রাজশাহীর তানোরে ইমামের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ
-
প্রকাশের সময় :
সোমবার, ১৬ মে, ২০২২
-
২৩৯
বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
# মমিনুল ইসলাম মুন,
বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধি
রাজশাহীর তানোর থানা মসজিদের ইমাম মামুনুর রশিদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। তিনি ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে লিখিত অঙ্গীকারনামা করেও ইমাম ফের একই কাজ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।গত ১১ মে বুধবার আল হেরা একাডেমির (শিক্ষা প্রতিষ্ঠান) পক্ষে প্রভাষক ইসাহাক আলী এবং আবুল কালাম আজাদ বাদি হয়ে থানা মসজিদের ইমাম মামুনুর রশিদকে বিবাদী করে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
বিশ্বস্ত সূত্রেজানা গেছে, তানোরের আল-হেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তত্ত্বাবধায়ক (দায়িত্বপ্রাপ্ত) হিসেবে কর্মরত ছিলেন ইমাম মামুনুর রশিদ মামুন। কিন্তু তিনি প্রতিষ্ঠানের আয় ব্যয়ের কোন হিসেব কর্তৃপক্ষকে দিতেন না। তিনি হিসেব না দিয়ে আল-হেরার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের গোপণে ভাগিয়ে নিয়ে পৃথক প্রতিষ্ঠান তৈরীর পরিকল্পনা করেন ও সেচ্ছায় দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন।
এদিকে গত ২৮ মার্চ আল-হেরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ৩০০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে লিখিত অঙ্গীকারনামা করেন ইমাম মামুনুর রশিদ মামুন সেখানে উভয় পক্ষের স্বাক্ষর রয়েছে। অঙ্গীকারনামার শর্তে বলা হয়েছে, ইমাম মামুন নতুন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে পারবেন না এবং আল হেরার কোনো শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে কোথাও নিতে পারবেন না। কিন্তু তিনি ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে আল-হেরা একাডেমির শিক্ষার্থী ও শিক্ষককে তার নতুন প্রতিষ্ঠানে নিয়েছেন। তিনি অঙ্গীকারনামা চুক্তি ভঙ্গ করে কতিপয় পুলিশ কর্মকর্তার নাম ভাঙ্গিয়ে দাপটের সঙ্গে নতুন প্রতিষ্ঠান চালিয়ে যাচ্ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্সকর্তা বলেন, ননজুডিশিয়াল ষ্ট্যামে লিখিত অঙ্গীকারনামা ভঙ্গ দন্ডনীয় অপরাধ। স্থানীয়রা জানান, আল হেরা একাডেমি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে প্রতারণা করে ইমাম মামুন প্রতিষ্ঠান খুলেছেন। তাকে কিছু বলতে গেলেই পুলিশ দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। ফলে একজন ইমামের এমন বির্তকিত কর্মকান্ডে জনমনে চরম অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। তারা মামুনুর রশিদ মামুনকে ইমামের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির দাবি করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, থানা মসজিদে তিনি ইমামতি করছেন। তিনি কেনো কোনো বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়াবেন। এবিষয়ে আল-হেরা একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ইসাহাক আলী ও আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমরা ইমাম মামুনকে বিশ্বাস করে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি প্রতিষ্ঠানের আয় ব্যয় থেকে শুরু করে কোন কিছুর হিসেব না দিয়ে পরিকল্পিতভাবে আল হেরা একাডেমিকে ধ্বংস করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে। অথচ এসব কিছু করবেনা বলে যে চুক্তি নামায় স্বাক্ষর করেছেন সেটা তিনি মানছেন না। আমাদের বোধগম্য নয় তিনি কেন এসব করবেন। নিজেই চুক্তিতে স্বাক্ষর করল আবার তিনিই ভঙ্গ করছেন। শুধু মাত্র থানার ইমাম বলে ক্ষমতার দাপটে এসব করছেন। আবার তাকে চুক্তির বিষয়ে অবহিত করলে প্রশাসনের লোক দিয়ে ভয়ভীতি হুমকি দিচ্ছেন। যদি তিনি এসবই করবেন তাহলে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে কেন স্বাক্ষর করলেন। এজন্য বাধ্য হয়ে সুষ্ঠু সমাধানের জন্য চেয়ারম্যানে কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে থানা মসজিদের ইমাম মামুনুর রশিদ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, প্রতিষ্ঠান যে কেউ খুলতে পারেন এটা দোষের কিছু নয়। এবিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না বলেন, অভিযোগ পেয়ে ভাইস চেয়ারম্যান আবু বাক্কার সিদ্দিককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, আশা করি সুষ্ঠু সমাধান হবে। এবিষয়ে ভাইস চেয়ারম্যান আবু বাক্কার সিদ্দিক জানান, আগামী বুধবারে বাদি বিবাদীকে নিয়ে বসা হবে।#
এডিট: আরজা
এই সংবাদটি শেয়ার করুন
এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ