তিনি বলেন, দুর্নীতিতে অভিযুক্ত বেনজির আহমেদ বিদেশে থাকলেও বিচার চলবে, দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে দেশে ফিরতেই হবে। সরকার কোনো ছাড় দেবে না।
ওবায়দুল কাদের আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বেনজির আহমেদের ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করছে। তদন্ত, মামলা, গ্রেফতার-সবকিছু একটা আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। সরকার এখানে দুদককে এড়িয়ে আগ বাড়িয়ে কেন ব্যবস্থা নেবে? সরকারের দুর্নীতিবিরোধী যেসব সংস্থা আছে তাদের কোন ব্যর্থতা থাকলে তারও বিচার হবে।
‘সরকার বেনজীর আহমেদকে বিদেশে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছে’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ব্যক্তি দুর্নীতি করতে পারে, কিন্তু সরকার দুর্নীতিবাজকে কীভাবে দেখছে সেটা মূল বিষয়। মির্জা ফখরুলের কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই: সরকারের কে বেনজীরকে বিদেশে পাঠাল? সরকারের কারা গিয়ে তাকে বিমানে তুলে দিয়েছে? কোন অথরিটি গিয়ে তাকে তুলে দিয়েছে? অন্ধকারে ঢিল ছুড়বেন না।
তিনি বলেন, এদেশে ’৭৫ পরবর্তীকালে কোন শাসক ও সরকার দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সৎ সাহস দেখাতে পারেনি। শেখ হাসিনার সরকার সেটা দেখিয়েছে। ব্যক্তি দুর্নীতি করতে পারে। দুর্নীতি করার পর সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি কি সেটা দেখতে হবে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এদেশ থেকে টাকা পাচারের সংস্কৃতি ও অর্থনীতি শুরু হয়েছে বিএনপির আমল থেকে। ক্ষমতায় এলে বিএনপি নেতারা অবৈধভাবে টাকা উপার্জনের মহোৎসবে মেতে ওঠে। এটা দেশে ও বিদেশে প্রতিষ্ঠিত সত্য। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়। পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়। হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে বিএনপির দন্ডিত পলাতক নেতা তারেক রহমান বিদেশে বিলাসী জীবনযাপন করছে।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে লিখিত বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দুর্নীতি কোন দেশে হয় না এই দাবি কেউ করতে পারে না। আমাদের দেশে যিনি প্রধানমন্ত্রী, সরকার প্রধান তিনি কোন প্রকার দুর্নীতি করেন বা দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেন এমন অভিযোগ তার বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে কেউ দিতে পারেনি। শেখ হাসিনা আপাদমস্তক সৎ রাজনীতিক-এটা বিশ্বের স্বীকৃত। তার জনপ্রিয়তার মূলে তিনি অত্যন্ত পরিশ্রমী ও সৎ জীবনযাপন করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি’র প্রধান নেতাই দন্ডিত পলাতক তারেক রহমান চিহ্নিত অপরাধী। এমন লোক যে দলে নেতৃত্ব দেয় সেই দল জনগণের কল্যাণে কাজ করতে পারে না। জনগণের বিশ্বাসও রাখতে পারে না। তারা দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। পরপর পাঁচবার তারা দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। দুর্নীতিবাজদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিতেই বিএনপি’র গঠনতন্ত্র থেকে হঠাৎ করেই ৭ ধারা বাদ দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। #বাসস