
# আলমগীর হোসেন, সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি : দীর্ঘদিন ধরে নওগাঁর সাপাহার উপজেলায় মৌখিক অনুমতির দোহাই দিয়ে প্রায় প্রতিটি এলাকায় দিন-রাত ভেকু (এক্সকাভেটর) ব্যবহার করে বাণিজ্যিকভাবে ফসলি জমির মাটি কাটা হচ্ছে। এতে পরিবেশ ও কৃষি উভয়ই মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়ছে।
সম্প্রতি উপজেলার একাধিক ইউনিয়নের মধ্যে বিশেষ করে, ৫নং পাতাড়ী ইউনিয়ন, আইহাই ইউনিয়ন ও শিরন্টী ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, এলাকার ফসলি জমি থেকে ২–৩ ফুট গভীরতার টপ সয়েল কেটে সাপাহার উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ও ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে। মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে শত শত ট্রলি ও ট্রাক্টার ( কাঁকড়া) সড়কে চলাচল করছে। এসব ভারী যানবাহনের দাপটে গ্রামীণ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ট্রলি ও ট্রাক্টারে বহন করা মাটি সড়কের ওপর পড়ে থাকায় পথচারী ও যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।
অতিরিক্ত যান চলাচলের কারণে সারাদিন রাস্তাঘাট ধুলোর কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। বৃষ্টি হলে সড়কে জমে থাকা মাটি পিচ্ছিল হয়ে পড়ে; ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। সুশীল সমাজের অন্যতম ব্যাক্তি মাহবুর রহমান বলেন, মাটি ব্যবসায়ীরা নগদ টাকার প্রলোভন দেখিয়ে অল্প দামে জমির মালিকদের কাছ থেকে ফসলি জমির মাটি কিনে নেয় এবং তা বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন স্থানে ও ইটভাটায় বিক্রি করে। উপজেলা প্রশাসন মাঝে মাঝে অভিযান চালালেও “”২০২৫ সালে এখন পযন্ত কোন অভিযান চালানো হয়নি, অপরিকল্পিত মাটি কাটা বন্ধ হচ্ছে না। এতে জমির উর্বরতা নষ্ট হয়ে ফসল উৎপাদন কমছে এবং ধীরে ধীরে সাপাহার উপজেলার ভৌগোলিক চিত্রও পরিবর্তিত হচ্ছে। তিনি মাটি কাটা বন্ধে নিয়মিত ও কার্যকর অভিযান এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
ভেকু মালিক ও মাটি ব্যবসায়ীদের একজন নুরুল ইসলাম বলেন, মানুষের প্রয়োজনেই তারা মাটি কাটেন। তবে মৌখিক অনুমতির পরিবর্তে লিখিত অনুমতি দেওয়া হলে হয়রানি কমবে বলে তিনি দাবি করেন। অন্যদিকে জমির মালিক মুন্টু মিয়া বলেন, নিজেদের প্রয়োজনেই তারা নিজ নিজ জমি থেকে মাটি কাটছেন।#