
মমিনুল ইসলাম মুন, বিশেষ প্রতিনিধি : রাজশাহী-১ (তানোর–গোদাগাড়ী) আসনের প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিকে কেন্দ্র করে তানোরে মশাল মিছিলকে ঘিরে ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার বাদ মাগরিবের পর ডাকবাংলো মাঠ থেকে মশাল মিছিল বের হলে দুই পক্ষের অনুসারীদের মুখোমুখি অবস্থানকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ধানের শীষের প্রার্থী মেজর জেনারেল (অব.) শরীফ উদ্দিনের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের দাবিতে এবং মনোনয়ন বঞ্চিত জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের আজীবন সদস্য অ্যাডভোকেট সুলতানুল ইসলাম তারেকের সমর্থনে তারেকপন্থীরা মশাল মিছিল করেন। মিছিল পৌরসভা ও ভূমি অফিসের গেটের সামনে পৌঁছালে শরীফ উদ্দিনের অনুসারীরা বাধা দিলে পরিস্থিতি দ্রুত অবনতি ঘটে। মুহূর্তেই দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ছুটোছুটি শুরু হয়। উপজেলা পরিষদের মূল গেট থেকে ভূমি অফিসের গেট পর্যন্ত প্রায় আধাঘণ্টা ধরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকে।

সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হন। পাকড়ী ইউনিয়নের রুবেল নামে এক কর্মীর পা ভেঙে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তিনি দীর্ঘ সময় পৌর ভবনের দক্ষিণ পাশে পড়ে ছিলেন, পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। এর আগেই বিকেল থেকে ডাকবাংলো মাঠে অবস্থান নেন তারেকপন্থীরা এবং থানা মোড়ে অবস্থান নেন শরীফপন্থীরা। সন্ধ্যার পর থেকে উভয় পক্ষের উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পায়। ইটপাটকেল নিক্ষেপের এক পর্যায়ে শরীফপন্থীরা পিছু হটে যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত উত্তেজনা বিরাজের পর তারেকপন্থীরা নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরে যেতে শুরু করেন। শরীফ উদ্দিনের অনুসারীরা দাবি করেন, তানোরের রাজনৈতিক মাঠকে অস্থিতিশীল করতেই মশাল মিছিল বের করা হয়েছিল। তারা শান্তিপূর্ণভাবে থানা মোড়ে অবস্থান করছিলেন বলেও দাবি করেন। অন্যদিকে তারেকের অনুসারীরা অভিযোগ করেন, কলমা ইউনিয়নে বিকেল থেকে শরীফ উদ্দিনের সভা চলছিল এবং সেখান থেকেই নেতাকর্মীরা এসে মিছিলে হামলা চালান।
তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আফজাল হোসেন জানান, ঘটনাটি নিয়ে এখনও কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ করেনি। একজন আহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে এবং বর্তমানে পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।#