সবুজনগর ডেস্ক : জেলায় আজ সদর, ত্রিশাল ও তারাকান্দা উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের তিনজনসহ মোট আটজন নিহত হয়েছেন।
নিহতদের মধ্যে সাতজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। অন্য একজনের পরিচয় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সদরের কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইন উদ্দিন জানান,আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় সদর উপজেলার ময়মনসিংহ-মুক্তাগাছা সড়কের ল্যাংড়াবাজার এলাকায় একটি যাত্রিবাহী বাস ও মাহেন্দ্রর মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন মারা যান। নিহতরা হলেন, লুৎফর রহমান (৩০) তার স্ত্রী শাহনাজ (২৫) শিশুপুত্র মাহিত (৪)। ঘটনাস্থলে শিশু মাহিত এবং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বাকি দুইজন মারা যান। আহত অবস্থায় আরো একজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
তিনি জানান, নিহত স্বামী-স্ত্রী ভালুকা উপজেলায় মাস্টারবাড়ি এলাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। তারা শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার দিঘীরপাড় এলাকার বাসিন্দা। ঈদের ছুটিতে তারা বাড়ি ফিরছিলেন।
এদিকে, জেলার ত্রিশাল উপজেলায় আজ সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে মাদানি সিএনজি পাম্পের সামনে একটি যাত্রীবাহী পিকআপ ইউটার্ন নেয়ার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই দু’জন নিহত হন।
ত্রিশাল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. চাঁদ মিয়া জানান, নিহতদের মধ্যে মারুফ (১৮)-এর বাড়ি ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় এবং আপেল মিয়া’র (৩০) বাড়ি নান্দাইল উপজেলায়।
তিনি আরও জানান, আজ দুপুরে ত্রিশাল উপজেলার বালিপাড়ায় ত্রিশাল-নান্দাইল সড়কে বাসের ধাক্কায় দুইজন অটোরিকশার যাত্রীর নিহত হন। এদের মধ্যে নিহত নাসিমা (৩৫) ত্রিশাল উপজেলার কাজিরকান্দা গ্রামের বাসিন্দা এবং অপর নিহত আরেকজনের পরিচয় সনাক্তকরণে কাজ চলছে।
অপরদিকে, তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াজেদ আলী জানান, আজ মঙ্গলবার সকালে তারাকান্দা উপজেলায় বাসের ধাক্কায় আবুল বাশার (৬০) নামে এক পথচারী নিহত হয়েছেন।#তথ্য: বাসস