মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দারুন শুরু পায় স্বাগতিক বাংলাদেশ। ওপেনার তানজিদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লেতে ৫৭ রান তোলে টাইগাররা। এ সময় তানজিদ ২৭ বলে ৪০ এবং সৌম্য সরকারের রান ছিল ৯ বলে ৬ ।
নবম ওভারে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের চতুর্থ ম্যাচে দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন ৩৪ বল খেলা তানজিদ। অর্ধশতকের পর ব্যক্তিগত ৫১ রানে ক্যাচ দিয়ে জীবন পান তিনি। কিন্তু আরও মাত্র ১ রান যোগ করে ১২তম ওভারের দ্বিতীয় বলে পেসার লুক জঙ্গির বলে আউট হন ৭টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩৭ বলে ৫২ রান করা তানজিদ।
উদ্বোধনী জুটিতে তানজিদ-সৌম্য ৬৮ বলে ১০১ রান করেন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে উদ্বোধনী জুটিতে তৃতীয় এবং সব মিলিয়ে সপ্তমবার শতরানের জুটি গড়লো বাংলাদেশ।
তানজিদকে ফেরানোর ওভারেই সৌম্যকে সাজঘরে ফেরত পাঠান জঙ্গি। ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৪ বলে ৪১ রান করেন প্রথমবার সিরিজে খেলতে নামা সৌম্য।
দলীয় ১০৮ রানে দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে সৌম্য ফেরার পর ব্যাটিং ধ্বস নামে বাংলাদেশ ইনিংসে। তিন নম্বরে তাওহিদ হৃদয়কে ১২ রানে আউট করেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক স্পিনার সিকান্দার রাজা। টাইগার দলনেতা নাজমুল হোসেন শান্তকে ২ ও সাকিব আল হাসান ১ রানে বোল্ড করেন স্পিনার ব্রায়ান বেনেট।
জিম্বাবুয়ের দুই স্পিনারের পর উইকেট শিকারের মাতেন তিন পেসার রিচার্ড এনগারাভা, জঙ্গি ও ব্লেসিং মুজারাবানি। জাকের আলি ও তানজিম হাসানকে ৬ রানেই থামিয়ে দেন এনগারাভা। ২ রান করে জঙ্গির তৃতীয় শিকার হন রিশাদ হোসেন। রানের খাতা খোলার আগেই রান আউট হন তাসকিন আহমেদ। শেষ ব্যাটার হিসেবে মুস্তাফিজুর রহমানকে ৩ রানে শিকার করে বাংলাদেশের ইনিংসের ইতি টানেন মুজারাবানি।
দুই ওপেনারের ১০১ রানের দুর্দান্ত সূচনার পর ২শ রানের স্বপ্নই দেখেছিলো বাংলাদেশ। কিন্তু ১৯ দশমিক ৫ ওভারে ১৪৩ রানে অলআউট হলো টাইগাররা। দুই ওপেনার বাদে বাংলাদেশের শেষ নয় ব্যাটারের আটজনই দুই অংকের কোটা স্পর্শ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। জিম্বাবুয়ে জঙ্গি ৩টি, বেনেট ও এনগারাভা ২টি করে উইকেট নেন।# বাসস