উৎপল ঘোষ (ক্রাইম রিপোর্টার) যশোর……………………….
যশোর কেশবপুরে নরসুন্দর দাস ওরফে চঞ্চল(২২)হত্যা রহসস্য উন্মোচন করে মূল হোতাসহ ৩ আসামিকে গ্রেফতার এবং হত্যার কাজে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করেছে কেশবপুর থানা পুলিশ।
গত ০১ জুন ২০২২খ্রি: রাতে কেশবপুর উপজেলার মজিদপুর গ্রামে কার্তিক দাশের ছেলে চঞ্চল দাস (২২) এর পাশে জনৈক এর কলা বাগান থেকে গলা কাটা ও পেট কাটা অবস্থায় ছুটে আসা বিকাশ দাসের বাড়িতে এসে চিৎকার করতে থাকে।আত্নচিৎকারের শব্দ শুনে পাশের লোকজন ছুটে এসে চঞ্চলকে গুরুতর আহত অবস্থায় কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় চুকনগর বাজারে পৌঁছালে চঞ্চল মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ সুপার (মনিরামপুর সার্কেল) আশেক সূজা মামুন ও কেশবপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন।
পরিদর্শণ শেষে সন্দেহ একই গ্রামের সুদেব দাস (২১) ও তার পিতা আনন্দ দাস (৪৫)কে গ্রেফতার করে।উভয়ের জিজ্ঞাসাবাদের তথ্যানুযায়ী পুনরায় অভিযান পরিচালনা করে সুমন দাস(১৮)কে গ্রেফতার করে।
হত্যার ঘটনায় নিহতের পিতা কার্তিক দাস বাদি হয়ে কেশবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করেন।যার নং-০১।তারিখ- ০১/০৭/২০২২খ্রি:। গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়,সুদেব দাসের নির্দেশনায় সুমন দাস ফোন করে চঞ্চলকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যার পরিকল্পনা মতে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা সুদেব দাস চাকু দিয়ে চঞ্চলকে গলায় ও পেটে আঘাত করে।হত্যার কাজে ব্যবহৃত চাকু মাঠের মধ্যে পুতে রাখে।পরবর্তীতে আসামিদের তথ্য মতে সেখান থেকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করে পুলিশ।গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলো মজিদপুর গ্রামের নিরাপদ দাসের ছেলে আনন্দ দাস (৪৫) তার ছেলে সুদেব দাস (২১) ও একই গ্রামের মিন্টু দাসের ছেলে সুমন দাস (১৮)।
কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন বলেন, চঞ্চল দাস হত্যার রহস্য উন্মোচন করে মূল হোতাসহ এবং হত্যার কাজে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করা হয়েছে।ধৃত আসামীদের গতকাল আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।#