ক্যাপশন : কলা বাগানের প্রতীকী ছবি
# মেহেরুল ইসলাম মোহন, লালপুর-নাটোর: নাটোরের লালপুর উপজেলার বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের কাজীপাড়া(বালি পুকুর পাড়)এলাকার সুব্বাসের ছেলে মাসুদ(৩২)এর কোটে/বর্গা নেওয়া ৫ বিঘা জমির কলা ও তাহার শ্বশুর সোহেল এর ১ বিঘা জমির লাউ কেটে ধ্বংসের ঘটনায় ১ জনকে সন্দেহ করে লালপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি/জিডি করেছেন ভূক্তোভোগী মাসুদ।লালপুর থানার জিডি নং ১১৮৮। জিডি সূত্রে সন্দেহ জনক অভিযুক্ত/বিবাদী হলেন বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের বড়বাদকয়া এলাকার মৃত সাকের প্রামাণিকের ছেলে পিন্টু আলী(৩৫)।
সূত্রে জানা যায়, বুধবার(২২শে অক্টোবর-২৫)দিবাগত রাতের কোন এক সময় কলা ও লাউ কেটে ধব্বংসের ঘটনা ঘটে।এতে ৯ লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর-২৫) সকালে সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়,প্রায় ১৮০০ টি কলাগাছের কর্তনকৃত কাঁদিগুলো মাটিতে পড়ে আছে। এবং পাশে আরেক জমিতে লাউ গাছের গোড়া কাটা ও লাউ মাটিতে পড়ে আছে। যেগুলো আর কিছুদিন পরে বিক্রির উপযুক্ত হতো। এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের ক্ষেতে নিয়মিত পরিচর্যার কাজ করা শ্রমিক নুরু সংবাদ কর্মীদের জানান,আমি দীর্ঘদিন থেকে মাসুদ রানার কলা বাগানের দেখাশুনা ও পরিচর্যার কাজ করি।এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সকালে গিয়ে দেখি সমস্ত কলা গাছের কাঁদিগুলো কেটে মাটিতে ফেলে রাখা হয়েছে। শুধু কলাই নয় সেখানে পাশে লাউ গাছ ছিল সেগুলোও দুর্বৃত্তরা কেটে নষ্ট করেছে।
স্থানীয়রা জানান, মাসুদ রানা দীর্ঘদিন কলা ও বিভিন্ন সবজির চাষ করে আসছে। তার সঙ্গে কারও শত্রুতার কথা তারা শোনেননি। তবে ঘটনা দেখে মনে হচ্ছে এটা শত্রুতামূলক করা হয়েছে। যারা তার এই ক্ষতি করেছেন তারা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক কাজ করেছেন। তারা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান।
তারা আরও বলেন, মানুষের সঙ্গে মানুষের শত্রুতা থাকতেই পারে। তাই বলে গাছের সঙ্গে শত্রুতা। যারা এই অন্যায় করেছে তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই। যাতে করে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের কাজ করার সাহস না পায়।
লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)রফিকুল ইসলাম সংবাদ কর্মীদের বলেন বলেন,এ বিষয়ে একটি জিডি পাওয়ার সাথে সাথে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।#