নাজিম হাসান,রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি:
নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস পালন করেছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি)। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সকাল সাড়ে ৯টায় আরএমপি সদর দপ্তর প্রাঙ্গণে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দিবসটির উদ্বোধন করা হয়।এরপর একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রায় বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মোহাম্মদ শাহজাহান, আরএমপি কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান, জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার প্রমুখ অংশ নেন।
আরএমপি কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির প্রিন্সিপাল ব্যারিস্টার মো. জিল্লুর রহমান।
তিনি বলেন, মানুষ যখন এই পৃথিবীতে এসেছে তখন থেকেই ক্ষমতা ও সম্পদের দ্ব›দ্ব ছিল, আছে এবং থাকবে। আমরা ইতিহাস দেখলে জানবো যে, এই সম্পদ ও ক্ষমতার জন্য বাবা ছেলেকে, ভাই ভাইকে হত্যা করার মতো ঘটনা ঘটেছে। পৃথিবীর এই দ্বন্দ্ব দূর করার জন্য ৭৬ বছর আগে তৈরি করা হয়েছিল জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের এই বাহিনী পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজীম আহমেদ বলেন, আমাদের শান্তিরক্ষী বাহিনী যেভাবে শান্তিরক্ষা করেছে, তেমনি মানুষের ভালবাসাও অর্জন করেছে। এই ভালবাসার কারণে সিয়েরা লিওনে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা বাংলা হয়েছে। যেসব দেশে খাদ্যের অভাব, স্বাস্থ্য সহযোগিতার অভাব ছিলো সেখানে গিয়ে আমাদের শান্তিরক্ষীরা স্বাস্থ্যসেবা, খাবার, শিক্ষা, খেলাধুলা, বিনোদন এবং সংস্কৃতি দিয়েছে ভালোবাসা অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, শান্তিরক্ষী বাহিনী থেকে দেশে রেমিট্র্যন্স আসে এটা মুখ্য বিষয় নয় বরং জীবন বাজি রেখে বিদেশের মাটিতে একটা বিরূপ আবহাওয়ায় অপরিচিত জায়গায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করা অনেক কঠিন। এসময় তিনি শান্তিরক্ষীর কাজগুলো আরও যোগ্যতা ও দক্ষতার সাথে করার আহবান জানান।#