# জহর হাসান সাগর, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি…………………………………………..
সাতক্ষীরা তালার আলাদীপুর গ্রামের সাহিদ মোড়লের গরুর খামার পরিচালনা হচ্ছে পরিবেশ বান্ধব। লোকালয় থেকে ৭শ’ ফুট দুরে পুকুর খনন করে ড্রেনের ব্যাবস্থায় বর্জ্য নিষ্কাশন হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার আলাদীপুর গ্রামে মোড়ল ও সরদার পাড়ায় গড়ে উঠেছে কয়েকটি গাভীর খামার। আলাদীপুর এলাকার মৃত নুরুল আলী মোড়লের পুত্র সাহিদ মোড়ল শুধুমাত্র পরিবেশ ভারসাম্য বজায় রাখতে তার বাড়ি থেকে ৫-৭ শ’ ফুট দুরে বিলের ধারে নিজের বাগানের জমিতে পুকুর খনন করে সেখানেই ড্রেন ও প্লষ্টিকের পাইপ দিয়ে বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। শুধু তিনি নয় সেখানে বর্জ্য ফেলছে আরো কয়েকটি খামারী।
দেখা গেছে মহাতাপ সরদারের তিন ছেলে মজিবর সরদার, আমিনুল সরদার, মিজানুর সরদার, এছাড়া পার্শ্ববর্তী মৃত্যু নওয়াব আলী মোড়লের ছেলে মোঃ আবুল মোড়ল, ও তার অপর ভ্রাতা হামিদ মোড়ল। মূলত সাইদ মোড়লের গরুর খামারের ধারাবাহিক উন্নতি দেখে তার কারো সহ্য হচ্ছে না বলে তার নামে বিভিন্ন অপপ্রচারের ও অভিযোগ করছে তারই নিজ পুকুরে গরুর খামারের বর্জ্য ফেলার খামারীরা।
মোঃ সাইদ মোড়লের নিজের ব্যাবহৃত স্থানে একাধিক খামারী তাদের বর্জ্য ফেলার কারণে ও বর্ষার মৌসুমে ঐ পুকুরটির পানি উপচে পড়ছে, কিন্তু সাইদ মোড়ল ও পুকুর থেকে বিল দিয়ে খাল বা নদীতে যেতে বিকল্প পাইপিংয়ের ব্যাবস্থা রাখা হয়েছে, সেখান থেকেই পানি চলে যাচ্ছে বিলে। এখানে কোন প্রকার পরিবেশ দূষণের মতো অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ নেই। এখানে সম্পুর্ন স্বাস্থ্যকর পরিবেশে পরিবেশ বান্ধব খামার পরিচালনা হচ্ছে বলে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে মোঃ আব্দুল হামিদ সরদার, আবুল মোড়ল, মিজানুর সরদার, আমিনুল সরদার, মজিবর সরদার, আমরা সাইদ মোড়লের পুকুরে আমাদের খামারের বর্জ্য ফেলা হয়। এখানে সকলে বর্জ্য ফেলার কারণে ভরাট হয়ে গেছে। আমাদের সকলের বিশেষ সুবিধা হচ্ছে সাইদের পুকুরে গরুর খামারের ময়লা ফেলতে দেওয়ার কারণে। এখানে কারো কোন সমস্যা হচ্ছে না। দুরে পাইপের মাধ্যমে ময়লা পানি ফেলা হয়।।
এ বিষয়ে প্রতিবেশী আফছার উদ্দিন সরদার বলেন সাইদ মোড়লের বাগানের পুকুরে সকলের বর্জ্য ফেলার কারণে এলাকার কোন দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে না। কোন পরিবেশে নষ্ট হচ্ছে না। তবে তার বাড়িতে বড় ধরণের গরুর খামার থাকার কারণে হামিদের একটু গন্ধ আসে বলে শুনেছি।
খামারের মালিক সাহিদ মোড়ল বলেন, আমি গরুর খামারের পাশ দিয়ে পাইপ লাইনের মাধ্যমে আমার নিজের পুকুরে বর্জ্য নিষ্কাশন করছি, এবং অনেকেই এখানে তাদের খামারের বর্জ্য ফেলায়। খামারে দিনে কয়েক বার বিলিছিন পাউডার ছিটিয়ে দেযযা হয়। খামারে একজন লোক নিয়োগ করা হয়েছে শুধুমাত্র পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য।
তিনি আরো বলেন আমার পুকুরে কয়েকজন খামারের পানি ফেলে পুকুর ভরাট করে ফেলেছে, এজন্য সমস্যা হচ্ছে বলে আমি স্যানিটারি ইন্সপেক্টর তালা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছি। তিনি বিভিন্ন সময়ে আমাদের মারতে আসে। ফলে জীবনের নিরাপত্তা হীনতায় আছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের স্যানিটারী ইন্সপেক্টর মোঃ আব্দুল মতিন এর কাছে মোঃ সাইদ মোড়লের অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে জানান, তিনি অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন এবং পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কে বিষয়টি অবহিত করবেন।#