# এম, সামিউজ্জামান সান……………
একটি দেশের উন্নয়নের পূরবো শর্ যোগাযোগ ব্যবস্থা। মানে রাস্তা-ঘাট হলো, কোন যানবাহন নেই, এরকম হলে কেউ কি বলবে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। আবার ট্রেন, বাস, লঞ্চ, রিকশা, অটোরিকশা সবই আছে কিন্তু সড়ক পথ নেই, থাকলেও চলাচলের অনুপোযোগী তাহলে কেমন হবে বলুন তো। এজন্য ভাল সড়ক চাই এবং প্রয়োজনীয় সকল প্রকার যানবাহন চাই। যাতে করে নগরবাসী স্বাচ্ছন্দে চলাফেরা করতে পারে। তার মানে নগরবাসির ভ্রমণ যেন আরামদায়ক হয়। রাজশাহী শহর দেশের অন্যতম স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বান্ধব শহর। এনগরীতে বসবাস করার স্বাদ অন্যরকম। রাজশাহী মহানগরীতে সকল যানবাহন আছে কিন্তু সিটি বাস সাভির্স নেই। আর এটি নগরবাসীর দীর্ঘ্য দিনের দাবি। এদাবি পূরুণ হতে গিয়েও হলো না।
রাজশাহীবাসির একটা অনেকদিনের স্বপ্ন ছিল। সে স্বপ্ন পূরণের জন্য অনেকদিন থেকে দাবি জানিয়ে আসছে। তাদের দাবি কখনও পত্রিকার চিঠিপত্র কলামে, কখনও বা আলোচনায়। কিন্তু দাবি নিয়ে কেউ কোনদিন রাজপথে নামেনি।সবার কথা অটো রিকশার পাশাপাশি নগরীতে সিটি বাস চলাচল করুক আগের মত যেমন টাউন সার্ভিস চালু ছিল। রিকশা অটোরিকশা এবং সিটি বাস সার্ভিস এক সাথে চলাচল করলে নগরবাসি চলাচলের ক্ষেত্রে বেশ খানিকটা সুবিধা পেত, এবং অথনৈর্তিক কিছুটা হলেও সাশ্রয় হতো। নগরযাত্রীরা আরামে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় অনায়াসে চলাচলের বিরাট সুবিধা পেত।
অটোওয়ালাদের কাছে গোটা নগরবাসি জিম্মী।এটা কোন রাগ বা ক্ষোভের কথা নয়। এরা ৫ টাকার ভাড়া বৃদ্ধি করে ৭ টাকা করলো, তারপরও শান্তি নেই। বিনা নোটিশে তারা ৭ টাকার ভাড়া ১০ টাকা করলো।এতেও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এর কোন ভ্রুক্ষেপ নেই, কোন টনক নড়েনি।এমনকি স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারি করা উচিত ছিল কিন্তু তা করেনি।ফলে অটোওয়ালারা এককরম বেপরোয়া হয়ে উঠলো। তারা মনে করলো সিন্ডিকেট করে যদি চাল, ডাল, তেল, লবন, গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করা সম্ভব হয় তবে তাদের দাবি কেন পূরণ হবে না, হতেই হবে এবং না হবার কিছুই নেই। তাই তারা সম্প্রতি রাজশাহী নগরীতে বিনা নোটিশে হঠাৎ করে কাকডাকা ভোরে ধর্মঘট এর ডাক দিয়ে নগরবাসিকে বোকা বানিয়ে ফেলার চেস্টা করলো।দু’দিনের টানা ধর্মঘটে নাগরিক জীবনযাত্রা অচল করে ফলার উপক্রম।নগরবাসি চরম ভোগান্তি আর ঝামেলায় পড়েছিল এটাও সত্য।বেশি অসুবিধায় পড়েছিল নয়া সময়সূচীতে অফিসগামী আর শিক্ষাথীর্রা।
অটোরিকশা সমিতির দাবি ছিল নূন্যতম ভাড়া ১০ টাকা এবং ৭/১০ টাকার ভাড়া বৃদ্ধি করে কমপক্ষে ২০ টাকা করা।এমনটি মনে করেই পরিকল্পনা মাফিক সিটি মেয়রের সাথে আলোচনায় বসলেও সিটি মেয়র তাদের দাবি সরাসরি নাকচ করে দিয়ে নগরীতে সিটি বাস সার্ভিস চালুর চুড়ান্ত ঘোষণা দিলেন এবং অলরেডি ৩০টি গাড়ী সড়কে নামিয়ে দিলেন।এতে করে সিটি ফাদারকে নগরবাসি বাহাব্বা দিলেন। আর ভাবলেন সত্যি এবার সিটি বাস সার্ভিস চালু হয়ে গেল। আর একবার চালু হয়ে গেলে আর বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনাও থাকবে না। এঘোষণায় অটোরিকশা সমিতির নেতৃবৃন্দ চরমভাবে ভয় পেল, পড়ি কি মরি ভেবে শেষ পযর্ন্ত ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হলো। তারা সিটি ফাদারের সাথে আলোচনায় বসে একমত হয়ে সিটি মেয়র গরীব মানুষের কস্টের কথা ভেবে তাদের অনুরোধে সিটি বাস সার্ভিস প্রত্যাহার করে নিল।এতে করে নগরবাসির কপাল পুড়লো। ফলে নগরবাসির স্বপ্ন আতুড়ঘরে আটকা পড়ে রইল।আর অটোরিকশার পথচলা আবার শুরু হলো।
কয়েক মাসে কয়েক দফায় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে এটা সত্যি, জালানী তেলের ও গ্যাসের দামও বেড়েছে। দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বেড়েছে অনেক। এসব কারণে তাদের দাবি দাওয়ার কিছুটা যুক্তিযুক্ত ছিল। তাই বলে ৫ টাকার ভাড়া ১০ টাকা আর দশ টাকার ভাড়া ২০ টাকা এমন দাবি সঠিক ছিল না। আর একারণে নগরবাসির সমথর্ন পায়নি। তাড়া তারা আরো বেশি ভাড়া জোর করে আদায় করে যাত্রীদের কাছ থেকে। শুধু তাই নয়, যাত্রীদের সাথে খারাপ আচরণ করে প্রায় সময়। কিন্তু কাকে জানাবে এসবের অভিযোগ, কে করবে এর সমাধান। নগরবাসি তথা আমরা আশা করবো সিটি কর্পোরেশনকে লোকবল দিয়ে অটোরিকশার দিকে তীক্ষ্ণ দুষ্টি রাখতে হবে। এতে করে একদিকে যেমন অটোরিকশার সেবার মান বাড়বে অন্যদিকে রাজশাহীবাসি একটা ভাল সেবা পারে।তানা হলে তাদের দৌরাত্ম্য বাড়তে থাকবে।
সিটি বাস সার্ভিস চালু হওয়ার ঘোষণায় নগরবাসি অনেকটা খুশি হয়েছিল, স্বস্তির নি:শ্বাস ও ফেলছিল। কিন্তু তা হলো না।রাজশাহী নগরবাসি এখনও নগরীতে সিটি বাস সার্ভিস চালুর পক্ষে ভোট দিয়ে আসছে।নাগরিক সুবিধার কথা ভেবে এনগরীর নীতি নিধারর্কদেরে আরো গভীরভাবে ভাবতে হবে কি করে নাগরিক সুবিধা বাড়ানো যায়।নাগরিক বাসিন্দাদের সুবিধার কথা ভেবে আবারো ভেবে দেখা দরকার। আমরা আশা করছি রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন স্বল্প সময়ে নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। যেহেতু এ মহানগরীর শতকরা ৯৫% ভাগ মানুষ সিটি বাস সার্ভিস চালুর পক্ষে।সকলেই চাই অটোরিকশা সেবার পাশাপশি সিটি বাস সার্ভিস চলমান থাকুক। নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকায় মেট্রোরেল চালু হচ্ছে, আমরাও রাজশাহীতে মেট্রো রেলের কথা ভাবছি। যেভাবে দিন দিন নগরীতে যানজট বাড়ছে সেহেতু দ্রুত দাপ্তরিক কাজ সঠিক সময় করার জন্য মেট্রো রেল সার্ভিস এর বিকল্প নেই।
পরিবেশ বান্ধব এই রাজশাহী নগরীতে অবিলম্বে মেট্রো রেল চালুর ব্যপারে নতুন কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায় কিনা রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন কতৃর্পক্ষকে গভীরভাবে ভেবে দেখতে হবে। কবে নাগাদ মেট্রো রেল সার্ভিস আমরা পেতে পারি সেব্যাপারে সুনির্দৃষ্ট ঘোষণা আমরা চাই-চাই। রাজশাহী মহানগরীর ১৬ লাখ মানুষ প্রতীক্ষায় আছে মেট্রো রেলের আশায়। মেট্রো রেলের জয় হউক।#