# শিবগঞ্জ প্রতিনিধি: শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের সাহাপাড়া-মোড়লপাড়া গ্রামে নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। গ্রামের পুকর থেকে বুধবার দুপুরে উদ্ধার করা হলো প্রবাসী স্বামী-সন্তানহারা কেয়া খাতুনের (২৫) মরদেহ। কেয়া ছিলেন স্থানীয় মির্জা শাহরিয়ার মেয়ে এবং সৌদি প্রবাসী মো. সুমনের স্ত্রী। প্রায় এক সপ্তাহ আগে ২৮ আগস্ট থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিনের প্রবাসী স্বামী সুমনের অপেক্ষা, শ্বশুরবাড়ির প্রতিটি দোরগোড়ায় খোঁজাখুঁজি, আর পরিবারের বুকফাটা আহাজারি মিলেমিশে এখন যেন এক অশেষ বেদনার গল্প।
বুধবার সকালে গ্রামের মানুষ দূরের একটি পুকুরে ভাসমান মরদেহ দেখতে পান। সংবাদ ছড়িয়ে পড়তেই ছুটে আসে এলাকাবাসী। দুপুরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
শিবগঞ্জ থানার ওসি গোলাম কিবরিয়া জানান, মরদেহ দেখে ধারণা করা হচ্ছে কয়েকদিন আগেই কেয়ার মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ অর্ধগলিত থাকায় শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে কি না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আইনগত প্রক্রিয়া চলছে বলেও তিনি জানান।
কেয়ার মৃত্যুতে শোকাহত গ্রামবাসী বলছেন, “এমন অকাল মৃত্যু কেউ মেনে নিতে পারছে না। সদা-হাস্যোজ্জ্বল মেয়েটির এভাবে চলে যাওয়া আমাদের হৃদয় ভেঙে দিয়েছে।” প্রবাসে থাকা স্বামী সংবাদ শোনার পর ভেঙে পড়েছেন বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। এখন কেবল প্রশ্ন—কেন, কীভাবে এমন মৃত্যুর মুখে পড়লেন কেয়া খাতুন? উত্তর খুঁজছে তার পরিবার ও পুরো গ্রাম।#