নাজিম হাসান,…………………………….
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড সাজুরিয়া গ্রামে একটি ভেকু দালাল সিন্ডিকেট চক্রে মাধ্যমে জমির প্রকৃতি (শ্রেণী) পরিবর্তন করে অনুমোদন ছাড়াই মাছ চাষের জন্য তিন ফসলি জমিতে ইচ্ছে মতো দুলাল, ইসলাম, শুভ, কামাল, আরিফ, মামুনুর রশিদ বাবলু নামের কয়েকজন ভেকু দালাল কনোপাড়া গ্রামের নজবুলের মাধ্যমে ২টি পুকুর খনন করা অবস্থায় এলাকাবাসি অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্থানীয় প্রশাসন পুকুর খনন বন্ধ করনে। তারপরও রাতদিন ২৪ ঘন্টা পুকুর খনন কাজ অব্যাহত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে একদিকে কমে যাচ্ছে দুই ও তিন ফসলি জমির পরিমান। অন্যদিকে যেখানে-সেখানে অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খনন করায় ফসলের মাঠে সৃষ্টি হচ্ছে পানিবদ্ধতা।
এতে ব্যাহত হচ্ছে ফসলি জমিতে চাষবাস। অপরদিকে সাত্তার আলী,কাজমুলসহ কয়েকজন ব্যাক্তি মিলে ঐসকল পুকুর খননকারির কাছ থেকে ভুয়া সাংবাদিকের পরিচয় দিয়ে মোটা অংকের টাকার চাঁদা নিয়ে পুকুর খনন অব্যাহত রেখেছে। আর একারনে সাজুরিয়া গ্রামের বিলেতে রাতদিন ২৪ ঘন্টা পুকুর খনন চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে স্থানী প্রশাসন অসহায় পড়েছে।
কৃষকদের অভিযোগ এই সিন্ডিকেট চক্রদের হাত থেকে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ও ফসলি জমিতে নিয়মবহির্ভূত অপরিকল্পিত পুকুর খনন বন্ধের জন্য দফায় দফায় ভুক্তভোগীরা একাধিকবার স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে বার বার অভিযোগ করেছেন। কিন্তু কোনো প্রতিকার হয়নি বলে তারা দাবি করেন।
এলাকাবাসি সুত্রে জানাগেছে, ১৩নং গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের বিভিন্ন বিলে অবৈধভাবে ফসলি জমিতে পুকুর খনন চলছে। পুকুর খননের ধারাবাহিকতায় এলাকার কিছু প্রভাবশালী ফসলের এই নিচু জমিতে কিছু অংশ খুঁড়ে খননকৃত পুকুরের চার দিকে মাটি দিয়ে বাঁধ দিয়ে গভীর নলক‚প দিয়ে পানি জমা করে দেদারছে মাছ চাষ করছেন। এতে বেশী লাভ পেয়ে সর্বত্র এলাকায় এই ব্যবসা ছড়িয়ে ফেলছে। এতে হাতেগোনা কয়েকজন কৃষক লাভবান হলেও বেশির ভাগ জমির মালিক কৃষিকাজ করতে পারছেন না জলাবদ্ধতায় কারণ।
তাদের অভিযোগ, আষাঢ় মাসে অধিক বৃষ্টিতে বিল ও পুকুর ভরে যায়। টানা বর্ষণে বিল ও পুকুর পরিপূর্ণ হয়ে পানি নামার অব্যবস্থাপনার কারণে বৃষ্টিতে নি¤œাঞ্চলের পাট, পানবরজ, মরিচ ও শাকসবজির ক্ষেত তলিয়ে কৃষকের শত শত বিঘা ফসলি জমি ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে গত বছরে। তার পরেও এবছর ২নং ওয়ার্ড সাজুরিয়া গ্রামে উল্লেখিত কয়েকজন ব্যাক্তি নতুন পুকুর খননকারীরা স্থানীয় উপজেলার কেছু কর্মচারী,পুলিশ,সাংবাদিক,চেয়ারম্যান ও আওয়অমীলীগ নেতাদেরকে তাদের ইচ্ছা মতন টাকা দিয়ে তারা এই বিলসহ বিভিন্ন বিলে অবৈধভাবে ফসলি জমিতে পুকুর খনন চালিয়ে যাচ্ছে। আর একারণে বর্তমান নির্বাহী অফিসার চুপচাপ রয়েছেন।
এদিকে, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ রয়েছে জমির প্রকৃতি (শ্রেণী) পরিবর্তন করা যাবে না। আইনের তোয়াক্কা না করে ফসলি জমিতে চলছে হরদম পুকুর খনন। গত কয়েক বছরে উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নে ফসলি জমিতে অবৈধভাবে ৫ শতাধিকও বেশী পুকুর খনন করা হয়েছে। আর এ জন্য গোয়ালকান্দি ইউনিয়নে দিন দিন ফসলি জমির পরিমাণ কমছে আর বাড়ছে পুকুরের সংখ্যা। ফলে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ উপেক্ষা করে আবাদি জমিতে অবৈধভাবে পুকুর খনন অব্যাহত রাখলেও স্থানীয় প্রশাসন রহস্যজনকভাবে নীরব ভূমিকা পালন করছে। এতে কৃষি জমির পরিমাণই কমে যাচ্ছে এবং হুমকির মুখে পড়ছে চাষাবাদ।
এবিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বাগমারা উপজেলা (ভুমি) কমিশনার মাহ-মাহাবুব রহমান জানান আমি অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুকুর খনন কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। কিন্তু তার পরেও পুকুর খনন চললেও আমি বিষয়টি দেখছি বলে তিনি দায়সারেন। এব্যাপারে বর্তমান বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ০১৭০৯৯৮৯৫৩০ মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।#
এডিট: সান