# মেহেরুল ইসলাম মোহন, লালপুর,নাটোর ২ লক্ষ টাকা ঘুষ দেওয়া-নেওয়া বিষয়কে কেন্দ্র করে নাটোরের লালপুর উপজেলার দুড়দুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন সংলগ্ন ভেল্লাবাড়ীয়া আব্দুল ওয়াহেদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনামুল হক ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ওয়াজেদ আলী মৃধার চরম দ্বন্দ্বের ঘটনায় লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও)অফিস সহ বিভিন্ন দপ্তরে প্রধান শিক্ষক এনামুল হক শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
গত ১১ই সেপ্টেম্বর-২৪ইং তারিখে প্রধান শিক্ষক এনামুল হক উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও)বরাবর এই অভিযোগ করেছেন এবং উক্ত অভিযোগের অনুলিপি সদয় অবগতির জন্য বিভিন্ন দপ্তরে পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,প্রধান শিক্ষক এনামুল হক তাঁর কর্মরত বিদ্যালয়ে ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগের সকল কার্যাদি শেষে শিক্ষা অফিসার ওয়াজেদ আলী মৃধা নিয়োগ পরীক্ষার সদস্য হিসেবে প্রধান শিক্ষক এনামুল হকের নিকট ২ লাখ টাকা ঘুষ দাবী করলে প্রধান শিক্ষক এনামুল হক গত(৩০শে জুলাই-২৪)ইং তারিখে ১ লাখ টাকা নগদ প্রদান করেন।কিন্তু শিক্ষা অফিসার এতে অসন্তোষ হয়ে রাগে ক্ষোভে আবেগে আপ্লুত হয়ে গত ৪ সেপ্টেম্বর-২৪ ইং তারিখে প্রধান শিক্ষক এনামুল হকের বিরুদ্ধে মামলা ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ আছে।
উল্লেখ করে তাঁর পরিবর্তে উক্ত বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আলাউদ্দিন কে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করার জন্য চিঠি প্রদান করেন।সেই চিঠির আদেশ মোতাবেক প্রধান শিক্ষক এনামুল হক বিদ্যালয়ে আসলে তাঁকে সহকারী শিক্ষকরা বাধা প্রদান করে এবং প্রধান শিক্ষকের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর প্রদানে বাধা দেয় বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান শিক্ষক এনামুল হক।
বুধবার(১৮ই সেপ্টেম্বর-২৪)সকালে সরজমিনে বিদ্যালয়ে গিয়ে সহকারী শিক্ষকদের সাথে কথা হলে তাঁরা সংবাদ কর্মীদের জানায়,উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার প্রধান শিক্ষক এনামুলের পরিবর্তে সহকারী শিক্ষক আলাউদ্দিনকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দিয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছে,সেই চিঠি অনুযায়ী পরবর্তী আদেশ না হওয়া পর্যন্ত এনামুল হক কিভাবে স্কুলে আসে?চিঠি পাওয়ার পরও তিনি ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্কুলে এসেছিল এবং শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেছিল পরে শিক্ষা অফিসারের নির্দেশেই পরবর্তী আদেশ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে স্কুলে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে আলাউদ্দিন দায়িত্ব পালন করবেন।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক এনামুল হক সংবাদ কর্মীদের জানান,আমি আজকেও বিদ্যালয়ে ছিলাম কিন্তু শিক্ষা অফিসার ওয়াজেদ আলী মৃধার উল্টা পাল্টা চিঠি পেয়ে সহকারী শিক্ষকরা আমাকে হেনস্তা করে বিদ্যালয় থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন পরে আমি সেখান থেকে চলে আসি।তিনি আরও জানায়,শিক্ষা অফিসার আমার থেকে ২ লাখ টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন আমি ১ লাখ টাকা দিয়েছিলাম বাকী টাকা দিতে না পারাই আমার নামে উল্টা পাল্টা চিঠি করে আলাউদ্দিনকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করার আদেশ দিয়েছেন।আমার নামে স্কুলের বিষয়ে কোন মামলা নেই,কোন অনিয়ম-দুর্নীতি নেই।আমি এই ঘুষখোর শিক্ষা অফিসারের আইনগত বিচার চাই,তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও)বরাবর অভিযোগ দিয়েছি এবং সেই অভিযোগের অনুলিপি বিভিন্ন দপ্তরে পাঠিয়েছি।
এ বিষয়ে শিক্ষা অফিসার ওয়াজেদ আলী মৃধার মুঠোফোনে একাধিক বার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি। লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও)মেহেদী হাসান সংবাদ কর্মীদের জানান,প্রসেসিং অনুযায়ী তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।#