পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ সরকারি টাকা লুটপাট করে সেজেছেন দানবীর, তৈরি করছেন নান্দনিক মসজিদ। এলাকায় দানবীর হিসেবে পরিচিত কাস্টমসের সহকারি কমিশনার মজিবর রহমান। তার পিতৃ এলাকায় মসজিদ থাকতেও ৩৩ শতক জমির উপর বহুতল ভবনের নান্দনিক মসজিদ করেছেন তিনি। বিভিন্ন সময় এলাকার মসজিদ-মাদরাসা ও অসহায়দের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদানের কারণে জনপ্রিয়তাও রয়েছে তার। শনিবার (৩০ নভেম্বর) সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের বড়কামাত এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
মজিবর রহমান পঞ্চগড় সদর উপজেলার বড় কামাত এলাকার মৃত কমির উদ্দিনের ছেলে। তবে অনেক টাকার মালিক হওয়ায় এলাকার কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে রাজি হয়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সচেতন মহল। এমন জনপ্রিয়তার মধ্যে তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।
মসজিদের ইমাম সাইদুল ইসলাম বলেন, চারশ থেকে সাড়ে পাঁচশ লোক একসাথে নামায আদায় করা যাবে মসজিদটিতে।মতিয়ার রহমান বলেন,মসজিদের জমিসহ মজিবর রহমান তার টাকায় নির্মাণ করে দিয়েছেন। আর কেউ কোন টাকা দেয়নি।মকলেছার রহমান বলেন, মজিবর রহমান এলাকায় অনেক দান করে।যে যা চাইতো তাকে সেভাবে সাহায্য করেন তিনি।
স্থানীয়রা জানান,মজিবর রহমান তার নামসহ ছেলে ও স্ত্রীর নামে ৫০-৫৫ বিঘা জমিতে চা বাগানসহ শত বিঘা জমিতে ফসল আবাদ করেন।কেউ কেউ তিনশত বিঘা জমি রয়েছে বলেও জানান। এছাড়া ঢাকা টঙ্গি ও যাত্রা বাড়ি এলাকায় বহুতল ভবন, পঞ্চগড় পুরাতন ক্যাম্প এলাকায় বহুতল ভবনের দুইতলার কাজ শেষ,তিন তলার কাজ চলমান,ব্যবহারের জন্য দুটি জীপ গাড়ি।
জানা যায়,এইচএসসি পাশ করে মজিবর রহমান জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অধীনে পিএ পদে ৯০- দশকে চাকরিতে যোগ দেন।পদোন্নতি পেয়ে সহকারি কমিশনার হয়ে ঢাকা কাকরাইল কাস্টমস রিস্ক মেনেজমেন্ট থেকে সম্প্রতি অবসরে গেছেন তিনি।#