1. admin@sobujnagar.com : admin :
  2. sobujnoger@gmail.com : Rokon :
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
সিংড়ায় মাদরাসা দারুস সুন্নাহ বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ সি ইউ সি সংগঠনের সামাজিক কর্মকান্ডে অবদান রাখায়  রোটারিয়ান ইফতেখার আলী বাবুকে সংবর্ধনা ডুমুরিয়ায় শওকত মোল্যা স্মৃতি উন্মুক্ত পাঠাগারের আয়োজনে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতি  অনুষ্ঠান  উপ-সম্পাদকীয়ঃ সীমান্ত হত্যা আর কত ! মোহনপুরে বাজার বণিক সমিতির সাথে জামায়াতে ইসলামীর আলোচনা সভা ও সূধী সমাবেশ রূপসায় খান আলমগীর কবির স্মৃতি ফুটবল টুর্ণামেন্টের সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত অনিয়মঃ তানোরে সার বিতরণে অনিয়ম ও পাচার রোধে হট্টগোল মারপিট গাইবান্ধা সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলা মামলায় ,  গ্রেপ্তারী ওয়ারেন্ট বাঘায় নারী ফুটবল দলের প্রীতি ম্যাচে হাজারো দর্শক পরমাণু বোমা ইরানের হাতের নাগালে

২১ বছর বন্ধ থাকার পর চালু হচ্ছে ঠাকুরগাঁও রেশম কারখানা, ৫ হাজার চাষীর কর্মসংস্থানের সুযোগ

  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ২৯ জুলাই, ২০২৩
  • ১১৯ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

ক্যাপশন: ঠাকুরগাঁও কারখানায়। শ্রমিকেরা মেশিনগুলো পরিস্কার করে সুতা লাগিয়ে কাপড় বোনার কাজ শুরু করেছেন। ………………………………………ছবি: সুজন

 

সুজন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি…………………………………………………………………..

ঠাকুরগাঁও জেলার দীর্ঘ ২১ বছর ধরে বন্ধ থাকা অন্যতম মাঝারী শিল্প প্রতিষ্ঠান রেশম কারাখানাটি অবশেষে চালু হতে চলেছে। ইতিমধ্যে কারখানাটি চালুর উদ্দেশ্যে কারিগরি যাবতীয় কাজ সমাপ্তির পথে। কারখানার মেশিনগুলো পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করে চলাচলের উপযোগী করে তোলা হয়েছে। আর কয়েক দিনের মধ্যেই প্রাণ চাঞ্চল্য ফিরে আসবে সেখানে।

 

কারখানার মেশিনগুলো থেকে কাপড় বোনার কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। শহরের গোবিন্দনগর  ঠাকুরগাঁও রেশম কারাখানায় গিয়ে দেখা যায়, পুরাতন-নতুন শ্রমিকের কর্মচাঞ্চলে প্রাণ ফিরে এসেছে কারখানায়। শ্রমিকেরা মেশিনগুলো পরিস্কার করে সুতা লাগিয়ে কাপড় বোনার কাজ শুরু করেছেন।

 

জানা গেছে, এক সময় ঠাকুরগাঁও জেলার ঐতিহ্যবাহী রেশম কারখানায় উৎপাদিত হতো মসৃণ সিল্ক কাপড়। এর মধ্যে ২০টি পাওয়ার লুম, ২০টি তাঁত রয়েছে। এছাড়াও পাওয়ার লুম ও হ্যান্ড লুমগুলিও সচল করা হয়েছে। রেশম কারখানা বন্ধ হওয়ার পর প্রায় ৫ হাজার রেশম চাষী বেকার হয়ে পড়েছিলেন। তার মধ্যেও প্রায় ২ থেকে ৩ হাজার চাষী রেশম চাষ ধরে রেখেছিলেন। কিন্তু তুঁতগাছের অভাবে তারা গুটিপোকা পালন করতে পারছিলেন না। তাই কারখানাটি চালু হলে রেশম চাষের সঙ্গে যুক্ত ৫ হাজার বা তার অধিক চাষীর আবারও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।

 

চাষীদের গুটি পোকা পালনের মাধ্যমে তাদের সুতা দিয়ে ঠাকুরগাঁও রেশম কারখানায় উৎপাদিত মসৃণ সিল্ক কাপড় আবারও দেশ ও দেশের বাহিরে রপ্তানীর আশা থেকে ৫ বছরের জন্য লীজ নিয়েছেন ঠাকুরগাঁও জেলার সুপ্রিয় গ্রুপ। ইতিপূর্বে গত ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বাংলাদেশ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে ঠাকুরগাঁও জেলার রেশম কারখানা চালুর বিষয়ে ১১ সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়। ১২ জুলাই কারখানাটি পরিদর্শন করেন কমিটির সদস্যরা। কারখানাটি চালুর বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের গঠন করা কমিটির প্রতিবেদনের মাধ্যমে মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিলে যে কোনো সময় কারখানাটি চালু হবে বলে জানা যায়। পরপরই ২০২০ সালের ১৩ অক্টোবার কারখানায় সরেজমিনে পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ রেশম বোর্ডের মহাপরিচালক আব্দুল হাকিম। ঐ সময় তিনি জানিয়েছিলেন চালুর জন্য ৯ সদস্যের একটি টেকনিক্যাল কমিটি করা হয়েছে। এই কমিটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে একটা স্টিমেট তৈরী করে। সেই স্টিমেটের ভিত্তিতেই সুপ্রিয় গ্রুপকে ৫ বছরের জন্য কারাখানাটি লীজ প্রদান করা হয়।

 

কারখানায় জি.এম হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন মো: বেলায়েত হোসেন। তিনি বলেন, কারখানাটি সুপ্রিয় গ্রুপ ৫ বছরের জন্য লীজ নিয়েছে। ইতিমধ্যে সকল কারিগরি কাজ শেষ করে মেশিনগুলো চালু করা হয়েছে। কারখানা বন্ধের আগে যে সকল শ্রমিকগণ এখানে কর্মরত ছিলেন তাদের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে, যারা এখনও বেঁচে রয়েছেন এবং কাজ করার ক্ষমতা সম্পন্ন তাদের এখানে পুনরায় কাজে নিযুক্ত করা হচ্ছে।

 

কারখানা চালুর খবরে পূর্বের ৫ হাজার চাষীর পাশাপাশি তা বেড়ে প্রায় ৬ থেকে সাড়ে ৬ হাজার চাষী নতুন উদ্যোমে রেশম চাষ শুরু করেছেন। সব কিছু ঠিক থাকলে আর কয়েকদিনের মধ্যে পুরোদমে কারখানা চালু হলে উদ্বোধন হবে।

 

সুপ্রিয় গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো: বাবলুর রহমান বলেন, আমরা খুবই আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে, আগামী ৩ আগস্ট ঠাকুরগাঁও রেশম কারখানাটি আনুষ্ঠাকিভাবে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। চালুর ব্যাপারে ইতিমধ্যে যাবতীয় কার্যক্রম সম্পাদন করা হয়েছে। কারখানা বন্ধের পর যে সকল শ্রমিকগণ কর্মক্ষম হয়ে পরেছিলেন, পুরাতন ৮ জন সহ মোট ২৫-৩০ জন শ্রমিক নিযুক্ত করা হয়েছে। মেশিনগুলো আবারও সচল করা হয়েছে, এছাড়াও ২/১ টিতে সামান্য সমস্যা থাকলেও সেগুলো সচলের জন্য কাজ করা হচ্ছে। প্রয়োজনে আরও নতুন নতুন মেশিন ক্রয় করা হবে। কারখানাটি ভালভাবে চালু রাখার জন্য রেশম চাষীসহ সর্বস্তরের মানুষের আন্তরিক দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি।

 

এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মো: মাহবুবুর রহমান বলেন, ঠাকুরগাঁও জেলার রেশমের পূর্বে থেকেই একটি ঐতিহ্য রয়েছে। কারখানাটি চালুর ফলে এখানে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। ঠাকুরগাঁও জেলা খুবই উন্নত ও ভাল মানের রেশম উৎপাদন করা হয়। দেশ ও দেশের বাহিরে ঠাকুরগাঁও জেলার উৎপাদিত রেশমের বেশ চাহিদা রয়ে গেছে। সেই চাহিদা মেটানোর ক্ষেত্রে ঠাকুরগাঁও রোশম কারখানা একটি গুরুত্বপুর্ন ভূমিকা পালন করবে।

 

উল্লেখ্য যে, ১৯৭৭-৭৮ সালে বেসরকারি সংস্থা আরডিআরএস ঠাকুরগাঁও জেলার এই রেশম কারখানাটি স্থাপন করে। ১৯৯৫ সালে রেশম কারখানাটি আধুনিকীকরণের কাজ শুরু হয়ে শেষ হয় ১৯৯৮ সালের ডিসেম্বরে। লোকসানের অজুহাতে ২০০২ সালের ৩০ নভেম্বর কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়। #

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট