জিয়াউল কবীর………………………………………………..
রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার গড়গড়িয়া গ্রামের ধান ক্ষেত থেকে এক তরুণীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। আজ শনিবার দুপুরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে।।
নিহত যুবতি হত্যাকাণ্ডের শিকার বলে পুলিশ ধারণা করছে। তার নাম সাহেরা খাতুন (২০)। তিনি গোদাগাড়ীর চাতরা গ্রামের দানেস আলীর মেয়ে। সাহেরার স্বামীর বাড়ি পার্শ্ববর্তী তানোর উপজেলার সরনজাই মির্জাপুর গ্রামে। স্বামী ঢাকায় নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করেন বলে জানা গেছে। থাকতেন বাবার বাড়িতে। সেখান থেকেই গত বুধবার নিখোঁজ হয়েছিলেন নিহত সাহেরা খাতুন। আজ শনিবার সকালে বাড়ি থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে ধান ক্ষেতে অর্ধগলিত লাশ দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে তাকে সনাক্ত করে।
গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, লাশে পচে যাওয়ায় দুর্গন্ধ পেয়ে স্থানীয়রা ধান ক্ষেতে বিবস্ত্র-অর্ধগলিত লাশ দেখতে পান। ধান ক্ষেতের পাশে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল নিহত তরুণীর পোশাক। গোদাগাড়ীর মডেল থানা ওসি জানান, সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতের পর লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। দুই-তিন দিন আগে সাহেরাকে হত্যা করা হয়েছে বলে থমিকভাবে মনে হচ্ছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। ধর্ষণ এর পর হত্যা বলে এলাকার সুত্র জানিয়েছে।
মামলা দায়েরের প্রস্থুতি চলছে বলে তার পরিবার সাংবাদিকদের জানিয়েছে। তবে কে বা কারা এবং কেন তাকে নির্মভাবে ধষর্ণ করে পরে হত্যা করা হয়েছে তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছে না। নাকি হত্যাকারীদের ভয়ে কেউ মুখ খুলছে না তাও বলা যাচ্ছে না।