আবুল কালাম আজাদ……………………………………………………….
রাজশাহীসহ সমগ্র উত্তরাঞ্চলে ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে বোরো ধানের বীজতলা ব্যাপক হারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চারা বিবর্ণ হয়ে হলুদ ও লালচে রং ধারণ করছে। কৃষকরা চারা রক্ষায় কোথাও বীজতলায় ছাই ছিটিয়ে, কোথাও ওষুধ ছিটিয়ে, কোথাও রাতে বোরো বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রেখে চারা রক্ষার চেষ্টা করছেন কৃষকেরা।তার পরও রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। কুয়াশায় বীজতলা ব্যাপকারে নষ্ট হচ্ছে।
এছাড়া কিছু বীজতলায় চারা বের হয়নি। কোনো বীজতলায় আবার চারা মারা যাচ্ছে। এতে চিন্তার পড়েছে এলাকার চাষীকুল।
রাজশাহী আবহাওয়া জানিয়েছে, রাজশাহীতে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলিসিয়াস। গত কয়েকদিন থেকে রাজশাহীর সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমেছে। এছাড়া সন্ধ্যার পরে বাতাস বইলেও রাত থেকে বেলাভর কুয়াশা পড়েছে। সকাল ৯টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। এছাড়া সন্ধ্যা ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ৮৬ শতাংশ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বোরোর বীজতলায় কোথাও হলুদ, কোথাও লালচে বর্ণ ধারণ করেছে। আবার অনেক জায়গায় গাছ বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে। কোনো কোনো বীজতলার চারা মারা যেতে শুরু করেছে। তবে আশার খবর এইযে, তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আক্রান্ত বীজতলা সেরে উঠবে। কুয়াশা থেকে রক্ষার জন্য পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখতে হবে বলে পরামর্ দিয়েছে কৃষিবিদরা।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোজদার হোসেন বলেন, এখনও শীতের কুয়াশার কারণে সেই ভাবে বোরো ধানের বীজ তলা নষ্ট হয়নি। সেইভাবে ক্ষতি হয়নি। তবে আমরা কৃষকদের পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখার পরামর্শ দিচ্ছি।#