1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Rokon :
সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১২:৩৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
আত্রাইয়ে নুরুল ইসলামের মৃত্যু ঘিরে ধুম্রজাল সৃষ্টি  বাঘায় মাদকসহ চুরির টাকা ও সরঞ্জাম উদ্ধার, ৫ জন গ্রেফতার  মাসিক সভায় বাঘার আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারি অপরাধ বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা রূপসা উপজেলা প্রেসক্লাবের সৌজন্যে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফুটবল বিতরণ ট্রাম্পের বিতর্কিত ব্যয় বিলের ওপর মার্কিন সিনেটে বিতর্ক শুরু কাস্টমস সদস্যদের কর্মবিরতির কারণে বাংলাবান্ধা স্থল বন্দরে ১৫১ টি ট্রাক আটকা পড়েছে রাজশাহীর তানোরে পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয় ঘেরাও তোপের মুখে ডিজিএমের পলায়ন পেশাদারিত্ব ও মানবিকতার সমন্বয়ে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান আরএমপি’র পুলিশ কমিশনারের বাগমারার গ্রাম-বাংলা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে শত শত বাঁশঝাড় পঞ্চগড়ের হাবিবা এক বছরে কোরআনের হাফেজা, রাজকীয় বিদায় 

সবার জন্য উদাহরণ হয়ে অটো চালক’র ছেলে আরাফাত রাবির ভর্তি পরীক্ষায় বি-ইউনিটে প্রথম

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫
  • ২৫ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

৥ জিয়াউল কবীর স্বপন:                                                                        পারিবারিক অভাবের মধ্যে লড়াই করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান ভর্তি পরীক্ষায় বি ইউনিটে প্রথম স্থান অধিকার করেছে আরাফাতুল ইসলাম। তিনি হার মানেননি বাবার দারিদ্র্যতার কাছে। তার বাবা অটোরিকশা চালক বলে জানা গেছে।

নুন আনতে পান্তা নেই এমন পরিবেশে দেশের হাজার হাজার ছাত্রদের জন্য অনুকরণীয় এই আরাফাত বাবার ঘাম আর নিজের অদম্য পরিশ্রম ও ইচ্ছা শক্তিতে গড়তে সক্ষম হয়েছিল রাবির ভর্তি পরীক্ষায় হাজার হাজার টাকা ওয়ালা বাবা আছে। এমন ছেলে দের পিছনে ফেলে নিজের উজ্জ্বল ভবিষ্যতে সাফল্য আনতে রাবির ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হয়।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) স্নাতক (সম্মান) প্রথমবর্ষ ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হওয়া আরাফাত চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার মাস্টার নজির আহমেদ ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে রাবির ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। আরাফাতের বাবা মোস্তাক আহমেদ একজন অটোরিকশা চালক। দিনরাত পরিশ্রম করে পাঁচ সদস্যের পরিবারের ভরণপোষণ করেন তিনি। মা রহিমা আক্তার একজন গৃহিণী। পরিবারের দিন কাটে অভাব-অনটনে। জীবনের এতো না পাওয়ার মধ্যেও সন্তানের স্বপ্ন পূরণের চেষ্টা করেছেন। তাদের জীবনের এমন এক পর্যায়ে আশির্বাদ হয়ে সুসংবাদ এসেছে যখন তাদের জীবন পরিক্রমা ছিল দারিদ্র্যতায় জর্জরিত। এখন আরাফাতুল ইসলাম আবদুল্লাহ’র সাফল্যে প্রশংসায় ভাসছে সারা বাংলাদেশ।

আরাফাত এসএসসিতে পেয়েছেন জিপিএ ৪.৫০, আর এইচএসসিতে জিপিএ ৫। এরপর ‘বি’ ইউনিটে এককভাবে সর্বোচ্চ নম্বর ৭৭.৫০ পেয়ে তিনি প্রথম স্থান অর্জন করছেন।পরিবারের ক্ষুদ্র আয়ের মধ্যেই করেছেন পড়ালেখা। হতদরিদ্র পরিবারের মধ্যে থেকেই পড়ালেখার প্রতি প্রবল আগ্ৰহ আরাফাতে শিক্ষা জীবনের প্রতিটি ধাপে এমন সাফল্য এনে দিয়েছে বলে জানা গেছে।

আরাফাতুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান “ইন্টারমিডিয়েট ফার্স্ট ইয়ারে থাকাকালীন বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে খুব একটা জানতাম না। পরে সেকেন্ড ইয়ারে উঠে কলেজের শিক্ষক এবং ফেসবুকের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চতর শিক্ষা সম্পর্কে জানতে পারি। তখন থেকেই স্বপ্ন দেখি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বো।”

ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি শুধুমাত্র “নামাজ, খাওয়া আর ঘুম ছাড়া পুরো সময়টা আমি পড়াশোনাতেই থাকতাম। প্রতিদিন নিয়ম করে ১২-১৩ ঘন্টা পড়ালেখা করতাম। এইচএসসির সময় থেকেই পাঠ্যবইগুলো ভালোভাবে পড়ে রেখেছিলাম। তাই ভর্তি পরীক্ষার আগে খুব একটা চাপ অনুভব করিনি।” আরাফাতের সম্পর্কে রাবির কয়েক জন ছাত্রের সাথে কথা হলে তারা বলেন, তিনি সারা বাংলাদেশ’র জন্য একটা সাফল্যের উদাহরণ গড়তে সক্ষম হয়েছেন।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট