শাহাদৎ হোসেন খোকন/ শাহরিন সুলতানা সুমা, গাইবান্ধা : গাইবান্ধা জেলার সাদুল্যাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা পোষ্ট অফিস কোড নং- ৫৭১১ দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ফলে সাধারণ গ্রাহকরা সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এমনকি দারুনভাবে হয়রানি হচ্ছে ও।
গাইবান্ধা জেলার সাদুল্যাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা কোড নং – ৫৭১১। এ পোষ্ট অফিসে পরিতোষ কুমার পাল প্রচুর টাকা খরচ করে তার বিনিময়ে তার ভাগ্নে কে নলডাঙ্গা পোষ্ট অফিসে কাজে যোগদান করিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। আলতাফ বালুশার বাজার ৫ লাখ টাকা অনুদান চেক, টাকা ও চিঠি বিতরণ না করে হয়রানিমূলক ফেরত পাঠায়। কেন তিনি বিতরণ না করে চিঠিপত্র আটকে রাখে, বিলম্বে বিতরণ করে কখন ফেরত পাঠায়, কখনও এক পোষ্ট অফিসের চিঠিপত্র অন্য পোষ্ট অফিসে ইচ্ছেকৃতভাবে পাঠিয়ে দেয় তা রহস্য। এতে করে গ্রাহকগণ চরম হয়রানি ও ক্ষতিগ্রস্ত হন।
কারণ সুস্পষ্ট না হলে পোষ্ট অফিস এবং সাধারণ মানুষ অনেকটা এখন বুঝে, তারপরও কিছুই করতে পারে না। অভিযোগ রয়েছে, পরিতোষ কুমার পাল নলডাঙ্গা, বামনডাঙ্গা, সাদুল্যাপুর, গাইবান্ধা লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে অন্যকে পোষ্ট অফিসে বদলী করে নিয়ে আসে। অনেকটা এক প্রকার অবৈধ ব্যাবসা খুলে বসেছে। এখন প্রশ্ন হলো পোষ্ট মাস্টার কি করেন। এসব কর্মকান্ডের সাথে পোষ্টমাস্টারগণ অনেকাংশে জড়িত বলেই পোষ্টম্যানদের এরকম দৌরাত্ম্য।
নলডাঙ্গা পোষ্ট মাষ্টার রফিকুল ইসলাম প্রায় সময় অফিসে দেরিতে আসেন। তারপর এটাসেটা করতে করতে সময় নস্ট করেন কাজের কাজ তেমন করেন না বলে অনেকের অভিযোগ। দেরিতে আসেন আবার ছুটির সময়ের আগেই চলে যান। তিনি প্রায় সময় চা-পানের দোকানে এবং গালগল্প করে তার অফিসিয়াল দায়িত্ব শেষ করেন বলে এলাকাবাসির অনেকেরই অভিযোগ ।
এব্যাপারে এলাকাবাসি জেলা পোষ্ট অফিসের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা কে মৌখিক ও লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন, কাজের কাম কিছুই হয়নি। সবাই রহস্যজনকভাবে বিষয়টি এড়িয়ে যান। ফলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমে না বরং আরো বাড়ে। যে পোষ্ট অফিস নিয়ে একদিন গর্ব ছিল সে অফিস আজ আবর্জনায় ভরে গেছে। এ আবর্জনা পরিস্কার করবে কে, এলাকার সাধারণ মানুষ না সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।#