বিশেষ প্রতিনিধি : রাজশাহীর বাঘায় দায়ের করা ধর্ষন মামলার একটিতে তুষার হোসেন (২২) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৫। তুষার হোসেন উপজেলার হাবাসপুর গ্রামের মুক্তার হোসেনের ছেলে। বৃহসপতিবার (২০-০৩-২০২৫) রাতে বেলপুকুর এলাকা তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পালিয়ে বেড়াচ্ছে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলার আসামী জয় হোসেন(১৮)। সে বাঘা পৌরসভার চকছাতারি গ্রামের হানিফ মিস্ত্রির ছেলে।
জানা যায়,গত বুধবার (১৯ মার্চ’২৫) দুপুরে চকছাতারি গ্রামের জয় হোসেন নিজ গ্রামের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীকে টাকার লোভ দেখিয়ে তার বাবার নির্মাণাধীন ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এসময় শিক্ষার্থীর মা তার নির্মাণাধীন অসমাপ্ত বাড়িতে যাওয়ার পর জয় হোসেন পালিয়ে যায়। ওইদিন রাতে জয় হোসেনকে আসামী করে বাঘা থানায় মামলা দায়ের করেন শিক্ষীর্থীর মা নার্গিস বেগম।
পুলিশ শিক্ষার্থীর শারিরিক পরীক্ষাসহ চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-ষ্টপ ক্রাইসিস সেন্টার-এ (ওসিসি) ভর্তি করে। বর্তমানে আইইিউতে ভর্তির কথা জানিয়েছেন শিক্ষার্থীর পিতা মাজেদুল ইসলাম। তার মা সেখানে রয়েছেন।
শুক্রবার (২১ মার্চ’২৫) সরেজমিন শিক্ষার্থীর বাড়িতে গিয়ে তার নানিকে পাওয়া যায়। খবর পেয়ে বাড়িতে আসেন শিক্ষার্থীর পিতা। তিনি জানান, বর্তমানে বসবাস করা জায়গাটি তার নিজস্ব নয়। খুব কষ্ট করে গ্রামেই ১কাঠা জমি কিনে সবেমাত্র থাকার জন্য ঘর শুরু করেছেন। ফাঁকা সেই ঘরে নিয়ে গিয়ে তার শিশু কণ্যাকে ধর্ষণ করেছে। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, কিছুটা ফাঁকা জায়গায় করা ঘরটির উপরে টিন সেট, চারিদিকে টিনের বেড়া। এখানো দরজা লাগানো হয়নি। ঘরের ভেতরে মেঝে করার জন্য মাটি ফেলে রাখা হয়েছে। চারিদিকে ফাঁকা। কিছুটা দুরে ধর্ষণ মামলার আসামী জয় হোসেনের আধাপাঁকা বাড়ি। সেখানে গিয়ে দেখা যায় ভেতর থেকে গেট লাগানো।
জয়ের দাদি ফরিদা জানালেন,মামলার পর থেকে জয় হোসেন বাড়িতে থাকছেনা। একদিন আগে তার মা বাবাও কোথাও যেন গিয়েছে। এদিকে, গৃহবধুকে ধর্ষণের অভিযোগে আরেকটি মামলা হয়েছে। গৃহবধু বাদি হয়ে ঘটনার দুইদিন পর গত রোববার(১৬ মার্চ’২৫) হাবাসপুর গ্রামের তুষার হোসেনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেছেন। এ মামলায় তুষার হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গৃহবধুর স্বামী সুজন আলী জানান, কাজের সুবাদে নিজ জেলার বাইরে শরিয়তপুর ছিলেন। তার মা ছাগল নিয়ে মাঠে ছিলেন। বাড়িতে একা ছিল তার স্ত্রী। এই সুযোগে বাড়িতে প্রবেশ করে ভয় ভীতি দেখায়ে ধর্ষণ করে গ্রামের প্রতিবেশি চাচা তুষার হোসেন। শুক্রবার (১৪ মার্চ’২৫) ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরে স্ত্রীর কাছ থেকে বিষয়টি জেনেছেন। বর্তমানে তার স্ত্রী বাবার বাড়ি রুপপুর-হরিরামপুর আছে। ৯ মাস আগে বিয়ে করেছেন বলে জানান সুজন আলী।
বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আ.ফ.ম আছাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলায় পলাতক আসামী জয় হোসেনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। গ্রেপ্তার তুষার হোসেনকে শুক্রবার(২১ মার্চ’২৫)কারাগারে।#