# নাজিম হাসান, বাগমারা থকে.ে…………………….
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় প্রায় প্রতিটি হাট-বাজারে অবাধে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ পলিথিন। পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে সরকারী ভাবে পলিথিন ব্যবহার নিষিদ্ধ হলেও নিয়মের তোয়াক্কা না করে দেদারছে উপজেলার প্রায় সর্বত্রই বিক্রি হচ্ছে এসব ক্ষতিকর পলিথিন । এর ফলে পরিবেশের মারাত্বক ক্ষতি হচ্ছে। তবে হাট-বাজার নজরদারী ও নিরব ভুমিকায় রয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন।
উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভা, ভবানীগঞ্জ পৌরসভা, মাদারীগঞ্জ, মোহনগঞ্জ, হাটগাঙ্গোপাড়া,মচমইল, শিকদারীসহ বিভিন্ন হাট ও বাজার ঘুরে দেখা গেছে পলিথিন বেচাকেনা হচ্ছে। মুদি দোকান, কসমেটিক্স, ফলের বাজার,কাঁচা বাজার, মাছের বাজার, মাংসের বাজারে এর ব্যবহার বেশী লক্ষ করা যাচ্ছে। এছাড়া চাল-ডাল, মরিচ, হলুদ,চিনি,ময়দা, মাছ, কাচা বাজারে সবজিসহ বিভিন্ন পণ্য আনা-নেওয়ার কাজে অবাধে ব্যবহার করা হচ্ছে ক্ষতিকর এ নিষিদ্ধ পলিথিন। এ ছাড়াও পলিথিনে মুড়ি ও বেকারীর তৈরী বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য প্যাকেট করে বাজারে বিক্রি করায় সর্বত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকায় পরিবেশের জন্য মারাত্বক ক্ষতি বয়ে আনছে। পচনযোগ্য না হওয়ায় নানা রকম পলিথিন যত্রতত্র ছড়িয়ে থাকায় কৃষি উৎপাদন ব্যহত হওয়ায় সরকার এর ব্যবহার নিষিদ্ধ করে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক হাট-বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, পাইকারীভাবে পলিথিন বিক্রি বন্ধ হলে হাট-বাজারে এগুলোর ব্যবহার এমনিতেই বন্ধ হয়ে যাবে। স্থানীয় সচেতন মহলের অভিযোগ পলিথিন ব্যবহার বন্ধে সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও প্রশাসনের নজরদারির অভাবে হাট-বাজারে অবাধে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার হচ্ছে। তবে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০০২) এর ১৫(১) অনুচ্ছেদের ৪(ক) ধারায় পলিথিন উৎপাদন, আমদানি ও বাজারজাতকরণের জন্য অপরাধীদের সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা
জরিমানা অথবা ৬ মাসের কারাদন্ডের বিধান আছে। কিন্তু অসাধু ব্যবসায়ীরা কিছুদিন লুকিয়ে বেচাকেনা করলেও এখন তা প্রকাশ্যে বিক্রি করছে। এবং বিভিন্ন বাজারের ড্রেনেজ পলিথিনে বন্ধ হয়ে পানি আবদ্ধ থাকায় পানি জমে চলাচলের মারাত্বক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। অথচ জলো পরবিশে অধদিপ্তর এ দকিে কোন নগর দয়েনা। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে পরবিশে অধদিপ্তররে কাজ কি তা জানতে চাই।।
অচিরেই এর ব্যবহার নিষিদ্ধ না করলে পরিবেশ ও কৃষি উৎপাদনের চরম আকার ধারণ করবে বলে এলাকার সুধী সমাজ মনে করছেন।#