে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১৭জানুয়ারি) রাত আনুমানিক রাত ৯ টার দিকে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফখরুল হাসান বাবুলের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। ফখরুল হাসান বাবুল উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিকট শব্দ শুনে লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে বাড়ির গেটের সামনে ও বাড়ির ভেতরে বিস্ফোরিত ককটেল নিক্ষেপের স্থান দেখেছেন। বিএনপির দলীয় নেতা কর্মীরা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে বিক্ষোভ মিছিল করে। তারা আওয়ামী লীগ ও রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, পাকড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম ওরফে মেরাজকে উদ্দেশ্য করে শ্লোগান দেয়।বিএনপির অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রতিবাদসহ নিন্দা জানিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছেন।
পুলিশ জানায়, ৩টা বিস্ফোরিত হয়েছে। ৬টা উদ্ধার করা হয়েছে। সেগুলো জর্দ্দার কৌটায় বিশেষ কায়দায় বাঁধানো ছিল। প্রাথমিকভাবে ককটেল সদৃশ বস্ত বলে ধারনা করা হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞ দিয়ে পরীক্ষার পর ককটের কিনা জানা যাবে।
বাঘা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তফিকুল ইসলাম তফি ও পাকুড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের মোল্লা জানান, খবর শুনে নেতা কর্মীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ককটেল হামলা ও বিস্ফোরণের বিষয়টি দেখেছেন। তাৎক্ষনিক বিক্ষোভও করেছেন।
ফখরুল হাসান বাবুল জানান, ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। খবরশুনে বাড়িতে গিয়ে ককটেল ও পিস্তুলের গুলি ছোড়া হয়েছে বলে জানতে পারেন। তার দাবি,হত্যার উদ্দেশ্য আওয়ামীলীগের লোকজন এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।
এ বিষযে মামরা করবেন বলে জানান তিনি। আওয়ামীলীগের স্থানীয় নেতাদের না পেয়ে বক্তব্য নেওয়া যায়নি। সাবেক চেয়ারম্যান ও আ’লীগ নেতা মেরাজের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলেও বন্ধা পাওযা গেছে।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)আফম আসাদুজ্জামান জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে বিশেষ কায়দায় জর্দ্দার কৌটায় মোড়ানো অবিস্ফোরিত ৬টা ককটেল সদৃশ বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে। ৩টা বিস্ফোরিত হয়েছে। তাৎক্ষনিক হামরাকারিদের সনাক্ত করা যায়নি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।#